আবুল মনসুর আহমদের ‘রাজনীতি বিচার’

অ+ অ-

 

দেশে হাহাকার পড়েছে; কারণ নাকি খোরাকির অভাব। সে হাহাকার অবশ্যি ভদ্রলোকেরা শুনতে পাননি। ভাগ্যিস অভুক্ত হতভাগ্যদের গলায় চিৎকার করে কাঁদবার শক্তি নেই।

আবুল মনসুর আহমদের লেখা ফুড কনফারেন্স বইয়ের নাম গল্পের এই প্রথম অনুচ্ছেদটিতেই তার শক্তিমত্তার প্রমাণ মেলে। প্রথম লাইনে গল্পের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা, বিবরণ ও ঘটনা। দ্বিতীয় লাইনে খোঁচা ও শেষ লাইনে স্যাটায়ার দিয়ে পরিসমাপ্তি। ফ্রেডরিক ব্রাউনের দুই লাইনের গল্প কিংবা হেমিংওয়ের ছয় শব্দের গল্পের মতো উপরের অনুচ্ছেদটিও স্বতন্ত্র ছোটগল্প হওয়ার দাবি রাখে।

খাদ্য সংকটে জর্জরিত ভয়ানক পরিস্থিতিতে একটি দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দরা সংকট সমাধান করার উদ্দেশ্যে কনফারেন্সের নামে কিভাবে নিজেদের উদরপূর্তি করে, এর ফলস্বরূপ অসহায় সাধারণ মানুষের কী পরিণতি হয় তারই অভিনব বিবরণ হচ্ছে ফুড কনফারেন্স গল্পটি। তবে নেহায়েত সরলরৈখিক গল্প ফুড কনফারেন্স নয়। ধীরে ধীরে এগোলে বুঝতে পারি, দেশের খাদ্য সংকট কেন্দ্রীক হাহাকার এবং ক্ষমতাসীন নেতৃবৃন্দের ভূমিকা আবুল মনসুর আহমদ এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যেটি গল্পের গণ্ডিতে আটকে না থেকে হয়ে উঠেছে সময় ধারণ করার একটি দর্পন। যা সাহিত্যের একটি সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য বটে।

কঙ্কালসার হতভাগারা মরুক তবে ভদ্রলোকের রাজপ্রাসাদের সামনে নয়; ভদ্রলোকেদের শঙ্কা হচ্ছে দলে বলে ভিক্ষা করা এসব লোক কবে না ভিক্ষার উসিলায় গা ছুয়ে বসে।

এই যে গায়ে ছুলে জাত যাবে ব্যাপারটা; এটা শ্রেণি বিভাজনের প্রগাঢ় নিদর্শন। তিনি যেই সময়টায় বসে এই গল্প লিখছেন, তখনও অখণ্ড ভারতে জাতকেন্দ্রিক শ্রেণি বিভাজন চরম আকার ধারণ করেছিল। তাই সংকটের প্রতীকী ব্যবহার করতে গিয়েও তিনি তুলে আনছেন সেসময়কার প্রচলিত এক শ্রেণি বিভাজনের আচরণ। এতে আবুল মনসুর আহমদের সাহিত্যবোধের মুন্সিয়ানাই শুধু নয়; বরং সমাজ সচেতন দিকটিও প্রকাশ পায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সময়কে ধরে রাখার বিভিন্ন মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো গল্পে ছড়িয়ে দেয়া। গল্প যেহেতু ফিকশন, তাই এখানে সত্য ঘটনা সাংবাদিকতার মতো হুবহু তুলে দেয়া যায় না। এখানে গল্প ফাঁদতে হয়, প্রেক্ষাপট তৈরি করতে হয় এবং পাঠক ধরে রাখার জন্য আলাদা স্টোরিলাইন তৈরি করতে হয়। সংকট নিয়ে গল্প লেখার সঙ্গে সঙ্গে গল্পের মোড়কে সেসময়ের অনেক আচরণ যুক্ত করার কৌশলে আবুল মনসুর আহমদের সফলতা ঈর্ষণীয়। আবার কোন কোন স্থানে ব্যক্তিগত অভিমত ও পর্যবেক্ষণ  গল্পে ফুটে উঠেছে বিদ্রুপের আড়ালে। যেমন:

অতএব উৎকট থেকে বাঁচতে ভদ্রলোকেরা যা করেন তা হচ্ছে সভা, সম্মিলন।

এতে সভা-সম্মিলন সম্পর্কে ব্যক্তি আবুল মনসুরের ধারণা অনেকখানি স্পষ্ট হয় এবং এর অকার্যকারিতা বোঝাতে তিনি উদাহরণ হিসেবে লোকের ভণ্ডামির নিদর্শন তুলে ধরেন

দেশদ্রোহী যোগ দেয় দেশ-উদ্ধার সভায়, অত্যাচারী স্বামী যোগ দেয় নারী রক্ষা আন্দোলনে, কসাই যোগ দেয় গো-হত্যা বন্ধের মিটিং-এ, ... ...। অর্থাৎ, সভা-সম্মিলন আবুল মনসুর আহমদের কাছে ভণ্ডের মিলন মেলার অধিক কিছু নয়।

পরবর্তীকালে দেখতে পাই, টাউনহলে আয়োজিত কনফারেন্সে নেতৃবৃন্দের নামকরণে আবুল মনসুর আহমদের মুন্সিয়ানা ছিল দেখবার মত। তার প্রদত্ত নাম থেকেই নেতাদের স্বভাব, নামের পদবী ও ক্ষমতার ক্রমের ধারণাও স্পষ্টভাবে দৃশ্যায়িত হয়। উদাহরণ স্বরূপ, সিংগিয়ে-বাংলা যে কুত্তায়ে-বাংলা থেকে, চুহায়ে-বাংলা, পোকায়ে-বাংলা থেকে বড় পদের অধিকারী তা নামেই স্পষ্ট উপলব্ধি হয়। আর বোঝা যায়, এই নামই তাদের অন্তর-আত্মার আদি রূপের বহিঃপ্রকাশ।

গল্পের স্রোত বইতে বইতে খোলাসা হয় নেতৃবৃন্দের আসল চেহারা; প্রত্যেকের নিজস্ব স্বার্থমণ্ডিত এজেন্ডা। গদি লাভের উদ্দেশ্যে খাদ্যের ঘাটতি ও বিপর্যস্ত সময়কে তারা ব্যবহার করে হাতিয়ার স্বরূপ। এ যেন তাদের মনোনয়নপত্র। পক্ষ-বিপক্ষ উভয়দলের ওযারত নিয়ে কামড়াকামড়ি তাদের নামের সাথে অদ্ভুত ছন্দ তৈরি করে। রাজনীতিবিদরা জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক; এর নিদর্শন পাওয়া যায় তখন, যখন দেখা যায় শেষমেষ উভয়ে মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় সমস্ত দেশটাকে। এসব ভাগ-বাটোয়ারার মাঝে উঠে এসেছে স্বজন-প্রীতির দিকটাও। এরকম বিপুলসংখ্যক ভদ্রলোকের সভায় মূল চুক্তিটা যে একটু আড়ালে, আবডালে, কোণায় হয়; সেই বাস্তবতাটারও উল্লেখ পাওয়া যায় গল্পে। এভাবে বাস্তবতা, ছলাকলা, চাতুরি, পারিষদের তোষামোদি সবই সুনিপুণ হাতে এঁকেছেন আবুল মনসুর আহমদ।

গল্পের মাঝামাঝি লক্ষ্য করা যায়, গ্রান্ড হোটেলে ফুড কমিটির সদস্য হিসেবে রাঘব বোয়ালদের পাশাপাশি মনোনীত হয়েছে চুনোপুঁটিরাও। যার অহরহ উদাহরণ বর্তমান সমাজে দৃশ্যত; কোন কমিটির দশটি সদস্য থাকলে দশ জনই বিভিন্ন পদের(সহ-সভাপতি, সহ-সম্পাদক) অধিকারী হয়ে উঠে। আজেবাজে বিষয় উপস্থাপনের মাধ্যমে মূল আলোচনাকে কিভাবে ধামাচাপা দেয়া হয় তার উদাহরণ হিসেবে  কুত্তায়ে-বাংলার উদ্ধৃতির দিকে তাকাই

যুদ্ধের দরুন দেশের লোকের আর্থিক অবস্থা হঠাৎ ভালো হয়ে গিয়েছে বলেই জিনিসপত্রের দামও হঠাৎ করে এত বেড়ে গিয়েছে, অর্থাৎ সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিন্তু তারা অনাহারে মারা যাচ্ছেন; কি বেশি খেয়ে পেটের পীড়ায় মারা যাচ্ছেন, তার কি কেউ খবর নিয়েছেন?

এরকম বেফাঁস, আক্কেল গুড়ুম করা বিবৃতি, এদেশের নেতারা এখনো হর-হামেশাই দিয়ে থাকেন যা বর্তমানেও আবুল মনসুর আহমদকে করে তোলে আরো প্রাসঙ্গিক।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে যখন সবার চাহিদা-দাবিদাওয়া পূরণ হওয়া শেষ, তখন কুত্তায়ে-বাংলা তার স্কীম বা মূলনীতি উপস্থাপন করে, যাতে দেখা যায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকল দোষ চাষী শ্রেণীর উপর নির্মম ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সমাধান স্বরূপ সেই অসহায় শ্রেণীকেই সাজা দেয়ার কথা উত্থাপন করা হয়েছে। গল্পের শেষ দিকে কমিটির গভীর ঘুম ভাঙ্গার পর দৃষ্টিগোচর হয় যে দেশে জনসাধারণ, চাষী, মজুর, গরিব, দুখি, ফকির, মিসকিনসহ সকল মানুষের কেউই আর জীবিত নাই। খাদ্য সংকটের এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে জানোয়ারে-বাংলাদের এমন নেক্কারজনক ভূমিকা পালনের পরেও চিৎকার করে জানোয়ারে বাংলা জিন্দাবাদ জয়ধ্বনি যেন মানুষ জাতির কফিনে শেষ পেরেক।

কঠিন বাস্তবতা হলো দেশের সংকটকালে যে বড় বড় স্কিম বা মূলনীতি তৈরি বা রচনা করা হয় তা সাধারণ মানুষ ও গরিব দুখির বিপক্ষেই অবস্থান করে। এ সম্পর্কে আমেরিকান অর্থনীতিবিদ উইল রজার্সের বলেন, We should never blame the government for not doing something. It is when they do something is when they become dangerous.

একই বিষয়ে আকবর আলি খানের নিবন্ধের একটি লাইন এরকম

হুজুর আমরা আপনার কাছে উপকার চাই না, শুধু মেহেরবানি করে আপনার শুয়োরের বাচ্চাদের সামলান।

রিভিউ-এর প্রারম্ভে সব এড়িয়ে গেলেও গল্পের প্রকাশকাল জানা জরুরি। গল্প পড়তে পড়তে কিছু প্রশ্ন পাঠক হিসেবে জাগতেই পারে। কেন এই খাদ্য সংকট? কী এর পটভূমি? রাজনীতিবিদদের নিয়ে উপহাস তো অন্যভাবেও হতে পারত! এই লেখার পিছনে কোন বিশেষ চিন্তা ও অনুভূতি আবুল মনসুর আহমদকে তাড়া করেছে? তিনি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টা দেখেছেন?

ফুড কনফারেন্স প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৪৪ সালে। এর অধিকাংশ গল্প ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে লেখা হলেও নামগল্প অর্থাৎ ফুড কনফারেন্স লেখা হয় ১৯৪৩ সালে অর্থাৎ দুর্ভিক্ষ কালীন। সমাজ সচেতন ব্যক্তি, লেখক হিসেবে সেই কঠিন সময় পীড়া দেয়, ব্যথিত করে আবুল মনসুরের মন। সেই মর্মবেদনা তিনি রূপান্তর করেন ব্যঙ্গতে। তার ব্যঙ্গ শুধুই পরিহাস বা বিদ্রুপ নয়, এতে আছে সমাজ সচেতনতা; আরো আছে সমাজশোধনের উদ্দেশ্য। সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি জীবনঘনিষ্ঠ। তার এই জীবনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে অসামান্য অভিজ্ঞতার পরশে। এক জীবনকালেই তিনি খিলাফত আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সবই প্রত্যক্ষ করেছেন। কর্মের ক্ষেত্রে আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক তদপুরী একজন বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা পালন করেছেন।

তার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ও অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোরশেদ শফিউল হাসান আক্ষেপ করে বলেন, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সারাৎসার এ বক্তব্যগুলো হয়তো সে সময় আমাদের কাছে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি, পেলে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের পরবর্তী অনেক অঘটন ও বিপর্যয় থেকে আমরা হয়তো আত্মরক্ষা করতে পারতাম।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি ঘটনাকে দৃষ্টিগোচর করতে কিংবা একটি বার্তাকে উপস্থাপন করতে গিয়ে দেখা যায় লেখকরা একটি পুরো গল্প ফাঁদেন। সেই স্থানে আবুল মনসুর তার একটি গল্পের ভেতরেই চপেটাঘাত করেন একটু পর পর। রাজনীতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রিয়তা, ভণ্ডামি, সংগঠনজনিত দুর্বলতা, জাতিগত মনস্তত্ত্ব, কুসংস্কার সবকিছুকেই কটাক্ষ করতে সক্ষম হন এক গল্পেই। তাই আবুল মনসুর আহমদের ছোটগল্প প্রসঙ্গে মজিদ মাহমুদ বলেন, নজরুল সমসাময়িক মুসলমান ছোটগল্পকারদের মধ্যে আবুল মনসুর আহমদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সচরাচর প্রত্যক্ষ করা অসংখ্য গল্প, উপন্যাসের মতো আবুল মনসুর আহমদের গল্প চরিত্র নির্ভর নয়যাকে ঘিরে সমস্ত কাহিনী রচিত হয়বরং বৈষয়িক বা আখ্যান (সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আবহের এক মিশেল) নির্ভর।

বর্তমানে আবুল মনসুর আহমদ কতটা প্রাসঙ্গিক সেদিকে দৃষ্টিপাত করা যাক তার ফুড কনফারেন্স বইয়ের আলোকে,

সায়েন্টিফিক বিজিনেস-এ যখন বাঙালির ব্যবসায়ী মনোভাব ও ভণ্ডামি তুলে ধরা হয় তখন তা কোন ক্রমেই অতিসায়ক্তি মনে হয় না। কারণ হরহামেশাই ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান ভেসে উঠে আমাদের ফোনের পর্দায়। এ আই সি সি গল্পে যখন সংগঠন প্রিয়তা ও সংগঠনের কার্যকলাপ দেখানো হয় তখন মনে পড়ে আমার সেলুনের নাপিতেরও যে একটি সমিতি আছে তার কথা।

লঙ্গরখানা গল্পের সেবার নামে মজুদকৃত পণ্য বিক্রয়, কালোবাজারি, হিসাবে গণ্ডগোল এসব যেন কালোত্তীর্ণ হয়ে গেছে আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে। রিলিফ ওয়ার্ক গল্পের সেবার নামে যে অলিখিত নিয়ম মেনে রেকেট চালানো হয়, তা এখনো খবরের কাগজে এবং অনেক গ্রামের নিত্যদিনের ছবি।

গ্রো মোর ফুড গল্পের দেখানো অযোগ্য লোক নিয়োগের যে ট্রাডিশন তা আজও জারি আছে এদেশের প্রতিটা কোণে। এ ট্রাডিশন ভাইরাসের ন্যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান সর্বত্র। বেইলি রোডের দুর্ঘটনাও কিছু অযোগ্য মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বের প্রতি অবহেলারই নিদর্শন। 

ভোটের পর জনপ্রতিনিধির আচরণ কেমন হয় তারই ফিরিস্তি হচ্ছে জমিদারি উচ্ছেদ। গল্পের প্রতিটি চরিত্র যেন এখনো সমাজের প্রতিভূ হয়ে আমাদেরই কাঁধে চড়ে ভেঙে খাচ্ছে আমাদের মাথা।

আবুল মনসুর মুখোশ খুলেছেন রাজনৈতিক নেতা, নীতিহীন ব্যবসায়ী ও কথিত সমাজসেবকদের। সাধারণের দুরবস্থা দূরীকরণের গুরুদায়িত্ব যাদের ওপর বর্তিত হয়েছিল, তারা কিভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে অন্যদের বঞ্চিত করেছে, তার নির্মম করুণ বয়ান প্রকাশ পায় ফুড কনফারেন্স রিলিফ ওয়ার্ক, লঙ্গরখানা, গ্রো মোর ফুড জমিদারি উচ্ছেদ গল্পগুলোতে।

প্রত্যেকটি গল্পই একই সুরে মিলিত হয়; করুণ সুর। প্রতিটি গল্পেই পাওয়া যায় বাস্তবতার রুঢ় দাগ। আবুল মনসুর আহমদ পরিহাস, বিদ্রুপের দিক দিয়ে কঠোর এবং নির্মম হলেও তার লেখায় ভালোবাসা, দুঃখ ও দরদের প্রলেপ থাকে। লেখাগুলোর আদি উৎস সর্বদাই অন্তর্নিহিত বেদনা।

সহায়কপঞ্জি

১. আকবর আলি খান ২০০০, পরার্থপরতার অর্থনীতি, উনবিংশ মুদ্রণ, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঢাকা
২. মোরশেদ শফিউল হাসান ২০১৬, নির্বাচিত প্রবন্ধ দ্বিতীয় খন্ড, কথাপ্রকাশ, ঢাকা
৩. মজিদ মাহমুদ ২০১৪, নির্বাচিত প্রবন্ধ, কথাপ্রকাশ, ঢাকা
৪. মিজানুর রহমান ২০০৮, আবুল মনসুর আহমদের চিন্তাধারা, বাংলা একাডেমি, ঢাকা