লোকটাকে যেভাবে খুন করেছিলাম [নবম পর্ব]

অ+ অ-

 

পড়ুন লোকটাকে যেভাবে খুন করেছিলাম [অষ্টম পর্ব]

লোকটাকে যেভাবে খুন করেছিলাম [নবম পর্ব]

হ্যাচকা টানে ফুটপাতের ওপর গিয়ে পড়লাম। তাকিয়ে দেখি শ্যামলা মতো, গুণ্ডামার্কা চেহারার গুম্ফবান এক লোক। সে মহা বিরক্ত। ‘ওই মিয়া, সুইসাইড করতে চান নাকি? আপনে তো ট্রাকের নিচে গেছিলেন গা!’ ঢাকা শহরে সচারচর যা কেউ করে না, তেমনই কাজ করেছে লোকটা। তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। হাঁটতে হাঁটতে ট্রাকের সামনে চলে গিয়েছিলাম। দ্রুতগতির ট্রাকটি আমাকে পিষে দিয়ে চলে যেত এক্ষুণি, যদি না লোকটা আমাকে বাঁচাতো।
আশেপাশে আরও তিন/চারজন লোক জমে গেছে। এরা শহরের উৎসাহী জনতা। যেকোনো কিছু হলে উঁকি মেরে দেখাই এদের কাজ। আপনি যদি একদৃষ্টিতে আকাশের দিকেও গভীর মনোযোগ তাকিয়ে থাকেন, আপনার পেছনে লাইন লেগে যাবে এসব লোকের। আর মওকা পেলে চ্যাচড়া চোর, ছিনতাইকারীকে মেরে এরাই হাতের সুখ করে নেয়। একজন বলল, ‘ভাইজান কি মাল খাইছে নাকি।’ বলে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে লাগল। যে আমাকে বাঁচিয়েছে, সেও ঠিক বুঝতে পারছে না আমার বিষয়টা কী। সে অনেকক্ষণ ধরে আমার পেছনে পেছনে আসছিল। আমি নাকি বারবার রাস্তার মাঝখানের দিকে চলে যাচ্ছিলাম। তার চোখেও প্রশ্ন। কিন্তু চেহারা-সুরত-পোশাকে তারা আমাকে রাস্তার মাতালও ভাবতে পারছে না। এর মধ্যে কে যেন এক বোতল ঠাণ্ডা পানি এনে দিল। বলল, ‘ভাইজান চোখে মুখে পানি দ্যান ভালো লাগবে।’
আমি উঠে একটা দোকানের বেঞ্চিতে গিয়ে বসলাম। মুখে পানি দিলাম, দোকানদারকে চা দিতে বললাম। উৎসাহী জনতাকে বললাম, ‘কিছু হয়নি। আপনারা যান। শরীরটা খারাপ লাগছিল, এখন ঠিক আছি।’ জনতা আশাহত হলো। কোনো একটা রোমাঞ্চকর কাহিনী আশা করছিল তারা। প্রেমে ব্যর্থতা কিংবা ডিভোর্স অথবা চাকরি হারানো এমন কিছু। কিন্তু কিছু ঘটতে না দেখে হতাশ। তাদের নিস্তরঙ্গ জীবনে একটুখানি দোলা দিতে না পারায় নিজেরও খারাপ লাগছে। কিন্তু এরা যাচ্ছে না। বললাম, ‘প্লিজ লিভ মি এলোন, আই অ্যাম ওকে নাউ।’ উৎসাহী জনতা বাংলায় বললে শোনে না, কিন্তু ইংরেজির প্রভাব এদের ওপর অনেক বেশি। সম্ভবত ঔপনিবেশিক শাসনের ফল। ওরা হতাশভাবে একে একে চলে গেল।
দুপুর গড়িয়ে গেছে। আমি কোথায় আছি সেটা বোঝার চেষ্টা করলাম প্রথমে। এতক্ষণ কী করেছি সেটা মাথায় নেই। মনে পড়ছে সকালে শরিফ মারা যাওয়ার খবরট শুনে অনেকক্ষণ নড়াচড়ার শক্তি ছিল না। পরে উদভ্রান্তের মতো বেরিয়ে পড়েছিলাম। সেই থেকে হাঁটছি। অফিসে যেতে পারব না বলে বাসা থেকে বেরুনোর আগে একটা টেক্সট করেছিলাম শুধু। সেখান থেকে রিপ্লাই এসেছে ‘ওকে’। টেক্সট করেছি তিন ঘণ্টা সাতচল্লিশ মিনিট আগে। তার মানে প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা ধরে হাঁটছি। এতক্ষণের ঘোরগ্রস্ততা কেটেছে, কেননা ক্ষুধা টের পেলাম। শোকের মধ্যেও মানুষের ক্ষুধা তৃষ্ণা পায়। ভাগ্যিস মানিব্যাগ মোবাইল নিয়ে বেরিয়েছিলাম।
মোবাইলে ছয়টা মিসড কল উঠে আছে। লিনু কল করেছিল। সে নিশ্চয়ই মিসড কল দেয়নি। ফোন পকেটের মধ্যে বেজে বেজে থেমে গেছে। গাড়িতে সেদিন তাকে আমি আমার বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনে সে বলেছিল, ‘আমি ওরকম মেয়ে না।’ আমি ঠিক বুঝতে পারিনি ‘ওরকম’ মেয়ে বলে সে কী বোঝাতে চেয়েছিল। গাড়িতে পরিমিত ঘনিষ্ট হওয়া হয়তো তার জন্য খারাপ কিছু নয়, কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে তার বাসায় যেতে যত আপত্তি। যাই হোক, এর পরে আমি আর ওকে ফোন দেইনি। একটু বিব্রত বোধ করছিলাম। ভেবেছিলাম সে-ই কল করবে। কিন্তু কাল সে একবারও নক করেনি। আজ কী বুঝে কল করল কে জানে! সে যে রাগী মেয়ে, হয়তো ফোন করে গালি দেবে। আমি কলব্যাক করব ভাবছিলাম, এর মধ্যে আবার সে কল দিল।
‘হ্যালো, লিনু কী খবর?’
‘কাল সারাদিনে তো একটা খোঁজও নিলে না।’
‘কাল খুব বিজি ছিলাম লিনু। তাছাড়া ভেবেছিলাম তুমি রেগে আছো।’
‘না তো, রেগে নেই। কাল নারায়নগঞ্জ গিয়েছিলাম। ওখানে একটা মামলা ছিল।’
‘মামলা মানে? কিসের মামলা?’
‘এত অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমার নামে একটা মিথ্যে মামলা করেছে আমার এক বন্ধু। সেটার একটা মিটমাটের কথা বলতে গিয়েছিলাম।’
মামলা মোকদ্দদমা বরাবরই আমার অপছন্দের। শুনলেই মনে হয় বিরাট কোনো গোলকধাঁধাঁ। কিন্তু লিনু এমনভাবে বলল যেন ওর কাছে এসব ডালভাত। আমি বললাম, ‘মিটে গেছে?’
শুনে ও একচোট হাসল। আমার প্রশ্নটা বোধ হয় একটু বোকা বোকা হয়ে গিয়েছে। বলল, ‘কেস উঠানো কি মুখের কথা? ও ভাবছিল মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারবে। হা হা হা।’
‘তো এখন কী হবে?’
‘কী আর হবে। সময় লাগবে মামলা তুলে নিতে। আমার কিছু টাকাপয়সা গচ্চা যাবে এই আর কি।’
এত নির্বিকার লিনুর গলা যে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম সেদিনের ব্যাপার নিয়ে লিনু ক্ষেপে আছে। কিন্তু ব্যাপার সেটা না, সে বিজি ছিল। একটু স্বস্তি পেলাম। সে বলল, ‘তুমি কই? আজ তোমার সাথে দেখা করব।’
আশেপাশের সাইনবোর্ড দেখে বুঝলাম আমি রামপুরার দিকে চলে এসেছি। বললাম, ‘লিনু আজ আমার মন খুব খারাপ। তোমার আসার দরকার নেই আজ। আমার কিছু ভালো লাগছে না।’
‘কেন, কী হয়েছে? তুমি অফিসে যাওনি?’
‘না লিনু। আমার খুব ক্লোজ একটা ফ্রেন্ড আজ মারা গেছে ক্রসফায়ারে। আমার কিছু ভালো লাগছে না।’
‘বলো কী অনিক! তুমি ঠিক আছো তো? তুমি কোনো একটা রেস্টুরেন্টে বসে কফি খেতে থাকো। আমি এসে তোমাকে তুলে নেব। উবার কল করছি। তুমি ওখানেই থাকো। কোথাও যাবে না।’
লিনু সম্ভবত আমার মনের অবস্থা বুঝল। দুই একদিনের চলাফেরায়ও মানুষ সহমর্মী হতে পারে। আবার অনেক দিনের পরিচতিজনেরাও অনেক সময় এটুকু সহমর্মীতা দেখায় না। সে আমাকে একা ছাড়তে চাইছে না। বিপদের সময় এটুকু পাশে থাকা একটা মানুষের জন্য অনেক কিছু। খুব বেশি সময় লাগল না লিনুর। সে কোনোমতে একটা টি-শার্ট আর জিন্স পরেই চলে এসেছে। হয়তো বুঝতে পেরেছে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই দেরি করার রিস্কটা নিতে চায়নি। ও এসে আমার হাত ধরে বলল, ‘চলো’।
হাতটা বেশ গরম। আমি বললাম, ‘কোথায় যাব?’
‘খেয়েছ দুপুরে?’
‘নাহ।’
‘চলো এক্ষুনি।’ আমার প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছে। খেতে হবে। রাস্তার রাস্তায় ঘুরে কাহিল লাগছে খুব। কিন্তু লিনুর তো জ্বর। বললাম, ‘লিনু, তোমার জ্বর।’
‘হ্যাঁ, আমিও সকাল থেকে কিছু খাইনি। একটা আপেল খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। বমি হয়ে গেছে।’
‘তাহলে চলো যাওয়ার পথে তোমার জন্য অষুধ নিয়ে যাই। নয়তো খেতে পারবে না।’
‘চলো তাহলে।’
লিনুর জ্বরটা আরো বেড়েছে। ও কিছুই খেতে পারল না। খাবরগুলো নষ্ট হলো। বাথরুমে গিয়ে একবার বমিও করে এলো। ওকে সামলাতে সামলাতে আমি বন্ধুর শোক ভুলতে বসেছি। শরিফ মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আমার কাছে অতীত হয়ে গেল! আশ্চর্য! সকালেই তার জন্য আমি ঘোরগ্রস্ত হয়ে ঘুরে বেড়ালাম রাস্তায় রাস্তায়। আর এখন, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একটা মেয়ের জন্য রেস্টুরেন্টে বসে স্যুপের অর্ডার করছি! লিনু অর্ডার ক্যানসেল করল। সে এখানকার স্যুপ খাবে না। সে খেতে চায় মিরপুর দশ নম্বরের একটা চায়নিজ হোটেলের স্যুপ। ওখানে নাকি খুব ভালো স্যুপ বানায়।
বসুন্ধরা শপিং মল থেকে মিরপুর দশ। অনেক দূর আমার জন্য। ঢাকার রাস্তায় আমি পারতপক্ষে বের হই না। এখন জ্যাম আছে রাস্তায়। কিন্তু ওকে কিছু খাওয়াতে হবে। ওর অবস্থা খুবই নাজুক। লিনু বলল, সে একাই যেতে পারবে ওখানে। কিন্তু ওকে একা ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না। মিরপুরেই উঠেছে ও। বান্ধবীর কাছে। বান্ধবী অফিস থেকে ফিরতে আটটা নয়টা বেজে যাবে। ওর কাছে রুমের চাবিও নেই আজ। বললাম, ‘আমি গিয়ে চাবি নিয়ে আসব?’
‘নাহ, ওকে জানানোর দরকার নেই। ও যদি বাসায় বলে দেয় তাহলে প্রবলেম আছে। মা কাউকে পাঠিয়ে দেবে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাজগুলো পিছিয়ে যাবে।’
আমি বললাম, ‘তাহলে আমার বাসায় চলো। খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিয়ে তোমাকে মিরপুর পৌঁছে দেব।’
‘অনিক, সেদিন না বললাম আমি যাব না। তুমি বারবার বাসায় যাওয়ার কথা বলো কেন? তোমার উদ্দেশ্য খারাপ।’ বেশ বিরক্তি নিয়ে বলল লিনু।
‘আরে, তোমার শরীর খারাপ এজন্য বলছি। আমি অন্য কিছু মিন করিনি।’ যদিও ওকে বললাম, আসলে কথাটা হয়তো পুরোপুরি সত্য না। ওর শরীর খারাপ, আমার বাসা কাছে, সেখানে সে রেস্ট নিতে পারবে এগুলো ঠিক। কিন্তু মনের মধ্যে ওকে পাওয়ার বাসনাও যে একেবারেই ছিল না সেটা কে জানে! রবং বাসনার অংশই হয়তো বেশি। আমার প্রতি শিউলির উদাসীন ভাব আমার সহ্য হচ্ছে না। ওর জন্য এত অপেক্ষা করতে করতে মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এজন্যই হয়তো লিনুর দিকে ঝুঁকে পড়তে চাচ্ছি। তাতে মাথায় মধ্যে শিউলির উপস্থিতির অস্বস্তি অনেকটাই দূর হবে বলে মনে হয়।
লিনু বলল, ‘আমার শরীর খারাপ নেই। তোমার সমস্যা থাকলে তুমি যেতে পারো। আমি একাই পারব।’
‘সরি লিনু, তুমি ভুল বুঝতেছো। চলো তোমাকে স্যুপ খাইয়ে আনি আগে।’
‘না, লাগবে না। তুমি যাও। আমি একটা উবার ডেকে চলে যাব। আর রাস্তায় অসুস্থ হলে ড্রাইভারকে কোনো একটা হসপিটালে নিয়ে যেতে বলব।’
‘ধুর, পাগলামি কোরো না তো। চলো তো, উবার ডাকো।’
মিরপুর দশ নম্বরের রেস্টুরেন্টটাতে গিয়ে লিনু খুব আরাম করে স্যুপ খেতে পারল। জ্বরটাও নেমে এসেছে অনেক। আমরা প্রায় রাত দশটা অব্দি নতুন চাইনিজ রেস্টুরেন্টটাতে বসে রইলাম। লিনু আমার হাত ধরে রইল অনেকক্ষণ। তার জীবনের খুঁটিনাটি গল্প করল। আমি আসলে ওর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম। সে সত্য বলছে কিনা সেগুলোও যাচাই করে নিচ্ছিলাম। কেননা জ্বরের ঘরে সে অনেক কথাই বলছিল। আমি ওকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলতে দিচ্ছিলাম। আগে ওর সম্পর্কে যে তথ্য জানতাম, সেগুলোই আবার জিজ্ঞেস করছিলাম। এটা সাংবাদিক অথবা গোয়েন্দাসুলভ চালাকি। কিন্তু ও সত্যই বলছিল সব। কেননা দুই সময়ের কথা মিলে যাচ্ছে। আজকের সন্ধ্যায় লিনুকে খুব আন্তরিক আর অকপট মনে হচ্ছে। 
একটা ছেলের সঙ্গে ওর প্রেম ছিল। তার কথা বলল। ওর বয়ফ্রেন্ড ওকে নিয়ে কীভাবে মোটরবাইকে সারা শহর ঘুরে বেড়াত সেসব গল্পে ওর চোখমুখ আনন্দে নেচে উঠছিল। ওদের এলাকায় নাকি সব চোরাই জিনিসপত্রের ব্যবসা। কাঁচা টাকা। ইন্ডিয়ার বর্ডার থেকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে জিনিসপত্র ঢোকে বাংলাদেশের বাজারে। বেশিরভাগ ফ্যামেলির কেউ না কেউ এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ওর বয়ফ্রেন্ডদের ফ্যামেলিতেও কাঁচা টাকার ছড়াছড়ি ছিল খুব। ছেলেটাকে সত্যিকারের ভালোবাসত লিনু। কিন্তু সেই তাগড়া জোয়ান ব্যায়াম-করা পেশিবহুল ছেলে, যে লিনুকে কথায় কথায় পাঁজাকোলে করে নাচাত, তার পরিবারের কথার বাইরে যেতে পারেনি। লিনু বলল ওর শরীরে পেশী হয়েছিল কিন্তু মনটা ছিল ভীষণ লতানো।
লিনুর মতো রাজনীতি করা, মিটিং মিছিল করে বেড়ানো, ছেলেদের মতো চলাফেরা করা মেয়ে ওর প্রেমিকের মায়ের পছন্দ ছিল না। বেশিরভাগ ছেলের মা-ই পছন্দ করবে না এমন মেয়ে। অবশ্য আজকের লিনু সম্ভবত তখনকার চেয়ে অনেক শান্ত, মেয়েলি, উচ্ছাসপ্রবণ। তারা যখন দেখল ছেলে এখানে থাকলে কোনো না কোনোভাবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে তখন তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিল পড়ালেখার জন্য। লিনু কখনও ভাবেনি ছেলেটা তার সঙ্গে এমন করবে। কিন্তু ছেলেটা লিনুর সঙ্গে আর কখনও যোগাযোগও করেনি।
আর একটা ছেলে ওকে ভালোবাসত। ভালোবাসাটা একতরফা ছিল। লিনু তাকে ভালোবাসতো না। ছেলেটা স্থানীয় এক মারামারিতে খুন হয়। সেই মারামারির পরোক্ষ কারণও ছিল লিনু। মারা যাওয়ার পর ছেলেটার প্রতি লিনুর এক ধরনের ভালবাসা জন্ম নেয়। ছেলেটার মৃত্যুদিনে প্রতি বছর লিনু তাদের বাসায় যায়। তার মায়ের সঙ্গে সময় কাটায়। ওর কথা বলার সময় লিনুর গলা ভারি হয়ে এলো। আমি ওকে সান্ত্বনা দিলাম। এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে রইলাম। 

আসছে দশম পর্ব