ভাষা, বোধ ও নিপীড়নের উপাখ্যান

ভাষা ব্যাকরণ, বাক্য প্রকরণ মানব সভ্যতার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। আমাদের চিন্তা, অনুভূতি, এবং জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ভাষার মাধ্যমেই প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু ভাষা কি সবসময় আমাদের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতির সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে পারে? ভাষার পরিধি এবং ক্ষমতা কাঠামোর ডালপালা নিয়ে আমাদের বিচরণ কতদূর? এমন অনেক অনুভূতি, অভিজ্ঞতা এবং সত্য রয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশের বাইরেই থেকে যায়—যেখানে শব্দ অসহায়, বোধগম্য বাক্যের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়।
আমরা কখনো কি ভাবি সেইসব মানুষের কথা, যারা সারাজীবন গুছিয়ে কথা বলতে পারলো না! কিন্তু তাদের ছিলো প্রখর অনুভূতি। শুধু শিক্ষিত ব্যক্তির বলার মতো ভাষা আয়ত্ত্বে ছিলো না তাদের। যেভাবে ভাষাগত দক্ষতায় অন্য মানুষেরা কথা বলে, যেভাবে অন্য মানুষেরা বুকে ছুরি চালিয়েও প্রিয় হওয়ার কারণ রেখে যায় একমাত্র ভাষা ব্যবহারের বাহানা দিয়ে। রেখে যায় তার ভাষা ব্যবহারের কাজ, ভাষার নানারকম খবরদারি। ভাষাদক্ষ ব্যক্তি যুক্তির নানা ছুরি চালাক কিংবা না-চালাক তার পেছনেও তো অনেক কারণ থাকে। থাকে তার ছুরি চালাবার দুঃখের ভাষা। এইভাবে প্রায় সকলকিছুই ভাষা ব্যবহারের যুক্তি দিয়ে নিজের পক্ষে নেয়া যায়। দেয়া যায় যুক্তির পেছনে যুক্তি। কিন্তু যে মানুষের ভাষা নাই, আছে শুধু অনুভূতি; সেই মানুষের দুঃখগুলো কেমন হয়? ‘ভাষাহীন মানুষের অনুভূতি’র স্বরগুলো কেমন নীরব? প্রশ্নগুলো বারবার ভাবায় আমাদের।
‘The subaltern cannot speak!’
গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ Can the Subaltern Speak? (1988)-এ সাবঅল্টার্নদের (দলিত, নিম্নবর্গ ইত্যাদি) ভাষাহীনতার কথা বলেন। তিনি দেখান, সাবঅল্টার্ন যখন কথা বলে, প্রভাবশালী জ্ঞানের কাঠামো তাদের ভাষাকে শোনে না, বোঝে না। ফলে তাদের কণ্ঠস্বর ‘নীরবতা’তে পর্যবসিত হয়। যেখানে ভাষার পরিবর্তে থাকে শুধু তাদের অনুভূতি।
মানুষের কথা বলার যে ভাষা সে ভাষার মানদণ্ড যারা তৈরি করেছিলো তাদের উপর আমার লানত। মানদণ্ডের এই রুচিবোধ, শ্রুতিমধুরতা আমাদের সরিয়ে দিয়েছে সরল অনুভূতির নদী থেকে। যে নদীতে সবাই আমরা কথা বলতাম অনুভূতির ভাষায়। সেই কথা বলার বোধ আমাদের ভাষাজ্ঞানের চাইতে অধিক মানবিক। সেখানে শুধু বোধ আর বোধের খেলা। মনকে নাড়া দিতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভাষাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মতো সেখানে কোনো কারসাজি নাই।
বোধ আমরা টের পাবো কিভাবে? পৃথিবীর অনেক সাহিত্যে, গানে চোখের ভাষার কথা বলা হয়েছে। চোখকে অতিরঞ্জিত করে মানুষের ভাষার কথা বোধের কথা চোখ দিয়ে প্রতীকায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ যাদের চোখ নেই যারা অন্ধ, তাদেরও আছে ভাষা। তবে সেই ভাষা শুধু তাদের অনুভূতি।
চোখ ও ভাষার আধিপত্যের রাজনীতি
গ্রামসি ‘হেজেমনি’ বলতে বোঝাতেন কেবল জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক প্রভাবের মাধ্যমে সমাজের এক শ্রেণির উপর অন্য শ্রেণির কতৃত্ব ও আধিপত্য। এই আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় পরিবার, ধর্ম, গণমাধ্যম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষার মাধ্যমে।
সুন্দর চোখকে ভাষা যে মহিমান্বিত করে তোলে—তা আমাদের শেখানো হয় ছোটবেলা থেকেই। গল্পে, সিনেমায়, কবিতায় ‘কাঠের পুতুলের চোখ’, ‘হরিণ-চোখ’, ‘শুদ্ধ দৃষ্টি’—এসবই একটি নির্দিষ্ট সৌন্দর্য-ধারণাকে স্বাভাবিক ও আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই বয়ান ক্ষমতাসীন সংস্কৃতির ভাষাগত আধিপত্যের অংশ।
‘অপ্রকৃতিস্থ চোখ’ = বিকার, বিপদ, দমনযোগ্যতা
যে চোখ ব্যতিক্রমী, বিক্ষিপ্ত, মানসিক সংকটের প্রতিফলন—তার ভাষা ও চিত্রায়ন হয় ‘শয়তানসুলভ’, ‘ভয়ের’, ‘বিপজ্জনক’। এখানে দেখা যায়, কিভাবে ভাষা এমন চোখকে বিচ্যুতি বা বিকার হিসেবে ব্যাখ্যা করে এবং সমাজকে শেখায়—এদের দমন করতে হবে, ভয় পেতে হবে, কিংবা উপেক্ষা করতে হবে। ভাষার এই নির্মাণ সর্বজনীন মনে হলেও তা আদতে শ্রেণিভিত্তিক ও ক্ষমতামুখী। পুঁজিবাদী-জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, বা এমনকি মধ্যবিত্ত ‘সুশীলতা’—‘যা শৃঙ্খলা ও স্থিতি চায়’ তারা এমন দৃষ্টিকে অনুমোদন দেয়, যা তাদের নিয়ম মেনে চলে। ভাষা সেই নিয়ম প্রতিষ্ঠার প্রধান মাধ্যম।
ফুকো তার ‘Discipline and Punish’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে আধুনিক সমাজে ক্ষমতা চর্চা সরাসরি সহিংস নয়, বরং তা নজরদারি, শৃঙ্খলা ও শাস্তির মাধ্যমে ব্যক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রের ‘উপযোগী’ করে তোলে। স্কুল, হাসপাতাল, কারাগার—এসব প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য উপযোগী ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যন্ত্রের মতো কাজ করে। ব্যক্তি কীভাবে সমাজে ‘মানব’ হিসেবে গণ্য হবে, তা নির্ধারিত হয় তার ভাষা ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে। যে ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা ও তার ব্যাকরণ অনুযায়ী কথা বলতে পারে না, তাকে বিবেচনা করা হয় বিকৃত, অপ্রকৃতিস্থ, এমনকি ‘পাগল’ হিসেবে।
ব্যাকরণ = শৃঙ্খলা
এখানে ভাষার ‘ব্যাকরণ’ শুধু ভাষাগত নিয়ম নয়, বরং শৃঙ্খলার আরেক রূপ। যারা এই শৃঙ্খলা মানতে ব্যর্থ হয়, তাদের জন্য সমাজ প্রস্তুত রাখে ‘Discipline and Punishment’—শ্রেণিকক্ষে শাস্তি, মানসিক হাসপাতালে থেরাপি, কিংবা কারাগারে শৃঙ্খলার পুনর্গঠন।
কোনো কিছুকে মহান করে তোলার মাধ্যমে ভাষা এক্ষেত্রে মহানতার দালাল হিসেবে কাজ করেছে। আবার সেই মহান ধারণার দ্বারা অপর করে তোলা হয়েছে অন্যসব বিষয়বস্তুকে। বর্ণবাদিতা ভাষা দিয়েই শুরু। ভাষার পূর্বে কোনো বর্ণবাদ ছিলো না। যারা ভাষা ব্যবহারে পারদর্শী ছিলো তারাই গড়ে তুলেছে নিজেদের ভাষায় সুবিধার শাস্ত্র, নিজেদের নীতির মানদণ্ড। অথচ শাস্ত্রহীন শাস্ত্রের জ্ঞান, নীতির নৈতিক অবস্থান ভাষার পূর্বেও মানুষের ভেতর ছিলো বিমূর্ত আঙ্গিকে। এভাবে ভাষার দার্শনিক ভিত্তি তৈরি করার মাধ্যমে ভাষা হয়ে উঠেছে মারণমুখী ব্যবসার অস্ত্র, ভাষা হয়ে উঠেছে বর্ণবাদী। ভাষা পরিবর্তন হওয়ার যে ধর্ম সেই ধর্মের কারণে ভাষা আরও ক্ষতিকর হয়ে মানবজাতির উপর ক্ষমতা কাঠামোর অস্ত্রসমূহ নিয়ে আঘাত করেছে। ভাষা যেমন নদীর মতো বহমান, তেমনি এর গতিপথও বদলায়। নদী যেমন তার স্রোতে জনপদের ভৌগোলিক চেহারা বদলায়, রুটি-রুজির পথ পরিবর্তন করে, তেমনি ভাষাও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজ, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির ভিত নাড়িয়ে দেয়।
ভাষার এই রূপান্তর অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে আরও নির্যাতনের ভূত হয়ে মানুষের ঘাড়ে চেপেছে। পোশাক,পরিবেশ, অবস্থান—সবকিছুর প্রভাবেই ভাষা বদলায়। সমতলের মানুষের ভাষা একরকম, পাহাড়ের আদিবাসীদের ভাষা ভিন্নতর। জাতীয়তাবাদীদের ভাষা একরকম, উগ্রবাদীদের ভাষা আরেকরকম। ইসলামপন্থীদের এক ভাষা, হিন্দুত্ববাদীদের আরেক ভাষা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নৈতিক যুদ্ধের এক ভাষা, আবার সন্ত্রাসবাদীদেরও আছে সন্ত্রাসের পক্ষের ভাষা। এই পরিবর্তনশীল ভাষার মধ্য দিয়েই কেউ নিজের ভাষাকে ঘোষণা করেছে একক নিরঙ্কুশের ভাষা হিসেবে। আবার কেউ চাপিয়ে দেওয়া ক্ষমতার ভাষায় জীবনযাপন করছে দাসত্বের হীনম্মন্যতায়। ভাষার এই আধিপত্য দিয়ে এক জাতি অন্য জাতির উপর চালিয়েছে নিপীড়ন, এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের উপর চড়াও হয়েছে। এবং সেই জুলুমের বৈধতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে—শুধু ভাষার মাধ্যমে।
ভাষা নিছক যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি ক্ষমতার এক সূক্ষ্ম যন্ত্র। সমাজে ভাষার রূপান্তর অনেক সময় ঘটে শুধু যোগাযোগের জন্য নয়, বরং প্রাধান্য বিস্তার, নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের স্বার্থে। ফরাসি সমাজতাত্ত্বিক পিয়েরে বুর্দো ‘linguistic capital’ বা ‘ভাষাগত পুঁজি’র ধারণা দিয়ে দেখিয়েছেন—সমাজে সব ভাষাভঙ্গি সমান নয়; নির্দিষ্ট শ্রেণি ও গোষ্ঠী যেসব ভাষাকে ‘মান্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, সেগুলোকেই মূল্যবান মনে করা হয়। ফলে নিম্নবর্গের ভাষা, উচ্চারণ বা রচনাশৈলীকে সমাজ অশালীন বা অশিক্ষিত মনে করে বাতিল করে দেয়।
নিম্নশ্রেণির গণসঙ্গীত শিল্পীর ভাষাও এই মানদণ্ডের শিকার। যখন তাকে গণমাধ্যমে হাজির করা হয়, তখন তার পোশাকের পরিবর্তন হয়ে যায়। মিডিয়ার মেকাপ রুমে তার পোশাক ও ভাষা সম্পর্কে ব্রিফিং করে তারপর তাকে পর্দায় নিয়ে আসা হয়। এমন অবস্থায় তার যে মুখের ভাষা সেটা তার নিজস্ব ভাষা নয়, বরং মিডিয়ার মানদণ্ডে তার মুখে ‘ভদ্র’ ভাষা তুলে দেওয়া হয়—যে ভদ্রভাষা শিল্পীর কাছে কৃত্রিম প্রবঞ্চনা এবং সাংস্কৃতিকভাবে মান্য ‘ভাষাবস্ত্র’। এন্থনি গিডেনস বলেছিলেন, ‘আধুনিক সমাজে আত্মপরিচয় (self-identity) একটি চলমান প্রকল্প—যেখানে প্রতিনিয়ত ব্যক্তি তার নিজের অবস্থান ও ভাষাকে সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ব্যক্তি যদি তার নিজস্ব ভাষা ও অভিব্যক্তি ও স্বঅনুভূতিতে কথা নাই বলতে পারেন তাহলে সেই আত্মপরিচয় নিজস্ব অভিব্যক্তিকে দমিত করা হয়।
এইভাবে ‘ভাষা’ হয়ে ওঠে এক ধরনের সাংস্কৃতিক নিপীড়নের হাতিয়ার। যারা গোছানো ভাষায় কথা বলতে পারেন, যাদের ভাষা ‘ভদ্র’, তারা অনুভূতির ‘মূল্য’ পায়। অথচ যাদের ভাষা অবিন্যস্ত, অপরিচিত, তারা সত্য বললেও সমাজে তার কোনো কার্যত প্রভাব পড়ে না। তাদের ভাষা হতে থাকে অবমূল্যায়িত। এভাবে, ভাষা ও শ্রেণি একে অপরকে খোঁজে এবং একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করে। জীবনের সত্য অনুভূতি নয় বরং তার ‘সর্বজনীন স্টেরিটাইপ’ই হয়ে ওঠে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। আর সেই গ্রহণযোগ্যতায় যারা পড়ে না, তাদের অনুভূতি ভাষাহীন থেকে যায়, সমাজের কাছে হয়ে পড়ে নিরর্থক। ভাষা ব্যবহারের যে পথ সেই পথের সন্ধানের আগে যে বোধ তৈরি হয় আমাদের সেই বোধের পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা বুঝেছি, ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়—এটি এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ, এক ধরনের, আধিপত্যবাদী কাঠামো—যারা ভাষা ব্যবহারে দক্ষ, তারাই ঠিক করে দিতে পারে কারা মানুষ, কিংবা কারা মানবিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করা সত্ত্বেও মানুষ হওয়ার যোগ্য নয়। আমরা যাদের চোখে জল দেখেছি, যাদের শরীর বয়ে নিয়ে গেছে প্রতিনিয়ত বঞ্চনার ইতিহাস—তারা সবাই ক্ষমতার ভাষার কাছে পরাজিত। তাদের ভাষা প্রতিষ্ঠিত ভাষা নয় বলেই তারা হয়ে আছে ‘ভাষাহীন’।
এই সমাজ, রাষ্ট্র ও পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব ভাষাহীন ব্যক্তির অনুভূতিকে তাদের নিজস্ব কাঠামোগত শব্দে বন্দি করে রাখতে চায়। ভাষাহীনদের সেই অনুভব—যেখানে যাদের ভাষা নেই, তাদের ভালোবাসা, ঘৃণা, ভয়, ক্রোধ, যেন এক নির্বাক প্রতিধ্বনি। যাদের কোনো ‘শুদ্ধ উচ্চারণ’ নেই, যাদের ভাষা কখনও বইয়ে প্রকাশ হয়ে ওঠেনি, যাদের কথাগুলো কোনো সাহিত্যিকদের কলমে ওঠেনি। ভাষাহীন মানুষের ভাষা ক্ষমতাকাঠামোয় কঠিন আঘাত হেনে সর্বজনীন মানবিক ভাষা গঠন করতে পারে তখনই যখন আমাদের শিক্ষিত সমাজের ভাষা দিয়ে তাদের এই ভাষাহীনতাকে আমরা ধারণ করতে পারি, প্রচলিত ভাষার ক্ষমতাকাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারি।
সহায়ক গ্রন্থ
Spivak, G. C. (1988). Can the Subaltern Speak? In C. Nelson & L. Grossberg (Eds.), Marxism and the Interpretation of Culture (pp. 271–313). University of Illinois Press.
Gramsci, A. (1971). Selections from the Prison Notebooks. International Publishers.
Foucault, M. (1977). Discipline and Punish: The Birth of the Prison. Pantheon Books.
Bourdieu, P. (1991). Language and Symbolic Power. Harvard University Press.
Giddens, A. (1991). Modernity and Self-Identity: Self and Society in the Late Modern Age. Stanford University Press.
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন