কালের ধ্বনির ‘বাংলাদেশের কবিতার ৫০ বছর’

অ+ অ-

 

বাংলাদেশের কবিতার ৫০ বছর নিয়ে প্রকাশিত হলো সাহিত্য কাগজ কালের ধ্বনি। ১৯৭২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ের কাব্য পর্যবেক্ষণ এবং খ্যাতিমান কবি লেখকদের পাশাপাশি তরুণদের লেখায় কবিতাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক সমাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র, কবি ও কবিতাকে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করা হয়েছে পত্রিকাটিতে। এটি সম্পাদনা করেছেন ইমরান মাহফুজ। এর প্রধান সম্পাদক আশিক রেজা। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী আনিসুজ্জমান সোহেল। দাম রাখা হয়েছে ৬০০ টাকা।

কালের ধ্বনির শুরুতে ভূমিকা হিসেবে ভাষা আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশের কবিতার গতি-প্রকৃতি লিখেছেন কুদরত-ই-হুদা। প্রস্তাবনায় কাজল রশীদ শাহীন দাবি করেছেনজসীম উদ্‌দীনকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি করা হোক। এ ছাড়াও বাংলাদেশের কবিতা: দশক বিবেচনা, কবিতার বাঁকবদল, রাজনীতি ও সংকট, বাংলাদেশের কবিতা : শিল্পবোধ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন, বাঙাল কবির তারুণ্য ও ভবিষৎ, কবিতার বাঁকবদল, রাজনীতি ও সংকট, জনপ্রিয় কবিতার বিদ্যায়তনিক মূল্য ও প্রকরণ-বৈচিত্র্য, ভিন্নচোখে কবিতার ব্যবচ্ছেদ, বাংলা কবিতার কেন এই দুর্দিন, বাংলাদেশে অন্যভাষার কবি ও কবিতা, কবিতার সংগঠন ও আড্ডা, কবিতায় নারীবাদ, নারীদের কবিতায় নারীবাদ, বিশেষ সাক্ষাৎকার ও পরিশিষ্ট নামের পর্ব রয়েছে।

পত্রিকাতে ১৩টি ভিন্ন বিষয়ে ৬২টিরও বেশি লেখা আছে এই সংখ্যায়। লিখেছেন সাহিত্য সমালোচক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবিসহ অনেকেই। কবিতা নিয়ে সাক্ষাতকার সংযুক্ত করা হয়েছে জসিম উদ্দিন, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ শামসুল হক, আল মাহমুদ, আসাদ চৌধুরী, মহাদেব সাহার মতো মানুষের। যারা কবিতা পড়েন, কবিতা নিয়ে আগ্রহ আছে তাদের জন্য পত্রিকাটি সংগ্রহযোগ্য।

পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, পঞ্চাশ বছরে ব্যক্তির পূর্ণমনস্কতা আশা করা হয়। বলা যায় সাবালকত্ব। বাংলাদেশের পঞ্চাশতম জন্মদিনের জন্য পরিকল্পিত কালের ধ্বনি নানা কারণে বিলম্বিত হলো। বিলম্বের কারণ দর্শানো লেখার উদ্দেশ্য নয়। বরং বাংলাদেশের স্বপ্নচারী কবিকুল, কবিতা কতটা সাবালকত্ব অর্জন করেছে কিংবা চৌহদ্দি তালাশপ্রকাশ ও বিশ্লেষণে একটি চিত্র আঁকার চেষ্টা করেছি আমরা। বাংলাদেশের (১৯৭২-২০২২) কবিতায় রাষ্ট্রচিন্তার প্রকাশ, কবিদের নবগঠিত রাষ্ট্রভাবনা, জীবন-কল্পনা, দিগদর্শন এবং অজ্ঞান-অচেতনের ঠিকুজি অনুসন্ধান হাজির করার জন্য কালের ধ্বনির উদ্যোগ।