জহির হাসানের অনুবাদে ‘গাজার কবিতা’

অ+ অ-

 

সম্প্রতি ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধকে কেন্দ্র সমস্ত পৃথিবী প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এসময় গাজার মুক্তিকামী মানুষের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনস্বরূপ ফিলিস্তিনের সাহিত্যও নতুনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি সমর্থন জানায়। মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ের ময়দানে রচিত সাহিত্যের চর্চাও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের কবি জহির হাসানও সমর্থনস্বরূপ গাজার সমকালীন কবিদের কবিতা অনুবাদ করেছেন। জহির অনূদিত বাংলায় সংকলিত বইয়ের শিরোনাম গাজার কবিতা। বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী।  

জহির হাসান অনূদিত বইয়ে সংকলিত হয়েছে গাজার কবি কামাল নাসের, গাসসান কালাফানি, মাহমুদ দারবিশ, সেলিম আল নাফফার, মোসাব আবু তোহা, মোহাম্মদ মৌসা, রেফাত আল আবির ও হিবা আবু নাদারের কবিতা। ‘গাজার কবিতা’য় সংকলিত নয় কবির কবিতায় কী আছে? আছে ফিলিস্তিনের মানুষের আত্মার ক্রন্দন। বাঁচার চির আকাঙ্ক্ষা। প্রতিদিন গৃহহীন হয়ে যাওয়া মানুষের আর্তি। মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্ন। এতে সংকলিত হয়েছে কিংবদন্তি ফিলিস্তিনের কবি মাহমুদ দারবিশের দুটো আলোচিত কবিতা‘গুড মনিং গাজা’ এবং ‘সাইলেন্স ফর গাজা’।

সংকলনে সবচে বেশি কবিতা নেওয়া হয়েছে মোসাব আবু তোহার। ফিলিস্তিনে মাহমুদ দারবিশের পর সবচে আলোচিত কবি মোসাব আবু তোহা। সম্প্রতি ইসরাইল-গাজার যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ে অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তিনি। তার কবিতা ফুটে ওঠে নিরীহ মানুষের হত্যাযজ্ঞ, উদ্বাস্তু মানুষের হাহাকার আর ধ্বংসস্তুপের নিচে পিষ্ট মানবতার পটচিত্রে। তোহা ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের সূত্রানুসন্ধান করেন। মোটকথা সংকলিত কবিতাগুলো গাজার ৭৫ বছরের লড়াই-সংগ্রাম আর মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। ফিলিস্তিনের শিল্পী ওয়ায়েল রাবির চিত্রকর্ম ও ধ্বংসযজ্ঞের একটি ছবি অবলম্বনে প্রচ্ছদ করেছেন শামীম আরেফীন। ৮০ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা।