আমি অবুঝ হয়েছি বোধগম্যতায়

অ+ অ-

 

|| ১ ||

আমাদের ভুলে ভরা গল্পে 
ছড়িয়ে আছে হলুদ উপমা,
স্মৃতিরা নিয়ে আসে নিঃস্ব আলাপকাল...
সে কি জানে পরিত্রাণ কিংবা ক্ষমা!

 
|| ২ ||

শীতের সকাল জুড়ে কুয়াশায় থাকবে তুমুল তুলোঝড়...
উড়ে যাবে শাদা-শাদা বকুল, নরম রোদ,
হেঁটে যাবে একজন পথিক, পথভোলা!
সে ঈশ্বর সন্ধানী অথবা যেকোনো মানুষ—
সব দৃশ্যের অদৃশ্য কানামাছি রহস্যাবৃত।
বিশাল মাঠের সিঁথিতে পা রেখে চমকে উঠবে!
রোদের আলোর ঝলক, সবুজ ঘাসের ডগায় দানায় দানায়...
তপ্ত আবেগের কাছে ডুব দেয়, গত জন্মের বোধ।

 

|| ৩ ||

এসো, পথ হারাও নতুন তারার পিছু পিছু...   
ডাক নাম নিয়ে ময়ূরী পেখম খোলে। 
দেউলিয়া মেঘেদের অনেক গান, অনেক বৃষ্টি  
দ্যাখো, ছদ্মবেশী বৃক্ষ ছাতার মতন দাঁড়িয়ে। 
বৃষ্টি নেই। চলো, দৃশ্যাস্ত্র ছুড়ি শাদা ক্যানভাসে 
ঋতুকাল ফুরিয়ে আসা নারীদের হাসি আঁকি। 
আলোর পাশের নির্জনতায় চায়ের ঘ্রাণ;    
নতুন সাবানের গন্ধ পেতে মোড়ক খুলে রাখি। 
মুগ্ধতা কেটে গেলে চিত্রকল্পে উড়ন্ত পাখিরা— 
ডালিমের ডালে বসে।  

 

|| ৪ ||

দুলছে শালপাতার পর্দা। 
সূতাহীন মালা থেকে
বেরিয়ে আসছে, সবুজ সাপ!
রহস্যপ্রবণ হয়ে উঠছে অন্যসব বিষয়বস্তু,
আলোচ্য চতুর্থ বিষয় থেকে।
লোকালয় থেকে কিছু দূরে... 
গভীর মৌলিক গভীরতা, 
জন্মের প্রথম কান্নার মতো 

তারপর সেখানে আলোচনায় আসে,
মৃত্যু ও ঘুমের আলিঙ্গন সম্পর্কিত—
নতুন কোনো জন্ম।

 

|| ৫ ||

টানেলে একটা লাল বল
(তারপর লেখো আরও কিছু)....

শীত অর্থ চলে যাওয়া নয়
(তারপর লেখো আরও কিছু)....