মৃত্যুর লয় ও ক্ষয়
|| ১ ||
যেন আমাকে পেরেক
গাঁথা হয়েছে কফিনে মোড়া দিয়ে,
কালো কালো কাক উড়ে এসে
বসে বাসনা চিহ্নিত বুকে।
|| ২ ||
বুকের ভেতরে শব্দ
মনে হবে দামামা দুন্দুভি
বাজিয়ে চলেছে কেউ,
কারো কিছু গেলো এলো!
|| ৩ ||
আমার গিয়েছে ভেসে
সমস্ত জীবন শ্রম বাঁচা
মরণ কাহন দহন দিন,
রিক্ত হাতে ফিরছি দুয়ারে।
|| ৪ ||
শোনো, মৃত্যু, তুমি কত
নেবে আমার থেকেই, অন্ধ
তুমি, বুড়ো বটগাছ, গাঢ়
রাত্রি প্রগাঢ় পেঁচার
কান্না শুনেছো কি রাতভর!
|| ৫ ||
আমাকে কেন যে দেখোনি হে মৃত্যু
তোমার সবুজ পাতা খুব
পছন্দ, যেনবা এটা
তোমার একটা কাজ হলো!
|| ৬ ||
কাঠ ঠোকরা কে বানালো তুমি!
এতো সুন্দর অথচ খুট খুট করে
খেয়েই চলেছো হাড়মাস,
সে এক অসীমে বসে খেলো
নিষ্ঠুর নিয়তি যেন দাবা
খেলছো আমার হাড়গোড়ে।
|| ৭ ||
শোনো, হয়তো আমার
আমার হাতের তালুতে রেখেছো গেঁথে
পেরেক ঠোকর দিয়ে নিয়ে
গেলে তোমার আকাশে,
আমার আত্মার শোকগাঁথা।
|| ৮ ||
পাখির পালকে লেখা থাকে
অনেক পথের রেখা,
ধুলোর ভেতর আমি এক
অচেনা মানুষ প্রাণ তার,
আটকে রয়েছে কোন
মহাকাশে…
|| ৯ ||
অনেককিছু পার হয়ে তুমি আজ
শান্ত বরাভয়হীন, নিগূঢ় নিস্তব্ধ!
সমাহিত কবরের ঘুম
তোমার নির্বাণ, নির্মিলিত
চোখ ধ্যানগ্রস্ত, বাণপ্রস্থ।
তুমি বলো বুদ্ধ
জীবনে জীবন জুড়ে কত
পথ মত, গূঢ় গুপ্তপ্রাণ
সব আজ কেমন নিস্তব্ধ!
|| ১০ ||
আজ যে পথে তোমার যাত্রা
সেখানে কোন পিলগ্রিমেজ রয়েছে
হাজার পথের ক্লান্তি শেষে,
তুমি পরিব্রাজক এক
যে কিনা যিশুর ক্রসের পাশে
নবীর নামের শেষে দরুদের দোয়া।
কিছু বলতে পারছি না। আমাকে এফোঁড়-ওফোঁড় ক'রে বেরিয়ে গেল কবিতাটা...
সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ
জানুয়ারি ১৮, ২০২৪ ১২:৫২