অতিথি ও অন্যান্য কবিতা
অক্সিজেন-নাইট্রোজেন
যারা অনন্তলোকে লুকান্তরিত; অদৃশ্য
তাদের কেউ কেউ হৃদয় অন্তরে আলোকিত; জীবন্ত
পক্ষান্তরে জীবিত বন্ধুরাও মৃত!
কে কে মৃত! তাদের তালিকা থাকে
নোটবুকে।
গুডবুকে গাছগুলো অক্সিজেন।
সাবেক স্বামীরা মৃত এবং প্রাক্তন স্ত্রীরাও নাইট্রোজেন।
সন্তানেরা সবুজ
সন্তানেরা স্বপ্নের সমান্তরাল।
এক ঝাঁক মুক্তি
জেদী যুবক নিজের ছবিটা পোস্টারের মতো দেয়ালে সেঁটে থুতু মারে
থু
থুতুর আরো ব্যবহার আছে।
চুল ছিঁড়ে আগুনে পোড়ায়, চুল পোড়ার গন্ধে
মিশে থাকে ভাস্করের কবিতা।
আয়নায় আত্মপ্রতিকৃতিতে একটি মৃত ইঁদুর।
আত্মক্ষরণের শেষ চুমুকের সাথে শেষ টান,
লাস্ট পৃষ্ঠা!
তীব্র মাস্টারবেশনের অস্থির তৃপ্তির বৈপরীত্যে কি থাকে?
ঘৃণা। থুতু। আগুন।
নাকি এক ঝাঁক মুক্তি।
আমার পথ ভবিষ্যতের সমান
বার বার জিহ্বায় কামড় লাগছে,
কে আজ বকছে!
চৌকাঠে হোঁচট লাগলো,
যাত্রা পথে কেনো এই বাঁধা?
আমরা কথা বলি সাড়ে তিন হাজার ভাষায়,
আমার পথ ভবিষ্যতের সমান।
অতিথি
আপনি এলেন আমার শহরে!
আপনার স্পর্শে জেগে উঠলো টরে টক্কা টরন্টো;
পূর্ণ হয়ে উঠলো বিশ্বের সেরা শহরে।
যেনো ‘চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে’।
আপনি মন-কুমারী,
রাণী নন কমনওয়েলথভুক্ত কানাডার।
তবু আপনার আগমনে আগস্ট সুন্দর হয়ে উঠলো,
নভেম্বর জানালো জন্মদিনের শুভেচ্ছা,
ডিসেম্বর বিছিয়ে দিলো তুষার-বরফের মখমলের শাদা বাগিচা।
জানুয়ারি আপনাকে জানাবে—অভিবাদন!
Nice poetry!
নূরিতা নূসরাত খন্দকার
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ ১৩:৩৮