আমার পাশের যাত্রী

অ+ অ-

 

চাকরির প্রয়োজনে আমাকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নোয়াখালী থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। আমি ট্রেনের চেয়ে বাসে ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি, কারণ এতে অন্তত প্রায় দুঘণ্টা আগে ঘরে পৌঁছান যায়। কিন্তু ভ্রমণ করার সময় আমি একটা ব্যাপার নিয়ে বিশেষ চিন্তিত থাকি। সেটা হচ্ছে আমার পাশের যাত্রীটি কি রকম হবে! কোনও কোনও যাত্রী বাস ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে পা থেকে জুতো খুলে ফেলেন। আর তখন নোংরা মোজা থেকে শেয়াল পচা দুর্গন্ধ বেরুতে থাকে। পাশের আসনে বসে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিছু বলাও যায় না আবার সহ্য করাও দুষ্কর হয়ে ওঠে। আবার কোনও কোনও যাত্রী বাসে উঠেই ব্যবসার যাবতীয় আলাপ শুরু করে দেন। একের পর এক ফোন দিতেই থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি বাসে আছেন। উচ্চ স্বরে কথা বলা আরো বেড়ে যায় যদি যাত্রাপথে মোবাইলের নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাদের কথাবার্তার চোটে এদিকে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যায়। কিন্তু সেসব যাত্রী ফোনে অনবরত উচ্চস্বরে কথা বলেন অন্য যাত্রীদের বিরক্তি উৎপাদন করছেন কিনা সেদিকে ভ্রূক্ষেপই করেন না। আমি পথে-ঘাটে অপরিচিত লোকজনের সাথে কোন প্রকার বিবাদে লিপ্ত হতে পছন্দ করি না। তাই আমি এসব উৎপাত বিনা বাক্য ব্যয়ে হজম করি। অন্য এক প্রকার যাত্রী আছেন। তারা বাসে উঠেই দুহাত উপরে তুলে আসনের পিছনের দিকটা ধরে একটা ঘুম দেন। আর তখন বগল থেকে ভকভক করে ঘামের বিশ্রী দুর্গন্ধ বেরুতে থাকে। নাকের পশম পর্যন্ত জ্বলে যাবার যোগাড় হয়। এসব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কি-ই-বা উপায় আছে বলুন! কিশোর-কিশোরীদেরকে আমি পাশের যাত্রী হিসেবে পেলে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কারণ এরা বাস চালু হওয়ার পর থেকেই বমি করা শুরু করে দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বাস থেকে নামছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বমি উদ্গীরণ অব্যাহত থাকে। তাদের নেতিয়ে পড়া দেখে আমি অনুকম্পা বোধ করি ঠিকই। কিন্তু তাদের বমির ছিটে-ফোটা আমার জামায়, প্যান্টে এবং হাতে লেগে গেলে আমার মনে হতে থাকে যে আমার সারা শরীর বুঝি নোংরা হয়ে গেল এবং বাসায় গিয়ে গোসল না করা পর্যন্ত এই নোংরা অনুভূতিটা থেকেই যায়। পাশের যাত্রী নারী হলে বিপদ বিন্দুমাত্র কম হয় না। আমার সেই বয়স নেই যেই বয়সে কোনও নারী যাত্রী পাশে বসলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে থাকে লোকেরা। তারা পাশের আসনে বসেই প্রথমে তাদের ভ্যানিটি ব্যাগটি আপনার এবং তার আসনের মাঝে রেখে দিবে। ব্যাগটির বেশিরভাগই আপনার আসনেই থাকবে। এতে করে আপনি আরাম করে নিজ আসনেও বসতে পারবেন না। আপনি বলতে পারেন তাহলে নিজে গাড়ি কিনে যাতায়াত করুন। বিশ্বাস করুন সামর্থ্য থাকলে আমি তা-ই করতাম।

আমি সাধারণত জানালার পাশের আসনটিতে বসতে পছন্দ করি। যেতে যেতে রাস্তার পাশের দৃশ্য, গাছপালা এবং আকাশ দেখা যায়। কিন্তু আজ আমার পছন্দের আসনটি পেলাম না। পাওয়া যেতো যদি আমি বাসের পিছনের দিকের কোন আসনে বসতে রাজী হতাম। আমি পিছনের আসনগুলোতে বসতে পারি না। ঝাঁকি লাগে। আমার কোমর ব্যথা বেড়ে যায়। অগত্যা সামনের দিকে যেই আসনই পেলাম সেটা নিয়ে নিলাম। ডি ৩ আমার আসন নাম্বার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝকঝকে নতুন বাস। নতুন বাস দেখে ভালই লাগল। বাস দাঁড়িয়ে ছিল। আমি বাসে উঠে আমার আসন খুঁজতে লাগলাম এবং পেয়েও গেলাম। আসনের কাছাকাছি গিয়ে দেখি জানালার পাশে একজন ভদ্রমহিলা বসে আছেন আমার আসনে তার ভ্যানিটি ব্যাগটি রেখে। আমাকে সেই আসনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগটি তার কোলের উপর রাখলেন। দুটো আসনের মাঝখানে ওটা রাখেননি বলে মনে মনে তাকে ধন্যবাদ দিলাম। তার বয়স ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ হবে হয়তো। পিয়াজ রঙের বোরখা পরেছেন কিন্তু মাথায় একটি ওড়না পেঁচানো। মুখে কাপড়ের মাস্ক পড়েছেন যার উপর পাথরের কারুকাজ রয়েছে। মিহি পাতলা ওড়নার ভিতর দিয়ে তার কানের দুল দেখা যাচ্ছে। চোখে কাজল দেওয়া। ডান হাতের আঙ্গুলগুলো দিয়ে মোবাইল ধরে রেখেছেন। বা হাতের আঙ্গুলে দুটো সোনার আংটি। গায়ের রঙ ফর্সা। মুখের অবয়ব দেখে বুঝা যায় রূপসী না হলেও চেহারা মোটামুটি সুশ্রী। আপনি ভাবছেন আমি আমার পাশের যাত্রীর সবকিছু খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে থাকি। সেটা কিন্তু মোটেও সত্য নয়। এটা আমার দোষ বা গুন যা-ই বলেন না কেন আমি এক নজর দেখলেই কোন মানুষের পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে যাবতীয় বিবরণ এমনকি তার দাঁতে কোন খাদ্য-কণা লেগে আছে কিনা সেটাও বলে দিতে পারি। যাইহোক আমি আমার আসনে বসার একটু পরেই আমাদের বাস ছেড়ে দিল।

নোয়াখালীর বাসগুলো চৌমুহনী এসে ১৫/২০ মিনিট দাঁড়াবেই। আমি তাই বাস থেকে নেমে গিয়ে একটা ছোট পানির বোতল কিনে বাস টার্মিনালের পাশে দাঁড়িয়ে একটি সিগারেট ধরালাম। ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে আকাশের দিকে তাকালাম। মেঘলা আকাশ। সকালে এক পশলা বৃষ্টি হওয়াতে গরম কিছুটা কম। আকাশের অতি উঁচুতে চারটে চিল ধীর-স্থিরভাবে চক্কর দিচ্ছিল। কারো পালা কবুতরের একটি ঝাঁক আরো নিচ দিয়ে উড়ছিল। এক ঝাঁক পানকৌড়ি পুব থেকে পশ্চিমে উড়তে উড়তে দিগন্তে বিলীন হয়ে গেল। বৈদ্যুতিক তারে অনেক বুলবুলি বসে আছে। ওদের কেউ কেউ সেখান থেকে টার্মিনালের ঢালাই করা রাস্তায় নেমে এসে চড়ুইদের সাথে প্রতিযোগিতা করে খাবার খেয়ে আবার গিয়ে সেই তারে বসছে। বুলবুলিরাও আজকাল নাগরিক পাখি হয়ে উঠছে। আমার সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়াতে আমি ধীর পায়ে হেঁটে বাসের কাছে গিয়ে বাসে উঠে আসন গ্রহণ করলাম। বাসা থেকে ফোনে জানতে চাইল আমি বাসে উঠেছি কিনা। আমি কোন কোম্পানির বাসে উঠেছি এবং কখন ছেড়েছে ইত্যাদি জানিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চৌমুহনী থেকে ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা দিল।

বাস ছেড়ে দিলে চলন্ত বাসে চোখ বুজে আমি একটু ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল কিন্তু ঘুম আসছে না। কিন্তু আমি চোখ খুললাম না। চোখ বুজেই রইলাম। টের পেলাম ভদ্রমহিলা ফোনে কথা বলছেন এবং তার কথা আমার কান পর্যন্ত আসতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি: হ্যালো মা, আসসালামুয়ালাইকুম। হ্যাঁ, বাস ছেড়েছে। আমি এখন চৌমুহনী পার হয়ে এসেছি। ছোটন কি খেয়েছে? ওকে একটু দিবে? ছোটন! খেয়েছ বাবা? কি দিয়ে খেয়েছ? ও চিকেন দিয়ে? না লক্ষ্মী সোনা, আইসক্রিম দেওয়া যাবে না। তোমার না এই অল্প কয়েকদিন হলো ঠাণ্ডা ভাল হয়েছে? চকলেট? ঠিক আছে, চকলেট খেয়ো। আচ্ছা, খোদা হাফেজ।  

আমি চোখ বন্ধ করেই রইলাম। কিছুক্ষণ এভাবে কাটল। তারপর শুনি মহিলার ফোনে রিং হচ্ছে। তিনি ফোন ধরে কথা বলা শুরু করলেন, হ্যালো শুভ্রা! ওয়ালাইকুম আসসালাম। তারপর বলো কি খবর? তোমাকে না সেদিন অনেক বুঝালাম যে, বসেরা একটু-আধটু ওরকম হয়েই থাকে। তুমি-তো চাকরিতে নতুন এসেছ। তাই ভুল-ভ্রান্তি হবেই। আর এজন্য বসদের বকা শুনতে হবে। বস বকেছেন বলে মাথা গরম করতে নেই। সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হয়। আর একটা উপদেশ দেই শোন। একটু তেল কিভাবে মারতে হয় সেটা শিখে নাও। দেখো-না আমাদের তমা কেমন স্যারদের গুড-বুকে আছে। ও কিন্তু খুব ফাঁকিবাজ একটা মেয়ে। তা সত্ত্বেও সিনিয়ররা ওর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কম কাজ করেও বেশি ক্রেডিট কিভাবে নেওয়া যায় সেটা শিখে ফেলো। তাহলে আর কোথাও আটকাবে না। আমি এখন বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছি। বাসায় গিয়ে তোমার সাথে আবার কথা বলব। এখন একটু বিশ্রাম নাও। ঠিক আছ? আচ্ছা, খোদা হাফেজ। কখন যে একটু তন্দ্রার মতো ভাব চলে এসেছিল টের পাইনি। হুশ ফিরল যখন সুপারভাইজার ঘোষণা করল, হোটেলে আমাদের যাত্রা বিরতি বিশ মিনিট। নামার সময় গাড়ির নাম্বার দেখে নামুন। গাড়ির নাম্বার ২০৫১। মূল্যবান সামগ্রী নিজ দায়িত্বে রাখুন। বুঝলাম বাস কুমিল্লা পৌঁছে গেছে।

ধীরেসুস্থে বাস থেকে নেমে ধীর পায়ে হোটেলের দিকে রওয়ানা দিলাম। এই হোটেলের সামনে বাস দাঁড়াবার জন্য বিশাল ঢালাই করা খালি জায়গা রয়েছে। একটু পরই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। মেঘের আড়ালে সূর্য ডুবে যাচ্ছে। অস্তাচলগামী সূর্যের বিচ্ছুরিত বর্ণিল আভা কৃষ্ণ মেঘ-দলের উপর পড়ে সাদা, হলুদ, খয়েরী, সোনালী, লাল প্রভৃতি রঙের এক বর্ণাঢ্য দৃশ্যের শোভা সৃষ্টি করছিল পশ্চিম দিগন্তে। বাদুরেরা উড়ে উড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। চিলেরা ফিরছিল আপন ঠিকানায়। শালিকেরা নিজ নিজ নীড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। এক ঝাঁক বালিহাঁস মিলিয়ে গেল দক্ষিণের দিগন্তের সীমাহীনতার মাঝে। আলোক-সজ্জিত হোটেলের ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমি শুধু এক কাপ রঙ চা খেলাম। বাইরে এসে সিগারেটে আগুন ধরালাম। এখানে বেশ কয়েকটি বাস থেমে আছে। কোন কোন যাত্রী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফিতে চুমুক দিচ্ছে। আবার কেউ চিপস খাচ্ছে। কেউবা আইসক্রিম। এক দম্পতির ছোট একটি শিশু বেশ বিরক্ত করছিল। কিছুতেই তার কান্না থামান যাচ্ছিল না। হোটেলের সামনে দাঁড়ান একটি মাইক্রো-বাসে এখান থেকে কেনা বেশ কয়েক কেজি রসমালাই তোলা হলো। আমার সিগারেট খাওয়া শেষ হলে আমাদের গাড়ির ড্রাইভার আর সুপারভাইজারকে গাড়ির দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেল। ড্রাইভার নিজ আসনে বসে গাড়ি স্টার্ট দিল। যাত্রীরা একে একে বাসে উঠে নিজ নিজ আসনে বসে পড়ল। আমিও বাসে উঠে নিজের আসনের কাছে গিয়ে দেখি ভদ্র মহিলা তার আসনে বসে আছেন। আমি আমার আসনে বসলাম। সুপারভাইজার যাত্রীদের সংখ্যা গণনা করে দেখল যাত্রী সংখ্যা ঠিক আছে কিনা। হ্যাঁ, ঠিক আছে। তিনি ইশারা দিতেই বাস চলতে আরম্ভ করল।

বাস হেড লাইট জ্বালিয়ে রাতের আঁধার কেটে কেটে দ্রুতগতিতে মসৃণ রাস্তা দিয়ে ধেয়ে চলল ঢাকা অভিমুখে। রাস্তার দুপাশের সারিসারি বৃক্ষগুলোকে মনে হলো যেন ভুতের মতো দাঁড়িয়ে আছে। চাঁদ উঠেছিল কিনা বলা মুশকিল। পিছনে লাল, হলুদ, সাদা, নীল বাতি জ্বালিয়ে মহাসড়কে চলমান যানবাহনগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা কোন উৎসবে মেতে উঠেছে। চলতে চলতে গাড়ি একসময় দাউদকান্দি এসে পড়ল। এমন সময় ভদ্র মহিলার ফোন আবার বেজে উঠল। অন্যের ব্যক্তিগত কথাবার্তা কান পেতে শুনতে চাওয়ার কোন অভিপ্রায় আমার ছিল না। কিন্তু আমি শুনতে না চাইলেও সেই মহিলার কথাবার্তা আমার কানে ঠিকই প্রবেশ করছিল। তিনি একটু রাগত স্বরেই যেন কথা বলছেন, তোকে না নিষেধ করেছি ওর ফোন রিসিভ করতে। না-মানে আবার কি? তুই ওর ফোন রিসিভ করবি না। আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা-তো সবাইকে আগেই জানিয়ে দিয়েছি। দ্যাখ মিলি তুই আমাকে জ্ঞান দিতে আসবি না। তুই বড় না আমি বড়? তাহলে? এখানে ভাবাভাবির কিছুই নাই। আমি আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছি। যাইহোক আমি এখন বাসে আছি। বাসায় গিয়ে তোকে কল করব। ওকে, খোদা হাফেজ

বাস চলতে চলতে মেঘনা ব্রিজ পার হয়ে গেল। এমন সময় সেই মহিলার ফোন আবার বাজে উঠল। এবার তিনি নীচু স্বরে কথা বলতে লাগলেন। আমি শুনতে না চাইলেও তার কথাবার্তা আমার কানে পৌঁছুতে কোন অসুবিধা হচ্ছিল না। নীচু স্বরে, দ্যাখ মুয়াজ, তুমি আমার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছ এটা ঠিক এবং আমি তা অস্বীকার করছি না। তুমি তোমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছ এবং ছোট বাচ্চা নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছ। কিন্তু আমার দিকটা-ও-তো তোমাকে একটু বিবেচনা করতে হবে। আমাকে আর দুটো মাস সময় দাও লক্ষ্মীটি। এই দুমাসের মধ্যে আমি সব গুছিয়ে ফেলব। তারপর তুমি যা চাইবে যেভাবে চাইবে সেভাবেই হবে। আমি এখন বাসে আছি। তোমাকে পরে ফ্রী হয়ে কল করব। ঠিক আছে লক্ষ্মী-সোনা? তাহলে এখন রাখি। খোদা হাফেজ। 

বাস কাঁচপুর পার হয়ে ঢাকা শহরে ঢুকে পড়ল। কোন যানজট না থাকাতে সহজেই টিটিপাড়া পৌঁছে গেল। আমি বাস থেকে নেমে পড়লাম আরো কিছু যাত্রীর সাথে। দেখলাম মহিলাটিও নেমে গেল। আমি একটি সিএনজি নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। মহিলাও একটি সিএনজিতে উঠে কোথায় যেন চলে গেল।