বৌদ্ধধর্মীয় গুরুর জীবন নিয়ে মহাথের
ব্যক্তি মানুষের জীবনে ভুলত্রুটির শেষ নেই। মানুষ একই সঙ্গে ধনাত্মক আর ঋণাত্মক প্রাণী। এমনকি মহামুনি বাল্মিকীও একসময় ডাকাত ছিলেন। বুদ্ধত্ব লাভের পূর্বে সিদ্ধার্থ যে পাঁচশ পঞ্চাশ জনম ধরে পারমী পূরণের জন্য কাটিয়েছেন তাতেও অনেকবার চরিত্র স্খলন হয়েছিল তাঁর। মানুষ চাইলে কীইনা করতে পারে! প্রত্যেক মানুষের বস্তুগত জগত এক, আর আধ্যাত্মিক জীবন আরেক। জীবনের দুই অবস্থার সম্বন্ধ, টানাপোড়েন আর উত্থান-পতনের কাহিনিকে অবলম্বন করে উপন্যাস লিখেছেন কবি উপল বড়ুয়া। মহাথের শিরোনামে এটি তার প্রথম উপন্যাস।
জ্যোতির্ময় মহাথের নামে বৌদ্ধধর্মীয় এক গুরুর আধ্যাত্মকি ও জাগতিক জীবনের উত্থান-পতনকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে বইটির মূল কাহিনী। লেখক সহজ ভাষায়, ঋজু ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনাকে। কখনো কাব্যিক আবার কখনো গুরুগম্ভীর রসাত্মক বাক্য উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠেছে। কখনো কখনো পাঠক ঢুকে পড়বেন গল্পের ভেতর থেকে আরেকটি গল্পে। এই উপন্যাসে আছে বাঁকখালী নদীর অপূর্ব বর্ণনা।
মানুষ কি এমন কিছু খোঁজে, যেখানে তার ইহজাগতিক কিংবা আত্মিক মুক্তি ঘটে! হারমেন হেসের সিদ্ধার্থে দুই বুদ্ধের মুখোমুখি অবস্থানের কাহিনি দেখা যায়। মানব মনোজগতের এই পরিবর্তন কি ঋতু বদলের মতো বদলায়? নাকি অন্য কোনো রহস্যে ঘেরা। এমনই এক অচেনা জগতের সন্ধান করতে চেষ্টা করেছেন উপল বড়ুয়া। মহাথের বইয়ের ছোট্ট কাহিনিতে গভীর জীবনবোধ লক্ষ্য করা যায়। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালে। এটি প্রকাশ করেছে জাগতিক প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী রাজীব দত্ত। মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন