রোজ হাশরে ও অন্যান্য কবিতা
ছায়া
আমরা একে অপরের ছায়া
সাথে থাকি সবসময়,
নজরে পড়ে না—
এমন সব ধাপ্পাবাজি করে
ছেড়ে যেতে চাইছো
ছায়া হাসফাঁস
ছায়া দমবন্ধ
ছায়ার পায়ে ছায়ার পা বাঁধা
মরতে দমতক
কোথায় পালাবে ছায়া?
রোজ হাশরে
তিনি
আমার নশ্বর ঈশ্বর- স্বর্গ পোড়া ছাই
চাপা দিয়ে গা ঢাকা দেন প্রায়ই
তিনি জানেন, আর জানি আমি
পাপের কথায় আজকাল
কে-বা ভয় পায়
আমরা
ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে চায় তাকে
কেউ বা টেনে ছিড়ে খুঁড়ে
যেন তাতেই ভয়ে সংকোচে
সে চুপ করে
সয়ে যাবে যত অনাচার অপমান
চুপি সারে
হাসি পায় হাসি!
গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সে আয়নায় দেখে হিন্দের হাসি
এখন কি তবে কলিজা টেনে বের
করে চিবিয়ে খাওয়ার দিন?
আঁৎকে উঠে মনে পড়ে
এক ভয়ানক—
মুণ্ডুহীন শিশ্ন দেখা
শৈশব লুকিয়ে থাকে
কারো না কারো
করোটির ভিতর
আমাদের নাই মুঠোবন্দি বালির ঝড়
নাই কোন উপায়
আছে হাত আর তার নিশপিশ
সে
আমাকে আটকে ফেলছে সে
আমিও কি তাকে?
নিজেকে মনে হতে থাকে
খোদারই এক জমে ওঠা আক্ষেপ
এই বুঝি তিনি পাঠাবেন ফরমান
আকাশ ছেয়ে আবাবিলের
নখরে করে বয়ে আনা পাথর
শাস্তি স্বরূপ আমাকেই ছুঁড়ে মারবে
এসব দুঃস্বপ্ন রাতে দিনে
কবেই কেড়ে নিয়ে গেছে ঘুম
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন