মিসাইলি নার্স ও অন্যান্য কবিতা

অ+ অ-

 

পরিমিত পুষ্প

কর্পোরেট প্রেম নিয়ে আমাদের হলুদ সংসার
আজ আরও কিমাকার, সৌরভ ফসিল সাহারায়
বিজ্ঞাপিত হৃদয়ের গল্পে মজে ঢোল ব্রেসিয়ার
ধুলার প্রান্তরে তবু প্রিন্টেট লিলেন কুর্তি পরে
বহে আধুনিক ছড়া—আবিয়া আর্যার উপাসনা…
নবতিতম এ সাল মাবুদের প্রতিদ্বন্দ্বী—ব্রহ্মা
ভবের প্রেমীরা আজ যেন প্রতিজন পর্ণমোচী—
শরীরে বণিক, শুল্ক, আর্টিফিশিয়াল চুমু-শ্লোক…

আমার বাগানে তবু তুমি উষ্ণ সরোবর—আঁচ…
হুলুস্থুল আবাহনে মেরুর বরফ অশ্রু ফেলে,
বাষ্পীভূত হতে থাকে আমাদের বিশ্রুত বিরহ!
শোনাতে—‘পাহাড়ে গেলে মানুষ অহম ভাঙা দেখে’
না-মানুষ ঝরে যায় শাটারের মুহুর্মুহু শব্দে
তুষারের মিহি নামে আমাদের রুটিন প্রণয়ে…

 

মাস্তুলের জ্বর

পর্যটন স্বর্গ ভেবে খুঁটে খুঁটে চাখি
তোমার মানচিত্র আর সুন্দর রাডার
কেমন রাষ্ট্রের চাবি—প্রাচীন বাগান…
সবুজ ময়ূর তুমি গ্রেট নট পাখি
পেত্রা নগরীর মুখ, চোখের আজান…

পরিব্রাজকের ন্যায় আজব সারসে
যতই তলিয়ে যাই, ততই উজায়
প্রাচীন বসন্ত আর সেন্টিনেল দ্বীপ…
ন্যাটো ভেঙে গেলে পাই সরল দাঁড়াশ
আমার সরলে তুমি মান্দারিন হাঁস…

 

মিসাইলি নার্স

২২

মঞ্চ ঘুমিয়ে পড়ে, যখন তার কণ্ঠে যক্ষ্মা নামে
আল উপচে বন্যা হয়

কোপেনহেগেনে নদী-বৃক্ষ-পাখির যৌথ মহড়া…

জি-সেভেনের হাসি ঝুলছে, যেভাবে ঝোলে
নির্বাচনী পোস্টার বেশরম—গিজগিজ…

কাঁটার শত্রু জুতা, জুতার বান্ধব মান্দারিন হাঁস—
ধানের এ চারা যখন কিষানির ভূগোলে জাগে,
বিপ্লব আসে, দুধ জমে, মঞ্চ হয়ে ওঠে কৃষক—
পাখিরা কাকলি দিয়ে তার ক্ষুধা মেটায়…

২৩

ফুলের ক্যাবিনেট—সে তো টাইয়ের মতো,
কোথায় পাই বল
মান্দারিন হাঁসের গলায় এঁটেছে ন্যাটো 
কেমনে নামাই
কেমনে পালাবে
জি-সেভেনের ডাইনিং রুম থেকে জরায়ু?

জিব, এখন অন্তত আংটির মতো নির্ভার হ
পাতাবাহার গাছ হ, ফরেস্টার মনীষা হ
দেখিস, বেশ সবুজ হবে তোর বুকের কবর…

২৪

চাবির মতো গণতন্ত্র নিয়ে যেই ঢুকি বাগে
ফুলগুলো কুলকুল করে ফোটে
শিশুর কান্নার স্বাভাবিকতা নিয়ে…

বসন্ত ছাড়াই ছড়িয়ে দিতে পারি
তোমার উঠানে ঠোঁটের লাহান রাজনীতি—
ভেঙে যাবে তোমার সব কারফিউ,
জিনগুলো আর চামড়ার নয়, হবে তুলার…

চাবির মতো গ্র্যাফটিজম নিয়ে যেই ঢুকি ঘরে
সমস্ত দরজা খুলে যায় যেন সব স্বয়ংক্রিয়
ঠোঁট কাঁপার সাবলীলতায়…