কবিসভা ও অন্যান্য কবিতা
পরিসর
দুনিয়ার এই এত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে
তুমি বের হয়ে আসো।
সংগঠিত উল্লাস আর বিষাদের কারখানা থেকে
একটু নিরিবিলি কোথাও এসে দাঁড়াও।
এত হৈ হৈয়ে স্মৃতি মরে যায় তো!
নিজে মরলে মরো
স্মৃতিকে নিঃসঙ্গ হয়ে বাঁচার সুযোগ দাও।
সন্ধ্যাবিধৌত
পাখি ওড়ে চলে গেছে
আকাশের উপকূলে
ঠোঁটে ফেলে রেখে
সমুদ্রের সংসার
চুম্বন লাঞ্ছিত রাতে
দু’জন ঝড়ের আহার
বৃষ্টির বাসরে শেষ না হোক সব
চোখ ভরে যাক খরার কাজল
এই পবিত্র অন্ধতার উপহার
পোশাকি পৃথিবীতে
আমরাই সব নগ্ন মল্লার।
বাহিরানা
সব তর্ক ফতুর হয়ে যাক
কথার পিঠে কথা না থাকুক
জাগরণের যাতনা অশেষ
ঘুমঘোরে তুমি চলে যাও লক্ষ্ণৌ
অন্তত তোমার স্বপ্নের আয়ু
গানের কোনো ঘরানা খুঁজে পাক।
রূপকথার প্রয়োজনে
গতকাল ছেড়ে একলাফে
আজকের দিনে চলে আসি,
গতকাল একটা রূপকথা মাত্র!
হয়ে গেল রুমাল
ছিল বেড়াল;
মিউ-মাখা রুমালটা দিয়ে
চোখের ধুলা মুছি আর দেখি,
আগামীকালের রূপকথার
জোগান দিতে দিতে
আজকের দিনটা আমি
আজকের মতো এখানেই
শেষ করে দিচ্ছি।
কবিসভা
রাতের ভেতর ঢুকে ঘুমের ডিউটি করি।
সকালে উঠেও ডিউটি করব;
দিনভর জেগে থাকার।
এই ডালভাত কিংবা ওই দুধভাত!
এর মধ্যে
তুমি এখনও সেই ইরোটিক এসেন্স;
কবিতা লেখার।
এককথায় অসাধারণ। পিয়াস মজিদ মানেই স্বল্প কথায় অনেক কথার ব্যাকরণ!
আবদুল মোমিন
মে ১৪, ২০২৩ ১৩:২৯
অসম্ভব সুন্দর কবিতাগুলো
তাসকিন ইমরান খান
মে ১৩, ২০২৩ ১৬:০৬