কিংশুক দাশ চৌধুরীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘সীমানার ক্ষত’

অ+ অ-

 

|| শিল্পীকথা ||

কিংশুক দাশ চৌধুরী একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী। জন্ম ১৯৭১ সালে, চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগে। তিন দশকেরও অধিক সময় জুড়ে তিনি দৃশ্যশিল্প চর্চা করছেন। নানান শিল্প মাধ্যমে কাজ করেছেন। কিংশুকের শিল্পযাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালে, ঢাকার সাজু আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত যৌথ প্রদর্শনীর মাধ্যমে। দেশে-বিদেশে সব মিলিয়ে তিনি ২৮টির মতো যৌথ প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করেছেন। তার প্রথম একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে। সর্বশেষ একক চিত্রকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালে, ঢাকার দ্বীপ গ্যালারিতে। হাল নাগাদ তার আটটি একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কিংশুকের শিল্পকর্ম যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমি, গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালা, কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টস, বিরলা একাডেমি অফ আর্ট এন্ড কালচার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ স্বনামধন্য গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়।   

 

|| প্রদর্শনী প্রসঙ্গে শিল্পী ||

মানব জাতির মাইগ্রেশনের ইতিহাস মিলিয়ন বছর আগের। প্রারম্ভিক মানব মাইগ্রেশন বলতে মানব উদ্ভবের প্রথম পর্যায়ে সারা পৃথিবীতে মানুষের বিস্তার ও মাইগ্রেশনকে বুঝানো হয়। যা প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকা ছেড়ে হোমো ইরেক্টাস প্রজাতির মানুষের বেরিয়ে পড়া থেকে শুরু হয়েছিল। ক্রমেই এই প্রজাতিকে অনুসরণ করে হোমো হাইডেলবারগেন্সিস। আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বছর আগে বসবাসরত হোমোগনের মানব প্রজাতিরা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ধারণা করা হয়, এরা ডেনিসোভেনাস ও নিয়েন্ডারথাল প্রজাতির মানবদের আদিপুরুষ। প্রাথমিক পর্যায়ের এই মানব প্রজাতিরা পানিতে নিমজ্জিত স্থল সংযোগ হয়ে সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মাইগ্রেশন এখনো বিভিন্নভাবে বহাল আছে। আদিকালে রাস্ট্রযন্ত্রের ভিসা-পাসপোর্ট এসবের বালাই ছিল না। মানুষ সহজেই খাদ্যের অন্বেষণ ও বাঁচার তাগিদে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবর্তন করত। এরপরে রাস্ট্র ব্যবস্থা হল। মুদ্রা-পাসপোর্ট, নাগরিক আইনসহ অনেক কিছুই হল, কিন্তু মানব সভ্যতার ইতিহাসে মাইগ্রেশন রয়ে গেল। মানুষকে বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করতে লাগল। ফলে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে চোরাগুপ্তা পথে একরাস্ট্র থেকে অন্যরাস্ট্রে আশ্রয় নিতে গেল। এখন বেশিরভাগ মানুষ মাইগ্রেট করে মূলত নানামুখি নিপীড়ন, অনিশ্চয়তাসহ নানাবিধ কারণে। হয়তো এই ক্ষণিক জীবনের নিশ্চয়তার আশায় মাতৃভুমি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। সেই অর্থে মাইগ্রেশনের সেই আশা পূরণ হয়নি। মাতৃভুমির টান তাদেরকে প্রতিনিয়ত দংশন করছে। মানুষগুলো তাদের অস্থিমজ্জাকে বিপন্ন করে তুলছে এক অদৃশ্য মানসিক যন্ত্রণাতে। আমার বর্তমান সময়ের কাজগুলো খানিকটা সেই আভাস থেকেই নির্মিত। তবে আমার ভাবনার বয়ানে দৃশ্যশিল্পের নির্মিত রূপকে নিজের মতো করে অনুভব করলে দর্শকদের হয়তো ভালো লাগবে।

প্রতিধ্বনিতে চলছে শিল্পী কিংশুক দাশ চৌধুরীর একক অনলাইন চিত্র প্রদর্শনী ‘সীমানার ক্ষত’। প্রদর্শনীটি চলবে ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই ২০২৪ সাল নাগাদ।

 

সীমানার ক্ষত || ১

 

সীমানার ক্ষত || ২

 

সীমানার ক্ষত || ৩

 

সীমানার ক্ষত || 

 

সীমানার ক্ষত || ৫

 

সীমানার ক্ষত || ৬

 

সীমানার ক্ষত || ৭

 

সীমানার ক্ষত || ৮

 

সীমানার ক্ষত || ৯

 

সীমানার ক্ষত || ১০

 

সীমানার ক্ষত || ১১

 

সীমানার ক্ষত || ১২

 

সীমানার ক্ষত || ১৩

 

সীমানার ক্ষত || ১৪

 

সীমানার ক্ষত || ১৫

 

সীমানার ক্ষত || ১৬

ছবি © কিংশুক দাশ চৌধুরী