যে কোনো একটা শান্ত সকাল
আব্বা
আব্বা একটা ছায়ার নাম।
সেই ছায়ায় বসে ভাবতাম
‘পৃথিবীতে কী আরাম!’
অথচ আব্বা তখন
রান্না হচ্ছেন
রোদে!
শূন্যতা
শূন্য মানুষ বাড়ি ফেরে
আরো বেশি শূন্যতাসহ!
তবু পা চলে না, কাঁধে
থাকে নিজের মৃতদেহ!
শিশুর পায়ের জুতা
আজ যদি মনে হয় আমি রাঁধবো সময়
কাল সকালে ভাবি গোর খননও
খারাপ কিছু নয়।
যতটুকু বাঁচি তারও বেশি মরার দিকে যাই
মরতে মরতে ভাবি একটু ফুলগাছ হই
হই একটু শিশুর পায়ের জুতা
কিন্তু, দেখি যোগ্যতা নাই!
যে কোনো একটা শান্ত সকাল
বুধবার সকালের পৃথিবীতে
বাতাসে উড়তে থাকে রোদ
আর আমার মনে হয় পৃথিবীতে কী শান্তি
যুদ্ধের কী অনুপস্থিতি!
বুধবার কি অন্য দিনের মতো
অশ্রু ও হাসি নামের দুইটা পাড়ের মধ্য দিয়ে
প্রবাহিত নদী!
আত্মজীবনী
আমার জন্মের সাথে একটা মৃত্যুরও জন্ম হয়।
ভূ-পৃষ্টে নির্ধারিত হয় নতুন একটা কবরের স্থান।
স্থানটির সাথে আমার আজও দেখা হয়নি।
আমি আমার কবরটি খুঁজতে বের হই।
মানুষকে জিজ্ঞেস করি। কেউ বলতে পারে না।
আমি জানতে চাই আমার লাশবহনকারীদের নাম।
কেউ বলে না। বলে না কবর খননকারীদের নাম।
আমি আকাশের দিকে তাকাই। দেখি অনন্ত তারার মাঠ।
ভাবি তারা কথা বলছে।
আমার চোখ যায় একটা দলছুট তারার দিকে।
তারাটির নিঃসঙ্গতা আমাকে গ্রাস করে।
কারা তাকে ফেলে এসেছে নিঃসঙ্গ একটা আকাশের ভিতর?
আমি মানুষের মিলনের দিকে তাকাই।
দেখি সবচেয়ে ঘন মিলনের মাঝেও অসীম দূরত্ব।
আর মিলিত মানুষগুলো নির্বাক।
তারা জানে না কে কাকে কোথায় ফেলে আসবে কখন।
এই চিন্তা নিয়ে প্রত্যেকেই একটা পথ ধরে হাঁটে।
যার যার একলা নিজের পথ।
.
নিষাদ
জীবন দিয়ে হলেও মৃত্যুকে শিকার করো
অন্যথায় মৃত্যুই শিকার করবে তোমাকে, রে নিষাদ!
নদী ও রাতের গল্প
নদীরে মাঝপথে রেখে পৃথিবীতে সন্ধ্যা নামে;
নদী সারারাত গড়িয়ে চলে ১টা সূর্যের খোঁজে!
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন