বিচার ও অন্যান্য কবিতা
বিদায়
বন্ধু, কি চাইবো আর তোমার কাছে—
আমি তো নিজেই শূন্য।
শূন্য হাতে কিছুই মেলে না—
না খোদা, না তার কোনোকিছু!
বরং তুমি বাড়ি ফিরে যাও—
আর তোমার সঙ্গীকে গিয়ে বলো,
ওই বেখাপ্পা লোকটা
আর কোনোদনিও এদিকে আসবে না।
বিচার
তিনি সবকিছু কেড়ে নিলেন—
এবং হাসতে হাসতে কেড়ে নিলেন।
আমিও তাই একা—
একাই হাসি।
আর এখন এ কথা যাকেই বলি—
সেই-ই বলে,
এমন ভালোবাসাই বাসলে সৌম—
যে, নিজের দুঃখগুলোও টের পেলে না!
পাগল
সৌম, তুমি সুখি—
কারণ তুমি পাগল
লোকেরা তাই বলে।
তুমি ভালোবাসার ব্যাপারে—
কেন মুখ খুলছো না!
তফাৎ
সৌম, দেখতে থাকো—
যা দেখছ,
আর যা কখনও দেখোনি আগে।
তফাৎ এই যে—
তুমি শুধু ভালোবাসার চোখেই দেখছো।
তোমার রূপ
আমার কাছে তোমার কোনো ছবি নেই—
পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজি।
আর যখন আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই,
বলি, সৌম—তুমি কই?
কি আশ্চর্য! আমি কোথায়—
তুমিই তো আমার পূর্নাঙ্গ রূপ ধরে আছো।
ভূমিকা
আমার জীবন, বুদ্ধিহীন—
নিরেট পাথর।
তোমার ঘরে তুলে এনে—
তুমি কি বানালে
সে নিজেও জানো না।
এখন হয় আমাকে সাজিয়ে রাখো—
নয় তো ছুঁড়ে মারো দূরে।
ধন্যবাদ শাখাওয়াত বকুল লেখাগুলো পড়ার জন্য এবং সেই সাথে নিজের মত প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন...
সারাজাত সৌম
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১৪:০৬
সব কয়টা কবিতায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।সরল অথচ গভীর। অনেকের কবিতায় প্রবেশের একসেস থাকেনা, এই কবিতার গতায়াত সব দিকে
শাখাওয়াত বকুল
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ০২:৪৮