লুবনা চর্যার একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘মনোভূমি’
শিল্পীর কথা
লুবনা চর্যা একজন চিত্রশল্পিী ও কবি। জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে। বেড়ে উঠেছেন খুলনাতে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর কিছুকাল কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কপি রাইটার হিসাবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করছেন। লেখা ও আঁকা এই দুই মাধ্যমেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি। তিনটি একক প্রদর্শনী হয়েছে তার। প্রথম একক প্রদর্শনীর শিরোনাম ইনসাইডার, এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল হোম স্টুডিওতে, ২০১৩ সালে। বেশ কয়েকটি যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন লুবনা। শেষ দুটো প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ঢাকায়। প্রদর্শনী দুটোর শিরোনাম ফায়ারফ্লাই [২০১৫] ও বিম্ব [২০১৬]। চলতি বাংলায় চর্যাপদের অনুবাদ করেছিলেন এক সময়। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ পাঁচ—জিওগ্রাফি ইন অ্যা জ্যু..., শয়তানের অভিনব কারখানা, পপকর্ন, চিন্তাশীল মেশিন ও হেমন্ত’কে বলা এলোমেলা কথা। তিনি নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন লিটলম্যাগে।
শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে
আমার কাছে ছবি আঁকা শুধু শখ নয়, অনেকটাই অক্সিজেনের মতো। কারণ ছবির মাধ্যমে আমি আমার চিন্তাগুলোকে ডানা মেলতে, গ্রথিত করতে আর প্রকাশ করতে পারি। আমার কাজের ধরন কনসেপচুয়াল। যা কিছু আমাকে ভাবায়, সেগুলোই ছবিতে প্রাণ পায়। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাকগ্রাউন্ড নাই বলেই হয়তো স্বাধীনতাটা একটু বেশি পাই। তবে সে স্বাধীনতা উপভোগ প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস করেও যে সম্ভব না, তা না। চাকরিতে জয়েন করার পর কবিতা লেখায় বেশ ছেদ পড়ে- কবিতার বিকল্প হিসাবেই ছবি আঁকাটা সিরিয়াসলি শুরু হয় ২০১২ সালের দিকে। যে কথাগুলো লিখতে চেয়েছিলাম, সেই বিষয়টাই আঁকতে চেষ্টা করি প্রথমটায়। এর আগে টুকটাক আঁকতাম মন চাইলে। আর এখন ছবি আঁকাটা জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিধ্বনি আয়োজন করেছে শিল্পী লুবনা চর্যার একক অনলাইন চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘মনোভূমি’। নানা মাধ্যমে আঁকা এ প্রদর্শনীটি চলবে ২৬ আগস্ট হতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নাগাদ।
চিত্রকর্ম প্রদর্শনী || মনোভূমি || লুবনা চর্যা
প্রেম ভিখারি
জীবন কণ্টকময় শুধু না, পুষ্পময়ও
হানিমুন
জননী
সময় পালায়
অগ্নি সহোদরা
মা বনাম মন্দ ঘটনারা
আরো সবুজ হোক পৃথিবী
আমার গভীরে তোমার শেকড়
সফলতা
বইয়ের গন্ধ
পিছুটান
আত্মার শুশ্রুষা
জন্মহরিণ
ভাষা দিয়ে সবকিছু প্রকাশ করা যায় না
দুই বেণী
বিসর্জনের গরুরা
© Lubna Charya
খুব ভালো লাগলো :(
সায়েম জয়
আগস্ট ৩১, ২০২৩ ১৬:০৪
বাহ ! দারুন দারুন !!
জগন্ময় পাল
সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩ ১১:০০
বাহ, খুব ভালো লাগলো।
ওয়ালি জ্যাফ
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ ২৩:৪৩
চমৎকার কনসেপ্ট। শুভকামনা
Satyajit Ghosh
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ ২৩:৩৩
ছবিগুলোর থিম অসাধারণ। চিন্তা ও প্রকাশের অরিজিনালিটি দেখে ভালো লাগলো!
আবদুর রব
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ০৭:০৪
প্রথমেই ধন্যবাদ প্রদর্শনীর এই ধারণাটার জন্য। এতে করে অনেকেই শিল্পকর্ম গুলো দেখার সুযোগ পায় যা সরাসরি প্রদর্শনীতে অনেকটাই অসম্ভব। ছবিগুলো চমৎকার। বিশেষ করে পিছুটান, দুই বেণী, সময় পালায়, এই কাজগুলো অনেক ভালো লেগেছে। একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করতে তাগিদ দেয়।
মোতাহের হোসেন সোহেল
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ১০:২৩
লুবনার কাজের সাথে প্রায় শুরু থেকেই আমি পরিচিত । সাংঘাতিক একটা একাগ্রতা তৈরী হয়, ওর ছবিগুলোর দিকে তাকালে ! সাবজেক্টিভ অথবা কনসেপচুয়াল যে-ভাষাতেই বলি না কেন, ছবির ক্যানভাসে এমন ক'রে কথা বলতে চাওয়ার তীব্র আকুতি, তীব্র আবেদন নির্মাণের চেষ্টা—বর্তমান সময়ে খুব কম শিল্পীর মধ্যেই দেখেছি। আরও যেটা না-বললেই নয় সেটা হলো, ছবিতে লুবনা নিজের বলতে চাওয়ার ভাষা নিয়ে কোনো অহেতুক অ্যাবস্ট্রাকশনের জন্ম দেয় না; অথচ মাথার মধ্যে একটা অদ্ভুত পরাবাস্তব জগৎ তৈরী হয়। যে জগতের সাথে পরিচয় হলে দর্শকের মধ্যে একটা নতুন টেনশন বা চিন্তার খোরাক তৈরী হয় সহজাতভাবে। এই ব্যাপারটি সত্যিই অনন্য ! লুবনার ছবির এটা একটা দারুণ ব্যাপার যে, কোনো অকারণ ইম্পোজিশন নেই । বরং একটা কোমলতা, একটা মায়ার আবহ আছে আত্মকথনের মতো । এখানকার ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটা অবশ্য আগেও দেখেছি । তবুও দেখে খুব ভালো লাগলো । জননী, দুই বেনী, সফলতা, অগ্নি সহোদরা, আত্মার শুশ্রূষা, জন্ম হরিণ, আরও সবুজ হোক পৃথিবী, হানিমুন এবং পিছুটান — এই ছবিগুলো আমার বেশি ভালো লাগলো । (ধন্যবাদ)
লিটু রেজোয়ান
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ০১:০৪
লুবনার কাজের সাথে প্রায় শুরু থেকেই আমি পরিচিত । সাংঘাতিক একটা একাগ্রতা তৈরী হয়, ওর ছবিগুলোর দিকে তাকালে ! সাবজেক্টিভ অথবা কনসেপচুয়াল যে-ভাষাতেই বলি না কেন, ছবির ক্যানভাসে এমন ক'রে কথা বলতে চাওয়ার তীব্র আকুতি, তীব্র আবেদন নির্মাণের চেষ্টা—বর্তমান সময়ে খুব কম শিল্পীর মধ্যেই দেখেছি। আরও যেটা না-বললেই নয় সেটা হলো, ছবিতে লুবনা নিজের বলতে চাওয়ার ভাষা নিয়ে কোনো অহেতুক অ্যাবস্ট্রাকশনের জন্ম দেয় না; অথচ মাথার মধ্যে একটা অদ্ভুত পরাবাস্তব জগৎ তৈরী হয়। যে জগতের সাথে পরিচয় হলে দর্শকের মধ্যে একটা নতুন টেনশন বা চিন্তার খোরাক তৈরী হয় সহজাতভাবে। এই ব্যাপারটি সত্যিই অনন্য ! লুবনার ছবির এটা একটা দারুণ ব্যাপার যে, কোনো অকারণ ইম্পোজিশন নেই । বরং একটা কোমলতা, একটা মায়ার আবহ আছে আত্মকথনের মতো । এখানকার ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটা অবশ্য আগেও দেখেছি । তবুও দেখে খুব ভালো লাগলো । জননী, দুই বেনী, সফলতা, অগ্নি সহোদরা, আত্মার শুশ্রূষা, জন্ম হরিণ, আরও সবুজ হোক পৃথিবী, হানিমুন এবং পিছুটান — এই ছবিগুলো আমার বেশি ভালো লাগলো । . অনেক অনেক শুভকামনা, লুবনার জন্য ।
লিটু রেজোয়ান
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ০১:৫৫
nice!
Mir RAIAN
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ১২:৫২
চমৎকার কিছু ছবি দেখার সুযোগ করে দিলেন বলে ধন্যবাদ। সরাসরি দেখার সুযোগ পেলে আরও খুশি হতাম....
কবির বিটু
আগস্ট ২৬, ২০২৩ ২৩:১৩