জহির হাসানের একক অনলাইন চিত্র-প্রদর্শনী
শিল্পীর পরিচিতি
জহির হাসান কবি ও চিত্রশিল্পী। জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৬৯ সালে, যশোর জেলার পাইকদিয়া গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যশোর ও ঝিনাইদহে। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে। লেখালেখির শুরু ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে। প্রথম কবিতা প্রকাশ ১৯৮৪ সালে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফূলিঙ্গ পত্রিকায়। আগ্রহ ধর্ম, ভাষা, দর্শন ও চিত্রকলায়। প্রকাশিত কবিতার বই—পাখিগুলো মারো নিজ হৃদয়ের টানে [২০০৩], গোস্তের দোকানে [২০০৭], ওশে ভেজা পেঁচা [২০১০], পাতাবাহারের বৃষ্টিদিন [২০১২], খড়কুটো পাশে [২০১৪], আয়না বিষয়ে মুখবন্ধ [২০১৬], আম্মার হাঁসগুলি [২০১৭], বউ কয় দেখি দেখি [২০১৮], বকুলগাছের নিচে তুমি হাসছিলা [২০১৯], আম্মার আরও হাঁস [২০২০], আমি ও জহির [২০২১], রইদের ডাইরি [২০২৩]। গদ্যগ্রন্থ—জলপাই গাছের রব [২০২১], বিম্ব যেটুকু দেখায় [২০২২]। অনুবাদ—এমে সেজেরের সাক্ষাৎকার ও আধিপত্যবাদ বিরোধী রচনাসংগ্রহ [২০১১]। সাক্ষাৎকার পুস্তিকা কথাবার্তা [কবি উৎপলকুমার বসুর সাক্ষাৎকার, ২০০৬]।
শিল্পীর ভাবনা
আমার আব্বা ছবি আঁকতেন। ছোটবেলায় নিবিড় মনে খেয়াল করতাম তিনি কীভাবে একটা পেনসিল সার্প করতেন, ইরেজার ব্যবহার করতেন। সাদা কাগজের ভিতর একটা অবয়ব জায়গা করে নিত। সেই অবয়ব ছিল আমাদেরই চেনা ছাগল, গরু, গাছ, লতাপাতা আর মানুষের মুখ। ছবির আলো ছায়া শেড, শেপ, লাইন, রঙ, টোন, টেকচার, ছবির প্রাথমিক জিনিসগুলো তার কাজের ভিতর ছিল। তার কাজ দেখে আমার ভিতর বিস্ময় কাজ করত।
তখন ভাবি নাই কভু ছবি আঁকবো। কবিতার পাশাপাশি পরে ছবি আঁকার চেষ্টা করি। চেষ্টার হইতেই আগ্রহ। পরে রস ও আনন্দ পাই। চিত্রকলা একটা বিশাল জগৎ কবিতার মতোই। ভালো ছবি নিজের অজান্তে কেউ যেন আঁকায়ে নেয়। মাঝখানে পাছে যেন শিল্পীর আবেগ ও চিন্তা ভাড়া খাটে। ছবিতে মহাজগৎ আর রঙের ভিতর যে রূপগত রপান্তর হয় তা শিল্পীরও আত্মিক লেনদেনও বটে।
ভ্যান ঘগের একটা কথা আছে, ‘তোমার ভিতর যে নিয়ত বলতেছে আমি ছবি আঁকতে পারিব না সে-ই মূলত শিল্পী। তারে চ্যালেঞ্জ নিতে বলো দেখবে সে পারবেই।’ ছবির ভিতর দিয়া স্রষ্টার বেদনা ও একাকিত্বকে টের পাওয়ার যায়। এই জিনিসটা কারও কারও একটা ইনসপিরেশন। ছবির ভিতর দিয়া দ্রষ্টা ও দর্শকের অনুভূতিও পাওয়া যায়। কবিতায় দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ কম। কে যেন একজন নামকরা আর্টিস্ট একবার কইছিলেন, যেখানে ড্রয়িংয়ের শেষ সেখান থেকেই পেইন্টিং এর শুরু। জিনিসটা আমার মনে দাগ কাটছে।
আবার আরেকটা জিনিস আমি খেয়াল করছি—শিশুরা শতচেষ্টাতেও খারাপ ছবি আঁকতে পারে না। তো এই ক্যানডিডনেস আমার মনে হয় ছবির আঁকার সাথে কোথায় যেন একটা যোগ আছে। শিশুদের মনটা একটা ব্লাঙ্ক পেইজ। সে তো আর আর্ট কলেজে পড়ে নাই। তারাও সরল ও গভীরতা অনুসন্ধানী ছবি আঁকে আনমনে। এই জিনিসটাও আমারে সাহস দেয়। আসলে ছবির ভিতর একটা আধ্যাত্মিক প্রশান্তি পাই আমি। আলো-ছায়া, রং ও রঙহীনতার মাঝখানে কে যেন আসা-যাওয়া করে। উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির ভাবাবেশ তৈয়ার করে। আর সেই কী তবে অধরার রঙ কি না!
প্রতিধ্বনি আয়োজন করেছে শিল্পী জহির হাসানের একক অনলাইন চিত্র-প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর শিরোনাম অনুপস্থিতির ঠাঁই। ক্যানভাসের ছবিগুলো অ্যাক্রিলিকে আঁকা। এটি চলবে ২১ জুলাই থেকে ২১ আগস্ট ২০২৩ নাগাদ।
চিত্র-প্রদর্শনী || অনুপস্থিতির ঠাঁই || জহির হাসান
জহির হাসানের ছবি... আহ্!
নান্নু মাহবুব
জুলাই ২১, ২০২৩ ১৯:২২
চমৎকার সব ছবি, আঁকা দেখে মুগ্ধ হলাম
ওসমান গণি
জুলাই ২৩, ২০২৩ ১৩:৩৯
চমৎকার সব ছবি, আঁকা দেখে মুগ্ধ হলাম
ওসমান গণি
জুলাই ২৩, ২০২৩ ১৩:৫৪
সুন্দর আর সাবলীল ছবি!
T Md Nazim Uddin
জুলাই ২৫, ২০২৩ ০২:০২
কতদিন এক সাথে কাটিয়েছি, কোন দিন জানতে পারি নি উনি ছবি আঁকেন। কবিতা বা লেখালেখি করেন সেটাই জানা ছিল। ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ।
বাবলু ভট্টাচার্য
জুলাই ৩০, ২০২৩ ২৩:১৮
নিরন্তর শুভকামনা
আমিরুল বাসার
জুলাই ২১, ২০২৩ ১৭:১৬