যন্ত্রণা গল্পের মাঝেই থাকা উচিত : ডেভিড লিঞ্চ

|| ডেভিড লিঞ্চ ||
এক অনন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও চিত্রশিল্পী। কয়েকদিন আগে, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে, ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড লিঞ্চ। চলচ্চিত্র জগতে ডেভিড লিঞ্চ ছিলেন অনন্য নাম। তিনি মূলত পরিচিত তাঁর স্যুরিয়ালিস্ট চলচ্চিত্রগুলোর জন্য। অসাধারণ কাজগুলো তাঁকে লিঞ্চিয়ান নামে একটি বিশেষ চলচ্চিত্র নির্মাণ শৈলীর জনক হিসেবে পরিচিত করেছে।
ডেভিড লিঞ্চ ১৯৪৬ সালের ২০ জানুয়ারি মন্টানার মিসুলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ডোনাল্ড লিঞ্চ একজন গবেষক এবং মা এডউইন একজন শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলায় বিভিন্ন শহরে বসবাসের অভিজ্ঞতা তাঁর চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলে। লিঞ্চ তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন ফিলাডেলফিয়া অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে। শিল্প ও চিত্রকর্মে আগ্রহী লিঞ্চ সেখান থেকেই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আকৃষ্ট হন।
১৯৭৭ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ইরেজারহেড মুক্তি পায়, যা দ্রুতই একটি কাল্ট ফিল্মে পরিণত হয়। এই ছবির সাফল্যের পর তিনি আরও বড় প্রজেক্টের জন্য সুযোগ পান। ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়। ছবিটি আটটি একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এরপর তিনি তৈরি করেন ডিউন এবং তারপর ব্লু ভেলভেট। ব্লু ভেলভেট চলচ্চিত্রটি অনন্য স্টাইল ও ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সমাদৃত হয়। লিঞ্চের কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অতিপ্রাকৃত উপাদান এবং মানুষের অবচেতন মনের অন্ধকার দিক তুলে ধরা।
লিঞ্চের টেলিভিশন সিরিজ ‘টুইন পিকস’ তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। এই সিরিজটি রহস্য ও অতিপ্রাকৃত ঘটনার মিশেলে তৈরি এবং ১৯৯০-এর দশকের অন্যতম প্রভাবশালী টিভি সিরিজ হিসেবে গণ্য করা হয়। লিঞ্চের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে মুলহল্যান্ড ড্রাইভ, ওয়াইল্ড অ্যাট হার্ট, এবং লস্ট হাইওয়ে।
স্মরণীয় কাজের জন্য ডেভিড লিঞ্চ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাম ডি’অর এবং ২০১৯ সালে একাডেমি থেকে সম্মানসূচক অস্কার। তিনি একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী ও সুরকার। তিনি ডেভিড লিঞ্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা ধ্যান ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে। ব্যক্তিগত জীবনে, লিঞ্চ চার সন্তানের জনক। তাঁর সন্তানরাও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
নিচের সাক্ষাতকারটি ২০২৪ সালে দ্য টকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী রুম টু ড্রিমে তিনি লিখেছেন কিভাবে অতিরিক্ত রাগের সমস্যা দূর করতে তিনি ধ্যান করা শুরু করেন। এই সাক্ষাতকারে তাঁর জীবনের সেই পর্যায়ের কিছু বিষয় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে ধ্যান এবং নিজের মাঝে ডুব দেওয়ার অভ্যাস তাঁর সৃষ্টিশীল কাজে কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে, কিভাবে তিনি নিজের চেতনার গভীরে ডুব দিয়ে খুঁজেছেন আইডিয়ার সুতো কিংবা পূর্বসূরী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মাঝে কাদের কাজ তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে এমন সব দারুণ প্রসঙ্গ।
অনুবাদ ও ভূমিকা: আহসানুল করিম
ছবি: ডিলান কালটার || কৃতজ্ঞতা: দ্য গার্ডিয়ান
সাক্ষাৎকারে ডেভিড লিঞ্চ || যন্ত্রণা গল্পের মাঝেই থাকা উচিত
প্রশ্ন: মি. লিঞ্চ, আপনি কি অতিরিক্ত রাগের সমস্যার জন্য ট্রান্সসেন্ডেন্টাল মেডিটেশন শিখেছিলেন?
ডেভিড লিঞ্চ: না। আমি খেয়াল করেছিলাম যে আমার মাঝে রাগ আছে। অনেক মানুষের মাঝেই এমন থাকে, আমারও ছিল। মানুষ তাদের রাগ এমন আরেকজন নির্দিষ্ট মানুষের ওপর ঢেলে দেয় যার সাথে সহজেই সে পেরে ওঠে—আমি যেমন আমার প্রথম স্ত্রীর ওপর সেটা করতাম। এরপর আমি ধ্যান করা শুরু করলাম এবং দুই সপ্তাহ যেতে না যেতে আমার স্ত্রী এসে জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হচ্ছে বলো তো?’ বললাম, ‘কী বলতে চাও?’ সে বললো, ‘তোমার সব রাগ গেলো কোথায়?’ ও আর কখনো আমার রাগ দেখতে পায়নি। অনেক সময় মানুষ ধ্যান শুরু করলে নিজেরা পরিবর্তনটা বুঝতে পারে না, কিন্তু তাদের চারপাশের মানুষ সেটা আগে খেয়াল করে।
প্রশ্ন: তাহলে ধ্যান শুরু করার কারণ কী ছিল?
লিঞ্চ: ১৯৭৩ সালে আমি ধ্যান শুরু করি। শুনেছিলাম যে মানুষের পক্ষে দিব্যজ্ঞান লাভ করা সম্ভব। এই ভাবনা আমাকে পাগল করে তুলছিল। শোনা যায় যে আমরা নাকি আমাদের মস্তিষ্কের মাত্র পাঁচ বা দশ শতাংশ ব্যবহার করি। বাকি অংশটা কী কাজে লাগে? কীভাবে আরও বেশি অংশ কাজে লাগানো যায়? সর্বোচ্চ কতটা অর্জন করা সম্ভব? অনেকে বলে ধ্যান দৌড়ানোর মতো বা সৈকতে রোদ পোহানোর মতো একটা ব্যাপার। এটা ধ্যান সম্পর্কে একটা বড় ভুল ধারণা। ধ্যান হলো নিজের ভেতরে যাওয়ার পথ, জীবনের গভীর স্তর পর্যন্ত, সীমানা অতিক্রম করে, চূড়ান্ত ও সার্বিকভাবে বাস্তবতা উপলব্ধি করার একটি উপায়। মানবজাতি সহজাতভাবেই এতে সক্ষম।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, উচ্চতর স্তরের চেতনার দ্বারা চালিত হওয়ার কারণে আপনি একজন ভালো শিল্পী?
লিঞ্চ: আমি জানি না। আপনি যখন ধ্যান করা শুরু করবেন, মনের গভীর স্তরে গিয়ে নতুন আইডিয়া পেতে পারেন। এতে অন্তর্দৃষ্টি প্রখর হয়, আর অন্তর্দৃষ্টি হলো শিল্পীর প্রধান হাতিয়ার—যা আসলে অনুভূতি এবং চিন্তার একাত্মতা। একটি চিত্রকর্ম তৈরি করার সময় যেন আপনি জানেন কী করছেন এবং সেই সাথে তা উপভোগও করছেন। সিনেমার ক্ষেত্রেও তাই। কাজের আনন্দ বাড়ে, সবকিছুতে আনন্দ বাড়ে। আইডিয়াগুলো আসতে থাকে, আর সেগুলো ঠিকঠাক বুঝতে পারার অনুভূতিও হয়। আপনি উপলব্ধি করতে পারেন সব। এটা এমন এক জানার অনুভূতি যা বাড়তে থাকে। যা সত্যিই সুন্দর।
প্রশ্ন: আপনি কি এখনো মাঝে মাঝে বিরক্ত বা বিষণ্ন হন?
লিঞ্চ: মাঝে মাঝে একটা বিষণ্নতা বা ঘৃণার ঢেউ আসতে পারে। এটা কিছুটা আপেক্ষিক। তবে আস্তে আস্তে কমে এসেছে। ফলে যন্ত্রণাও ধীরে ধীরে চলে গেছে। মানুষকে যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য তৈরি করা হয়নি। আনন্দ উপভোগ করাই আমাদের প্রকৃতি। আমাদের সুখী হওয়ার কথা। সুখের চাদর জড়িয়ে জীবন কাটানো কিন্তু পুরোপুরিভাবে সম্ভব। প্রকৃত গাঢ় আনন্দের সাথে সম্পূর্ণ সজাগ থেকে কাজেকর্মে সুখী থাকা সম্ভব। জীবনের কাজগুলো করা, সেগুলো উপভোগ করা—এগুলো আরও তীব্র হয় যখন এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন: আরেকটু নির্দিষ্ট করে বলবেন এসব কীভাবে আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে?
লিঞ্চ: জীবনের ঘটনাগুলো একইরকম থাকে, কিন্তু সেগুলো যেভাবে মোকাবিলা করা হয়, তা অবশ্যই আরো সুচারু হয়ে উঠতে থাকে। ডিউন সিনেমার অভিজ্ঞতা আমাকে শেষ করে দিতে পারত। এটা এতটাই ভয়াবহ ছিল। আমি আমার সিনেমাগুলোর সঙ্গে এতটা একাত্মবোধ করি—আর সে কারণে আমি ভাবতাম আমি শেষ হয়ে গিয়েছি—কিন্তু ধ্যান আমাকে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সময় টিকিয়ে রেখেছিল। একটা কথা আছে: ‘আপনি যেমন দুনিয়াটা আসলে তেমনই।’ আপনি যদি একটা ঘোলাটে-সবুজ চশমা পরে দুনিয়ার দিকে তাকান তবে তা তেমনই দেখাবে। আর যদি আপনি নিজের ভিতরে ডুব দিতে শুরু করেন এবং বিশুদ্ধ আনন্দের অনুভূতির চেতনা, সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা—এরকম সব উপকারি বিষয়ের অভিজ্ঞতার সীমাহীন মহাসাগরের দর্শন পেয়ে যান, তাহলে মনে হবে দুনিয়া গোলাপি চশমা দিয়ে দেখছেন। গোটা পৃথিবীও আপনার দিকে সেভাবে তাকাবে। এরপর তা শুধু আরো দারুণ হয়ে উঠতে থাকবে।
প্রশ্ন: আমি বলব আপনার সিনেমাগুলো তো আঁধারের চশমা দিয়ে বিশ্বটাকে দেখে। কেন এমন বলবেন?
লিঞ্চ: যদি এমন একটি সিনেমা দেখেন, যেখানে শুরুটা শান্তিপূর্ণ, মাঝখানটাও শান্তির, এবং শেষটাও তাই—তাহলে এটা কেমন গল্প হবে? গল্প বলতে গেলে তাতে বৈপরীত্য এবং সংঘাত দুটোই প্রয়োজন। গল্পে অন্ধকার ও আলো, অস্থিরতা—এ সব কিছুই থাকা দরকার। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, যন্ত্রণা দেখাতে গিয়ে সিনেমার নির্মাতাকে এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। গল্পেই থাকা উচিত যন্ত্রণা, মানুষের মধ্যে নয়।
প্রশ্ন: আপনার সিনেমার ধারণাগুলো কীভাবে আসে?
লিঞ্চ: আমি সবসময় বলি আইডিয়াগুলোই নৌকো চালায়। আইডিয়াগুলো একেকটা বিশাল আশীর্বাদ। প্রেমে পড়া যায় এমন সব আইডিয়া ধরার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। যখনই আমি কোন বই কিংবা অন্য কারো চিত্রনাট্য থেকে না বানিয়ে নিজে থেকে কোন সিনেমা বানিয়েছি, সবসময়ই তা একইভাবে হয়েছে। পুরো ধারণাটা একবারে আসে না, টুকরো টুকরো অংশগুলো একে একে আসে এবং এই টুকরোগুলো একত্রিত হয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করে। আপনি আইডিয়া লিখে রাখেন এবং পরবর্তীটি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। আস্তে আস্তে বেশিরভাগ আইডিয়াই এক একটি চিত্রনাট্যে জায়গা করে নেয়—যা মূলত সংগঠিত একটি রূপ। এরপর সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী চিত্রগ্রহণ করা হয়, সম্পাদনা করা হয়, এবং শব্দ ও সঙ্গীত মেশানো হয়। এটা একটি প্রক্রিয়া। কোন একটি আইডিয়া এমন একটি গল্প দিতে পারে যা আরও বিমূর্ত এবং অতটা সোজাসাপ্টা নয়, আবার কখনও কখনও এমন একটি গল্প দেয় যা খুব সরলসোজা।
প্রশ্ন: আপনি কোন ধরনের সিনেমা পছন্দ করেন?
লিঞ্চ: আমি বিভিন্ন ধরনের সিনেমা পছন্দ করি। কোনো নিয়ম নেই। কিছু কিছু বিমূর্ত বিষয় আমাকে একদম স্পর্শ করে না, আবার কিছু একেবারে পাগল করে দেয়। কিছু সোজাসাপ্টা সিনেমা দেখে আমার কোন অনুভূতি হয় না, আবার কিছু আমার ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সিনেমা হলো কোটি কোটি উপাদানের সমন্বয়। বলা হয়, সিনেমা সাত রকম শিল্পকে এক সুতোয় বাধে। তাই এটা পূর্ণাঙ্গ মাধ্যম। একারণে নতুন কোন ধারণা আসলে সেদিকে এগোতে দ্বিধা করা উচিত নয়। সিনেমা দূর্দান্ত রকমভাবে বিশেষ সুন্দর একটি মাধ্যম।
প্রশ্ন: এমন কোন সিনেমা আছে কি যেগুলো দেখে নিজের পথ খুঁজে নিয়েছেন আপনি?
লিঞ্চ: সবার উচিত নিজের কণ্ঠ খুঁজে পাওয়া। এটা নকল করার জায়গা নয়। তবে গদার, ফেলিনি এবং বার্গম্যান আমার নায়ক ছিলেন। সানসেট বুলেভার্ড, রিয়ার উইন্ডো, ৮ ১/২, জ্যাক তাতির মাই আংকেল বা মঁসিউ হুলো'স হলিডে, কুব্রিকের সব সিনেমা, ফেলিনির সব সিনেমা, সম্ভবত বার্গম্যানের সব সিনেমা—অনেক অসাধারণ সিনেমা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রশ্ন: অবচেতনভাবে আপনার সিনেমাগুলোর ওপর কি এগুলোর প্রভাব পড়েছে? উদাহরণস্বরূপ, কেউ বলতে পারে যে ব্লু ভেলভেটের ভয়ুরিজম বা গোপনে কারো ব্যক্তিগত জীবন দেখার ধারণাটা রিয়ার উইন্ডো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
লিঞ্চ: আমি জানি না সেটা সত্য কিনা। ১১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা আছে, এবং আমাদের কারোরই এমন কোনো সিনেমা বানানো সম্ভব নয়, যা আগে আসা কোনো সিনেমার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। আমার কাছে ব্লু ভেলভেট হলো ব্লু ভেলভেট, রিয়ার উইন্ডো হলো রিয়ার উইন্ডো। বলতে পারেন সানসেট বুলেভার্ড বা রিয়ার উইন্ডো আমার মাঝে হয়তো কোনো ধারণার সূচনা করেছে। কিন্তু যতই আমি এগুলো ভালোবাসি বা অনুপ্রাণিত হই না কেন, জীবন নিজেই ২৪/৭ চলমান একটি সিনেমা। আইডিয়া সব সময় সেখান থেকে আসে। এটা বলা কঠিন যে শুধু সিনেমা থেকে আইডিয়ার জন্ম হয় কিনা। আসলে তা আসে সবকিছু থেকে। কোটি কোটি আইডিয়া চারপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে, আপনাকে কেবল সেগুলো ধরতে হবে।

আইডিয়া নিয়ে ডেভিড লিঞ্চের উপলব্ধিগুলো সুন্দর। ক্যাচিং দা বিগ ফিশ বইতে ছোট ছোট প্যারাগুলোও বেশ ইনসাইটফুল। মেডিটেশন শব্দটি বর্তমানে অনেকটা সাইন্টিফিক ভ্যালু সমৃদ্ধ। ধ্যান যেন কেমন ব্যাকডেটেড হয়ে গিয়েছে।
রিদওয়ানুল হাসান
জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১১:১০
সাক্ষাৎকারটি এত লুসিড, এত পেলব ভাষায় রুপান্তরিত হয়েছে পাঠে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আহসানুল করিম ভাইয়ের সাথে কোনদিন দেখা হলে জিজ্ঞাসা করবো, তিনি কিভাবে যেন নিজের মতো করে সামনে বসিয়েছেন ডেভিড লিঞ্চ ও ইন্টারভিউয়ারকে। কবির ভাইকে শুভেচ্ছা। আর টিপু ভাইকে সাধুবাদ।
শাখাওয়াত বকুল
জুন ১৭, ২০২৫ ১৩:৫৪