বিমাতার গুণগান ও মার্কেসের প্রসঙ্গ ধরে ইয়োসাকে স্মরণ

অ+ অ-

 

মারিও ভার্গাস ইয়োসা স্প্যানিশ সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ও প্রভাবশালী লেখক। ১৯৩৬ সালের ২৮ মার্চ পেরুর আরেকুইপা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সময়েই লাতিন আমেরিকার সাহিত্যজগতে বুম সাহিত্য বা নবজাগরণ শুরু হয়। হুয়ান রুলফো, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, হুলিও কোর্তাসার, আলেহে কার্পেন্তিয়ের, হুয়ান কার্লোস ওনেত্তি, বোর্হেস এবং কার্লোস ফুয়েন্তেস-এর মতো লেখকদের সঙ্গে তিনি স্প্যানিশ সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেন।

তাঁর সাহিত্যকর্মে সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা ও পর্যবেক্ষণ লক্ষ্য করা যায়। উপন্যাসগুলোতে ক্ষমতা, দুর্নীতি, আত্মপরিচয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যক্তির স্বাধীনতার বিষয় ঘুরেফিরে এসেছে। মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন হলেই তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর উচ্চকিত হয়েছে। এসব কারণে তাঁকে লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক বিবেক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। সমাজ বদলের তাড়না থেকেই সম্ভবত প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে পেরুর রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সাধারণ নিবার্চনে অংশগ্রহণও করেন। যদিও জয় লাভ করেননি, তবে রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষ পদ গ্রহণের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।

ইয়োসার শৈশব ও কৈশোর রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পারিবারিক টানাপড়েনের মধ্যে কেটেছে। পড়াশুনা করেন পেরু ও বলিভিয়ায়। মার্কেসের মতো তিনিও পেশাজীবন শুরু করেন সাংবাদিক হিসেবে। তাঁর প্রথম উপন্যাস La ciudad y los perros (The Time of the Hero, ১৯৬৩) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যজগতে তাঁকে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই উপন্যাসে তিনি সামরিক একাডেমির কঠোর জীবন এবং সামাজিক বৈষম্যের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন। পেরুতে এই উপন্যাস তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। কারণ এই বইতে তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতির সমালোচনা করেন। নানা বুদ্ধিবৃত্তিক বিতর্কই তাকে সাহসী ও মৌলিক লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে।

১৯৬৯ সালে প্রকাশিত Conversación en La Catedral (Conversation in the Cathedral) উপন্যাসটিকে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি হিসেবে অনেক সমালোচক বিবেচনা করে থাকেন। এই উপন্যাসে তিনি পেরুর স্বৈরশাসনের সময় দেশটির রাজনৈতিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র খণ্ডিতভাবে তুলে ধরেছেন।

তার সমকালীন অনেক লেখকের মতো তিনি ম্যাজিক রিয়ালিজম-এর পথে হাঁটেননি। বরং, তাঁর লেখায় কঠোর বাস্তবতার এক নিখুঁত প্রকাশ লক্ষ করা যায়। তাঁর গদ্যের গাঁথুনি ক্ষেত্রবিশেষ জটিল, বহুকৌণিক দৃষ্টিকোণ তার মধ্যে থাকে। সাংবাদিকসুলভ তথ্যনিষ্ঠতা যুক্ত সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে। তথ্য ও উপমাবহুল হলেও তাঁর ভাষা কখনও আবেগবর্জিত নয়; বরং সেখানে ব্যঙ্গ এবং গভীর দার্শনিক মনস্তত্ত্বের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

শুধু উপন্যাস নয়, ভার্গাস ইয়োসা ছিলেন সক্রিয় প্রবন্ধকার, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবেও সুখ্যাত। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার ভ্রমণপথ বেশ নাটকীয়যুবক বয়সে মার্কসবাদে আকৃষ্ট হলেও পরবর্তীকালে তিনি উদার গণতন্ত্র এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবল সমর্থক হয়ে ওঠেন। ১৯৯০ সালে তিনি পেরুর রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে আলবার্তো ফুজিমোরির কাছে পরাজিত হন। তাঁর রাজনৈতিক প্রবন্ধ ও সমাজ বিশ্লেষণমূলক রচনাগুলোও বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

২০১০ সালে সাহিত্যক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য মারিও ভার্গাস ইয়োসাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ‘ক্ষমতার কাঠামোর মানচিত্র ও ব্যক্তির প্রতিরোধ, বিদ্রোহ এবং পরাজয়ের তীক্ষ্ণ চিত্রায়ন-এর জন্য তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, মারিও ভার্গাস ইয়োসার সাহিত্যকর্ম শিল্প ও রাজনীতির সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে। তাঁর উপন্যাসগুলোতে ব্যক্তিগত গল্প ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট একত্রে মিলেমিশে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে। পেরুর সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়, স্বৈরশাসনের নির্মমতা, কিংবা মানুষের মনোবৈকল্যসবই তার লেখায় বুদ্ধিমত্তা এবং আবেগের অপূর্ব মিশেলে ফুটে উঠেছে।

তিনি যে কত বিচিত্র পথে হেঁটেছেন, সমাজের ট্যাবুগুলো কতভাবে ভেঙেছেন তার একটা নমুনা হলো Elogio de la madrastra (বিমাতার গুণগান, অনুবাদ: আনিসুজ জামান, পাঠক সমাবেশ) উপন্যাসটি। প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। অন্যান্য উপন্যাসে যেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে, এই উপন্যাসে সেখানে নারী ও পুরুষের কামনা, বাসনা এবং নৈতিকতা ও আনন্দের মধ্যকার অস্পষ্ট সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

উপন্যাসটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি অদ্ভুত পরিবার এবং বাহ্যিক সুখ-শান্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকা চাপা টানাপড়েন। গল্পটি লুক্রেসিয়া নামের এক রূপসী এবং মার্জিত রুচির নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। তিনি তার স্বামী দন রিগোবের্তো এবং তার কমবয়সী ছেলে আলফন্সো (ঘনিষ্ঠভাবে ফনচিতো নামে পরিচিত)-র সঙ্গে এক ছাদের নিচে বসবাস করেন। লুক্রেসিয়া ও দন রিগোবের্তোর দাম্পত্যজীবন, রোমাঞ্চ, কল্পনা ও খেলায় ভরাবাস্তবতা এবং কল্পনার মাঝের সীমানায় দাঁড়িয়ে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু এই নিখুঁত পারিবারিক বন্ধন অদৃশ্যভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে যখন লুক্রেসিয়ার সঙ্গে ফনচিতোর মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্ট এবং ক্রমেই অস্বস্তিকর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতারণা ও কামনার প্রকৃত স্বরূপ আসলে কী, সেই প্রশ্নটা উসকে দিয়েছে।

 

১৯৬০-এর দশক এবং ৭০-এর শুরুর দিকে মার্কেস এবং ভার্গাস ইয়োসা শুধু লাতিন আমেরিকার বুম জেনারেশনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রই ছিলেন না, বরং ছিলেন একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরস্পরের ভক্তও ছিলেন। বার্সেলোনা ও প্যারিসের সাহিত্য-আড্ডায় দুজনে একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন। দুজনে রাজনীতি ও সাহিত্য নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন। স্মর্তব্য যে, মার্কেস ইউরোপে ইয়োসার সাহিত্য পরিচিত করতে সাহায্যও করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৬ সালে এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। মেক্সিকো সিটির একটি সিনেমা হলে ভার্গাস ইয়োসা প্রকাশ্যেই মার্কেসের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। ঘুষিটা এমনই জোরালো ছিল যে মার্কেসের চোখে কাল দাগ পড়ে যায়। পরে মার্কেস ঘুষি মারার সেই ছবি নিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, এটি তাঁর (ইয়োসার) শেষ ভালো গল্প। সাংবাদিকরা যখন ইয়োসাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি শুধু বলেছিলেন: ওকে (মার্কেসকে) জিজ্ঞেস করো, কী ঘটেছিল।’

 

গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও মারিও ভার্গাস ইয়োসা ছবি: Andina-এর সৌজন্যে

এই উপন্যাসের বিশেষত্ব হলো এর ভাষাশৈলী। ইয়োসার গদ্য এখানে অনেক বেশি শৈল্পিক ও অলঙ্কারময়, প্রায় ছবির মতো দৃশ্যময়। গল্পের মধ্যে তিনি বিখ্যাত সব চিত্রকর্মের বর্ণনা জুড়ে দিয়েছেনরেনেসাঁ যুগের নগ্ন নারীচিত্র থেকে শুরু করে পুরাণভিত্তিক দৃশ্য পর্যন্ত অনেক কিছু এসেছে। এসব চিত্রকর্ম গল্পের চরিত্রগুলোর মানসিক জগতে গভীরভাবে মিশে থাকে। মনে হয় যেন চিত্রকর্মের ঔপন্যাসিক রূপ হলো এই বই। ভার্গাস ইয়োসা এখানে পাঠকের প্রত্যাশা ভেঙে দিয়েছেন। প্রচলিত নৈতিকতার বোধ এবং যৌনতার ধারণাগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

এই উপন্যাস পরবর্তী সময়ে রচিত Los cuadernos de don Rigoberto (দন রিগোবের্তোর নোটবুক, ১৯৯৭)-এর মাধ্যমে পরিণতি পায়। এখানে এসে দন রিগোবের্তোর কল্পনা, শিল্প এবং কামনার জগৎ আরও গভীরভাবে উন্মোচিত হয়েছে।

Elogio de la madrastra প্রকাশের পর সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। কেউ এটিকে ইন্দ্রিয়সুখ ও নান্দনিক স্বাধীনতার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখেছেন, আবার কেউ কেউ উপন্যাসটিকে মানুষের কামনার অন্ধকার জগতের প্রতিচ্ছবি হিসেবেও পাঠ করেছেন।

ভার্গাস ইয়োসার সামগ্রিক সৃষ্টিতে এই উপন্যাস তাঁর ঐতিহ্যবিমুখ বহুমাত্রিক লেখনীশক্তির পরিচয় উন্মোচন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক উপন্যাসের তুলনায় এটি মানবিক কামনা ও কল্পনার জটিল জগৎ অন্তর্মুখী বয়ান তৈরি করেছে। পাঠ করতে করতে আমরা অনুধাবন করি, কল্পনা আমাদের জীবনকে যেমন সমৃদ্ধ করতে পারে, তেমন ধ্বংসও করতে পারে।

গদ্যটি শেষ করতে চাই গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং মারিও ভার্গাস ইয়োসার মধ্যকার সম্পর্ক ও আলোচিত ঘটনাটি দিয়ে। তাঁদের সম্পর্কচ্যুতি লাতিন আমেরিকান সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত এবং রহস্যময় ঘটনাগুলোর একটি। ১৯৬০-এর দশক এবং ৭০-এর শুরুর দিকে মার্কেস এবং ভার্গাস ইয়োসা শুধু লাতিন আমেরিকার বুম জেনারেশনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রই ছিলেন না, বরং ছিলেন একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরস্পরের ভক্তও ছিলেন। বার্সেলোনা ও প্যারিসের সাহিত্য-আড্ডায় দুজনে একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন। দুজনে রাজনীতি ও সাহিত্য নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন। স্মর্তব্য যে, মার্কেস ইউরোপে ইয়োসার সাহিত্য পরিচিত করতে সাহায্যও করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৬ সালে এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। মেক্সিকো সিটির একটি সিনেমা হলে ভার্গাস ইয়োসা প্রকাশ্যেই মার্কেসের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। ঘুষিটা এমনই জোরালো ছিল যে মার্কেসের চোখে কাল দাগ পড়ে যায়। পরে মার্কেস ঘুষি মারার সেই ছবি নিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, এটি তাঁর (ইয়োসার) শেষ ভালো গল্প। সাংবাদিকরা যখন ইয়োসাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি শুধু বলেছিলেন: ওকে (মার্কেসকে) জিজ্ঞেস করো, কী ঘটেছিল।’

এই ঘটনার প্রকৃত কারণ তারা কেউই প্রকাশ্যে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তাঁদের এই নীরবতাই পুরো ব্যাপারটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। তবে সবচেয়ে প্রচলিত ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে তাদের ব্যক্তিগত কারণে। সেই সময় ভার্গাস ইয়োসার দাম্পত্যজীবন ভাঙনের মুখে ছিল। শোনা যায় যে মার্কেস ইয়োসার স্ত্রী প্যাট্রিসিয়াকে সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন। ঠিক সেই সহানুভূতির মাত্রা বা ইঙ্গিত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিই এই উত্তেজনার কারণ বলে ধারণা করা হয়।

তবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যও তৈরি হয়েছিল। মার্কেস ক্রমশ বামপন্থী রাজনীতি এবং কিউবান বিপ্লবের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠছিলেন। এক সময়ে বামপন্থায় বিশ্বাসী ইয়োসা সেখানে মুক্ত গণতন্ত্র এবং উদারনৈতিক মতবাদের সমর্থকে পরিণত হন। তাই ধারণা করা হয়, তাঁদের শেষ দিকের এই দ্বন্দ্বের পেছনে ব্যক্তিগত কারণের পাশাপাশি আদর্শগত পার্থক্যও কারণ ছিল।

ওই ঘটনার পর তারা কখনোই আর মিলিত হননি। মার্কেস মাঝে মাঝে মজার ছলে ইয়োসার কথা স্মরণ করতেন এই বলে: আমার প্রাক্তন বন্ধু। অন্যদিকে ইয়োসা অনেক বছর ধরে গণমাধ্যমে মার্কেসের নামই এড়িয়ে চলতেন। তবে ২০১৪ সালে মার্কেসের মৃত্যুতে ইয়োসা একটি স্মরণগদ্য লেখেন। তিনি সেখানে বলেন: তিনি (মার্কেস) মহান লেখক। সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ১৯৭৬-এর ওই ঘটনার পর এটাই ছিল ইয়োসার পক্ষ থেকে মার্কেসের প্রতি প্রকাশ্যে দেওয়া সবচেয়ে আন্তরিক স্বীকৃতি।

অপূর্ণ নয়, এমন বয়সে ইয়োসা নিজেও চলে গেলেন। সোমবার, ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল, ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মার্কেস বেঁচে থাকলে হয়তো সেই একই কথা বলতেন: তিনি (ইয়োসা) মহান লেখক। সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন।