উদাসী ও অন্যান্য কবিতা
চিরতুষারিণী
দুলছে চিরস্তম্ভ বাতিঘরের প্রতিমা।
অথচ জানি আমি এই আলো তেমন কিছু নয়,
তারকামেলার স্বপ্নে একদিন
অযথাই নুয়ে পড়েছিল দেহ
মাঘনিশীথের এই গাঢ় শীতলতা
দূরস্থায়ী চূড়ার আভায়
কখনোসখনো কারুময় হয়ে ওঠে ঠিক
তবু বর্ণবিকিরণে বহুপথে বিস্তারিত চিরতুষারিণী
পৌঁছেছে আমার জাহাজ, শেষমেশ অচিন বন্দরে
উদাসী
কোথা হতে আসিয়াছে ডাক
আকুল হইয়া কান্দে একালিনী রাই
ঘরে এসে পৌঁছিয়াছে হার্মাদি সুর
কোন সে গহীন কলে
দশ আঙুলে ডাকিতেছে প্রাণসখি রাই
আমি কি বুঝিব ব্যথা, যার হাতে
কোনোদিন উঠে নাই পাতার বাঁশিও?
অলক্ষ্যে বসিয়া একা দুঃখগাথা বাঁধিয়াছি শুধু
কানাই অলক্ষ্য হলে, নিরুপায় রাধার দুঃখে
আমি আজি কালো রূপে হবো কি উদাসী?
রক্ত আর কাদার সংগীত
তোমরা গাইছ গান, তবু কাঙ্ক্ষিত গাছে দেখি
বোবা পাখি : ঘোর নির্জনতা
এই বিরোধে লেখা হচ্ছে সময়-বাখান
কেন যে যত্রতত্র ছড়িয়ে দিয়েছি আগে
বাগানবিলাসের কত বীজ
আজ উড়ে আসে হাওয়া, দশ দিক থেকে
কত শত বজ্র-বিরচনা
আমার সকল কথা কেন জানি হয়ে উঠছে
রক্ত আর কাদার সংগীত
পাতা ও জল
ঘরের ভিতর ঘোর সমুদ্র
এবং তুমি জল
আমি তাতে ভাসতেছিলাম পাতা
ডুবেছিলাম ভুলের ভিতর
এমন কথায় তুমি আরও বিস্মিত খুব জল
আমার ভুলে আপন গৃহ
আলোয় ভরা ছিল, তবু আন্ধিয়ারে ভরে
ভুল
অজ্ঞতাবশত আমি পড়ে গেছি ব্যাধিনীর হাতে
অচেনা দূরত্বে যেতে এইবেলা ফানা হয়ে যাই
আমি শুধু ভুল করে ডেকে গেছি সজনীর নাম
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন