আহমেদ নকীবের কাব্য ‘শুধু যদি রোদ ভালো লাগে’
বাংলাদেশে ছোট কাগজ সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম কর্মী কবি আহমেদ নকীব। গেল শতকের আশির শেষার্ধে নব্বইয়ের দশকের প্রারম্ভে হাতে গোনা যে ক’জন কবি নিজেদের নিরীক্ষাধর্মি কাব্যভাষা নির্মাণের প্রয়াস চালিয়েছেন নকীব তাদের প্রথম সারির একজন। তিনি শুধু কাব্যকে প্রতীকে ভাষার রূপ দান করেননি, মানব জীবনের প্রাত্যহিকতার রসদকে কাব্যে ভাষা দিয়েছেন। নকীবের কাব্যভাষা সহজ, কিন্তু ঋজু। ফলে কাব্যে থাকে মূর্ত-বিমূর্তের এক রহস্যময় দোলাচল। এবার ছোট কাগজকেন্দ্রীক প্রকাশক উড়কি প্রকাশ করেছে আহমেদ নকীবের কবিতার বই ‘শুধু যদি রোদ ভালো লাগে’।
যদি প্রশ্ন তোলা হয়, কবিতা কি যখন-তখন লেখা যায়? দিনাদুদিনের জীবনকে নিবিড়ভাবে পড়ে ওঠার ভেতর দিয়েই হয়তো তা সম্ভব। শুধু অদেখা কিংবা অধরাকে মূর্ত করা নয়, দেখাকেও নতুন ব্যাপ্তিতে ছড়িয়ে দিতে হয় কবিতায়। তবে চাক্ষুষ দেখার ভেতর দিয়ে কবিতার প্রতিমা গড়ে তোলা যতটা সহজ ততটাই চ্যালেঞ্জের। কবি তাই আপন ভাষায় দর্পিত ভঙ্গিতে এগিয়ে যান। আহমেদ নকীবের ‘শুধু যদি রোদ ভালো লাগে’ বইয়ের কবিতাগুলো সেই ধারণাকেই আরেকবার উসকে দিলো!
কবিতা মূল বিষয় হলেও নকীব সম্পাদনা করেছেন শিড়দাঁড়া নামের ছোট কাগজ। ২০১০ সালে উলুখড় থেকে ছোটকাগজ আন্দোলনের ২৫ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত ছোটকাগজ বিষয়ক গ্রন্থ ‘স্বপ্নের সারসেরা’র সম্পাদনা পরিষদ-এর অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শিশু ও হারানো বিড়ালের কথা’ থেকে সর্বশেষ গ্রন্থ নাগাদ ‘শুধু যদি রোদ ভালো লাগে’ পর্যন্ত নানা নিরীক্ষায় নিজের কাব্যভাষা সৃষ্টির স্বাক্ষর রেখেছেন। ‘শুধু যদি রোদ ভালো লাগে’ বইটি লেখকের ড্রইং অবলম্বনে প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল। কাব্যগ্রন্থের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৬। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন