টোকনের হেলিকপ্টারগুলো

অ+ অ-

 

||  ||

হেলিকপ্টার থেকে হাজার হাজার কাগজ উড়ে আসছে। দম শেষ হওয়া কাগজের এরোপ্লেনের মতো একটা এসে থেমে গেলো বালকের পায়ের সামনে ঘাসের ওপর। লাল আর কালো রঙের একটা লিফলেট। ছবি আছে একটা। হাতে আঁকা ছবির মুখটা উদ্ধত, অস্ত্র হাতে। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মাথায় এক টুকরো কাপড় বাঁধা। ছোট ছোট কিছু লেখার শীর্ষে একটা ক্যাপশন—এদের ধরিয়ে দিন। ছবির লোকটাকে দেখে হিরো হিরো লাগে। 
এই বালকদের কাছে হেলিকপ্টার নতুন কিছু নয়। একটা সামরিক স্কুলের ক্যাম্পাসে এদের বাবাদের চাকরি; কারো বাবা সামরিক, কারো বাবা অসামরিক। বিশাল সবুজ মাঠে প্রায়ই হেলিকপ্টার নামে। বালকেরা তাই আদেখলার মতো দৌড়ে যায় না। হয়তো সেই আকাশযানের জানালা গলে বেরিয়ে এলেন কোনো এক এয়ার কমোডর। হয়তো তাঁর নাম তোরাব সাহেব। বালকদের বাবারা তখন গুঞ্জনে ব্যস্ত।  তারা বলছেন, হেলিকপ্টার থিকা তোরাব সাহেব নামছেন, কিন্তু মেজর আপেল তো ভিতরে বসা। উনাকে নিয়ে ঘুরতেছেন। কায়দামতো কোথাও নামাইয়া দিবেন। এরকম সব সম্ভব–অসম্ভব গুঞ্জন চলতে থাকে।

 

|| ২ ||

কয়েক দিন পর বালক টোকন নানাবাড়ি গেছে। মা বলে দিয়েছেন, দুই ভাই দুটো ক্যাপ পরে স্টিমার থেকে নামবে। গুলিস্তান থেকে বাবা কিনে দিয়েছিলেন, আজকাল গলফ খেলোয়াড়দের মাথায় ওরকম টুপি দেখা যায়। ফ্লানেল কাপড়ের চেক ডিজাইনের টুপি ওদের। সুগন্ধা তীরের স্টিমার ঘাটে সেজ মামা শামিমকে নিয়ে হাজির। শামিমেরও তো বালক বয়স। অপেক্ষা করতে  করতে মামাকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করে। তখন তো আর চিপস বা চকলেট ধরিয়ে দিয়ে কৌতূহলী শিশুদের মুখ বন্ধ করে দেয়ার রীতি ছিল না। বাজে খাবার ছিলই না বলতে গেলে। টোকনের অনেক ভিন্ন আকর্ষণ আছে এখানে; অবশ্য গতবার সেই কুলফিওয়ালাকে খুঁজেই পায়নি আর।  শামীমকে সেজ মামা বকেছেন। একটা বড় লঞ্চের গায়ে ‘এমভি মেখলা’ লেখা দেখে ও মামাকে জিজ্ঞেস করেছিল, মামা, এই লঞ্চটা কি মেঘনা নদীর উপর দিয়া চলতে আছে? জনসমক্ষে তো আর বোনের ছেলেকে চড় দেয়া যায় না, মামা ওকে শাসন করলেন, সামান্য একটা লেখাও বানান কইরা পড়তে পারিস না? মূর্খ কোথাকার!  
পরদিন এই মফস্বল শহরের দেয়ালে দেয়ালেও সেই লিফলেটের ছবিওয়ালা পোস্টার সাঁটাচ্ছিল। বাড়িগুলোর বেশিরভাগেরই আলাদা দেয়াল নাই, বাড়িগুলোর ইটের দেয়ালে, টিনের দেয়ালে ছোট-বড় পোস্টার। নানার বয়স হয়েছে। এ বছর হজ্জে যেতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারেরা বাড়িঘর, দোকানপাট সব পুড়িয়ে দিয়েছিল। দুই ছেলে রাজনীতি করতো। আরেক ছেলে হাবুল ঢাকার ওয়ারি ক্লাবে ফুটবল খেলতো। তাকেও গুলি করবে বলে সুগন্ধার পাড়ে নিয়ে গিয়েছিল। বিশাল সংসারের সব গুছিয়ে নিয়ে, ব্যবসাপত্র গুছিয়ে নিতে নিতে কিছু দেরি হয়ে গেল মৌলভী তালুকদার সাহেবের। ইদানীং শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। ছাদেক আলী ডাক্তার দেখেন। চৌমাথায় বড় ছেলের নিজের ফার্মেসি। বরিশালের ডাক্তারও দেখেন। হজ্জে বোধ হয় নিজে যেতে পারবেন না। বদলি হজ্জ করাতে হবে কাউকে দিয়ে। তালুকদার সাহেবের এখনও অনেক কৌতূহল। লম্বা বারান্দার একপাশে তার বিছানা। জানালা দিয়ে দেখতে পান পোস্টার লাগানো হচ্ছে। শামীমকে  পাঠান, যা দেখতো গিয়া একটা পোস্টার লইয়া আয়। শামীম পোস্টার এনে দেয়। ‘এদের ধরিয়ে দিন’। তালুকদার সাহেব মাত্র কদিন আগে বাড়ির বাইরের টিনে গাঢ় সবুজ  রং করিয়েছেন। শামীমকে দিয়ে সেজ ছেলেকে তার রেশন দোকানে খবর পাঠালেন, বাইরের দেয়ালে ২/৩ টা ছোট সাইনবোর্ডে ‘এখানে পোস্টার লাগাবেন না’ লিখে লাগিয়ে দিতে। টোকনের আর পোস্টারে মন নাই। কিন্তু অবচেতনে বুঝে ফেলে পোস্টারের যুবকটা আসলে হিরো না, ভিলেইন।  
টোকন দোতালার ঘরে একটা সাধারণ জ্ঞানের বই পেয়েছে—অনেক প্রশ্নের উত্তরেই অশ্বিনী কুমার দত্তের নাম লেখা। কিন্তু বাংলাদেশের ডায়েরিতে তো এই নাম নাই! সে একটা চকখড়ি খুঁজে পায়। দোতলায় এখনও সেই একাত্তরের পোড়াটিনের কালো-কালো দেয়াল। কালো পটে লিখে রাখে ‘১৯৭৪’। আলকাতরা লাগানো কালো-কালো দরজা জানালা দেখেও মনে পড়ে এই বাড়িটা পুড়ে গিয়েছিল। মামা খালারা সাত ভাইবোন তখন গুদাম ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন, আর বাকি চারজন ছিলেন নিজেদের সংসারে। টোকনরাই সবচেয়ে দূরে থাকে। তাই মামাদের কাছ থেকে বেশি আদরও জোটে। নানীর মতিভ্রম আছে। সেই লেলিহান স্মৃতির পরেই কি? বালক জানে না।

 

|| ৩ ||

রাশেদ একটু বেশিই বকে। সে অধ্যাপক গাফফার সাহেবের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। পাশের গ্রামেই তার বাড়ি। এ ধরনের কাজ নাকি খুব নীরস লাগে তার। সে উচ্চাকাঙ্ক্ষী। ঢাকা তাকে টানে। সে ঢাকা যাবে। বিমানবাহিনীতে তার কে এক আত্মীয় আছে। কেরানি বা ভাণ্ডার রক্ষকের একটা কাজ পেয়ে যাবে হয়তো। সুধীরবাবু রাশেদের নামে ছড়া কাটে, “শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের, কী যেন হয় গঙ্গারামের!” কিন্তু পীর বংশের ভাগ্নে রাশেদ মুন্সি বছর দুয়েক বাদে  ঠিকই একদিন বিমানবাহিনীর একটা চাকরি জোগাড় করে ফিরবে। ততদিনে এয়ার ভাইস মার্শাল এমকে বাসেদ সাহেব বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন। তারপর এক কোরবানির ঈদের ছুটিতে রাশেদ বাড়ি ফিরবে। ততদিনে সামরিক স্কুলের গেইট দুটি বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ ঘোষিত হয়েছে। উর্দি পরা দরবেশ আলী দারোয়ান একটা লাঠি হাতে বসে থাকে। কেননা ইতোমধ্যে স্কুলের সামরিক বিজ্ঞান ক্লাসের চাঁদমারিতে ব্যবহৃত রাইফেলগুলো ডাকাতি হয়ে গেছে! রাশেদের অবশ্য ভেতরে আসতে বাধা নেই। একদিন সে আড্ডায় এসে বলবে, বাসেদ স্যার তো নতুন বিমানের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ কইরা গাড়ির দরজা পর্যন্ত গেছিলেন গিয়া। কে যেন তারে পিছন থিকা বলল, স্যার প্লেনটা একবার টেস্ট কইরা গেলেন না? স্যার তো উড়ার সুযোগ পাইলে খুশিই হন।
কে সেই লোক, যে কথাটা বলছিলো? তারে ধরলেই সব ফর ফর কইরা বাইর হইয়া যাইব! রাশেদ ঢাকা থেকে এসেছে। বিমানবাহিনীর লোক। কাজেই প্রাক্তন সহকর্মীরা স্টার সিগারেট টানতে টানতে বিষয়টার গভীরে যেতে থাকে। চারদিকে কী হইতেছে এইসব!

 

|| ৪ ||

বিকেলে ফড়িং উড়লে নাকি সকালে বৃষ্টি হয়। আর সকালে ফড়িং উড়লে বিকেলে বৃষ্টি হয়। হাওয়াই নাকি তাহিতি দ্বীপে এমনটা হয়। ভূগোলের খান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান স্যার বলেছিলেন। বালকেরা অপেক্ষা করতো—আমাদের এখানেও কখনো এমন হতে পারে নাকি! অবশ্য প্রায়ই সেই ভবিষ্যৎবাণী ফলে যেতো। একদিন বিকেলে ফড়িং উড়েছিল। পরদিন আকাশ কালো করে সেই পূর্ব নির্ধারিত বৃষ্টিটা হয়েছিল। অবশ্য এটা কোনো অবাক করা বিষয় নয়, কেননা তখন শ্রাবণ মাস চলছিল—‘শ্রাবণের মেঘ আকাশে জটলা পাকায়’, হায়!  
এই আবহাওয়াবিদ ফড়িংগুলো ফুলে ফুলে কিংবা লম্বা ঘাসের ডগায় ঘুরে ঘুরে উড়তো। আরেক দল ছিল ঘাস ফড়িং। বালকেরা ওদেরকে ধরে ফেলতো শিকারী বিড়ালের মতো সম্মোহনী ক্ষমতায়। তারপর নিষ্পাপ বালকেরা ওদের ডানা ছিঁড়ে দিয়ে নির্বিকারভাবে অসমাপ্ত ফুটবল ম্যাচে ফিরে যেত। ওদের ফড়িং ধরার ফাঁদ নাই। ‘শিশু’ পত্রিকায় টোকন দেখেছে ভিয়েতনামে গীতা  বুনচান নামের এক শিশুর ছবি—সে ফাঁদ হাতে ফড়িং ধরতে যাচ্ছে। মেয়েটার মলিন পোশাক, দুই গালে শীতের দেশের পাহাড়ি শিশুদের মতো ধুসর দাগ। এদিকে গোল উদযাপনের চিৎকারে সম্বিৎ পেয়ে টোকন সাইডলাইনে বসে আবার খেলায় মন দেয়। মোমেন একটা গোল করেছে। সে ইদানীং ব্যাকভলিতে গোল করা শিখেছে। ঢাকা স্টেডিয়ামে এক সৌদি খেলোয়াড় গোলটা করেছিল। ওরা চৌধুরী হাবিলদারের বাসার ছাদে বসে টিভিতে সেই খেলাটা দেখেছিল। পরদিন পত্রিকাও সেই ছবিটা ছেপেছিলো। ওই যে সাইডলাইনের আহত ফড়িংগুলো—ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হবার আগেই—আবার বৃষ্টি হবার আগে মরে যাবে ওরা। নিহত ফড়িংগুলো ধুয়ে-মুছে যাবে কোনো খাল বা নদীতে।  
গীতা বুনচানের দেশ তখন এক অবাক নাম! রহমান কাকার বাসায় লাল লাল বই দেখেছে সে। বাবার কাছে একদিন রহমান কাকা টাকা চেয়ে একটা চিরকুট লিখে টোকনের হাতে দিয়েছিলেন। শেষ লাইনটা একদম বুঝতে পারেনি—‘সমাজতন্ত্র আসতে আর দেরি নাই!’ বালক জানতো না অন্যের চিঠি পড়তে নেই। রহমান কাকার টেবিলে মোটা মোটা ইংরেজি বইও থাকতো। একটা বইয়ের ৯৮২ পৃষ্ঠায় একটা ছবি ছিল: একজন ঘোড়ায় আরোহী নিজেই তার সদ্য শিরচ্ছেদ করা মাথা লম্বা তরবারির ডগায় ঝুলিয়ে ছুটে যাচ্ছে। আবারও এ বাসায় এলে ওই পৃষ্ঠা খুলে দেখবে সে। ভয় লেগেছিল, তবু আরেকবার ভূতের গল্প শোনার মতো ছবিটা আরেকবার দেখবে। রহমান কাকার তিন মেয়ে দুই ছেলে। বড় দুই মেয়ে স্কুলে যায় না। ঘরে পড়ে। ছোট মেয়ে আর ছেলেরা ছোট, স্কুলের বয়স হয়নি। রহমান কাকা প্রাতিষ্ঠানিক স্কুলে বিশ্বাস করেন না। বাচ্চাদেরকে ঘরেই পড়ান। 
মাঠের ফড়িংগুলো হেলিকপ্টারের মতো উড়তে জানতো। আজ ওরা ডানাহীন প্রাণহীন উড়তে উড়তে বুড়িগঙ্গা, কপোতাক্ষ, কর্ণফুলী, মধুমতি।

 

|| ৫ ||

বরাবরের মতো লোডশেডিংয়ের সন্ধ্যায় ইয়াসিন কালো পিচের রাস্তার ওপর বসে পড়ে। চারপাশে মন্ত্রমুগ্ধ বালকের দল। আকাশে তারায় ভরা চৈত্র মাসের রাত। আজ আবারও বালকদের  আলিফ লায়লা রজনী। ইয়াসিন নাটকীয় ভঙ্গিতে সিনেমার গল্প শোনায়:
অশোক ধ্যানে বসে ছিলেন দয়া নদীর তীরে এক পাথুরে গুহায়। অনুতাপের অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। একচোখে তার উদয়গিরির পাথর, অন্যচোখে খণ্ডগিরির বেলে মাটি। দয়া নদী অশোকের বিরুদ্ধ পক্ষের সেনাবাহিনীর নিহত সৈনিকদের রক্তে লাল।
এই দেশের বালকেরা কারবালা আর কুরুক্ষেত্রের কাহিনি শুনে শুনে বড় হয়।
কিন্তু আশোকের এই দেশে আজ আর কোনো রাজা ধর্মাশোক হয় না।
অস্তমিত আকাশে গরুড় উড়ে যায়। ঘরে ফিরে যাচ্ছে বুঝি! গরুড়ের ঘর কোথায়, পুরাণের কোনো পাতায়?

 

||  ||

টোকনদের বাসায় বসার ঘরের দেয়ালে গ্ল্যাক্সো কোম্পানির গত বছরের ক্যালেন্ডার কাটা ছয়টি  হাস্যময় শিশু হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে। আর আছে একটা বোররাকের ছবি। সুশ্রী মুখের শাদা জন্তু। কিংবা মুহূর্ত- বিজলি। সে ‘নজরুল কাব্য সঞ্চয়নে’ পড়েছে, “তাজি বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার!” কিন্তু বালক উচ্চৈঃশ্রবার কোনো ছবি কল্পনা করতে পারে না। বেগুনী কাপড়ের মলাট দেয়া বইটা থেকে শব্দ করে পড়ে বিদ্রোহী, প্রলয়োল্লাস, কামাল পাশা; আর বইটা উল্টাতে উল্টাতে কতো কতো কবিতার শিরোনাম মুখস্ত হয়ে যায়! বালক জানে না, বাকি জীবন ঐ মুখস্ত করা শিরোনামগুলোর বাইরে আর পড়া হবে না।
বোররাক কী স্বপ্নের হেলিকপ্টার! না হলে কার পিঠে চড়ে পাতালপুরী থেকে সাত আসমানে ঘুরে আসে। ঘুম ভাঙ্গবার আগেই এই অলৌকিক চন্দ্রযানে ফিরে আসা সম্ভব। নয়তো মা ভীষণ বকতেন।

 

|| ৭ ||

একটা জলপাই রঙের হেলিকপ্টার গ্রামের আকাশে চক্কর দেয়। গ্রামের ছেলেরা দেখে আকাশে একটা বিশাল ঘাস ফড়িং। জালের মতো নদীরা বিছিয়ে আছে সবুজ শ্যামল শস্যের প্রান্তরে। উর্দি পরা কয়েকজন উদ্ধত মানুষ হেলিকপ্টারে ক’রে একটি আলোর কফিন বহন করে এনেছে। ইমাম সাহেব লাশটিকে নিয়ে কবিতা লিখবেন। উদ্ধত মেজর সাহেব লাশটিকে পুঁতে ফেলতে বলেন। ইমাম সাহেব বলেন, মুর্দার গোসল দিতে হবে, জানাজা পড়াতে হবে। তারপর এই আলোর কফিন কবরে যাবে।
আমাদের বালকেরা আবার চৌধুরী হাবিলদারের বাসার ছাদে গিয়ে টিভি দেখে। বাবারা কানের কাছে রেডিও নিয়ে ভাবলেশহীন বসে থাকে। মায়েদের চোখ মুখ ভয়ার্ত। সবাই আশ্চর্য রকমের নীরব। বালকেরা পরদিন স্কুলে যায়, বল খেলে। তাদের আর ফড়িংদের ডানা বা পা বিচ্ছিন্ন করার ইচ্ছা হয় না। এই কাহিনি বালকদের যৌথ স্মৃতি জুড়ে বসে থাকে, গরুর পিঠে বসে থাকা দোয়েলের মতো।
“রাতের চাদর দিয়ে ঢেকে দাও আলোর কফিন।’
এক সময় টোকন ও তার বন্ধুদের ঘুম আসে। কিন্তু সেই কফিনের আলো কখনো নেভে না।