রাধা ও অন্যান্য কবিতা

অ+ অ-

 

দূরের শহরে অচেনা মানবীকে

আপনাকে ভাবি
যখন দূরের শহরে হঠাৎ মেঘ জমে
আহা নিউজার্সি!

সায়াহ্নকে আমার সমুদ্র মনে হয়—যেকোনো রঙের ফুল তাতে ছেড়ে দিতে পারি
হোক জুই কিংবা জবা—ভেসে ভেসে দূরের যে কোনে দেশে চলে যাবে অনায়াসে!

বিবিধ ভ্রু-ভঙ্গিমার থেকে বহুদূরে থাকে নাবিকের সেই পথ।
হিম-তুষারে আহত পাখি জানে
পরিত্যক্ত বাতিঘর
কখনো আশ্রয় হয়ে ওঠে তার

কারো ডাকে ফিরে না সে কখনো বিভ্রমে—
বৈরী বাতাসে উত্থলে ওঠা স্রোত,
আপনাকে চেনে না অথচ
ভেঙ্গে ফেলে ঋতুর বিন্যাস...

 

রেবেকার অশ্রু

নীল ময়ূরের ডাকে মধ্যরাতে ঘুমন্ত শহর জেগে ওঠে

এইতো হাঁটছি, ম্লান জোছনার আলো
যতোদূরে চোখ যায়
অলস রাতের ঢেউ তীরে ফেরার আগেই জলে ভেঙে যায়

কখনো ভালোবাসোনি জানি
তবু নিয়োলিথ জলে যতো পাতা ঝরে
আমি তাকে নীল ময়ূরের অলস পেখম মনে করি
রেবেকার অশ্রু মনে করি

 

রাধা

শীত— ফুলের ঋতু, যদিও বসন্তে ভুল করে ভ্রমর যে-কোনো ভঙ্গির থেকে শিথিল হয়ে ওঠে। মায়া-বাঘিনীর হাতছানি উপেক্ষা করে নিদ্রামগ্ন হরিণ অমিশ্র মেঘের কাছে ছায়া চায়
দেখো নির্ভার-আতঙ্কে কারো হিম হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে খামচে আনা ছোপ ছোপ রক্তের দলা— এ যে তপ্ত হাপড়ে পোড়া নীল ছাই অসবর্ণ মায়া!

অপার-বিরহ
তার চেয়ে আরো নীল হয়ে ফোটে দূর নিধুয়ার বনে

প্রিয় সে ত
দুই ঢেউয়ের মাঝখানে ফণা তোলা সাপ...

 

দূরে

নিয়মিত কিছু ঘুম জড়ো করি
মৃতদের আত্মা থেকে।

পাখিদের ডাকনাম নিয়ে
আহাজারি নাই,
লবঙ্গের জলে
যতোটুকু ঘাম জমা হয় তার থেকে ঢের দূরে তুমি
পাখিদের বনবাস ভালোবাসো

আদিগন্ত হলুদের বনে যে ঘুঘু হারিয়ে যায়
দারুণ পিপাসা-দিনে
জানি তুমি তারে দেবে না কখনো এক ফোঁটা জল