মানুষ ও অন্যান্য কবিতা

অ+ অ-

 

জাদুর সেতার

সবাই ভয়ের ভাষায় কথা বলে—
ভিন্ন মানুষ,
     বায়বীয় চোখ!

ঈর্ষার শ্যাওলায় আটকে যাচ্ছে পা
পুড়ে যাচ্ছে—পুকুর
জলমুকুলের হাজারো চিৎকার
               ভালো লাগে না।

কোথায় তাকাবো?
সবাই জাদুর সেতার— 
শব্দ করে না, উৎকট গন্ধ ছড়ায়।


সবাই একাই হাঁটে 

জলের আকাশ পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যা নামে—
তবু সবাই একা একাই হাঁটে।

যতই বোঝাই—
হৃদয় আমার কথা শোনে না।

তোমার আসার সময় হোক
না আসার গল্প বলে ব্যথা দিও না।


মানুষ

আয়নার পিছনে দাঁড়িয়ে আছি—
শহর দেখবো বলে
     তুমি আমার কাছে এসো।

ঘন মেঘ—
বাতাস শব্দ ভাঙছে অবিরত
ফুলগুলো ভিজে ভিজে বেঁচে আছে!

নিঃশব্দ শিশির—
চোখের কোণায়
        থেমে আছে-অপেক্ষা।   

তুমি বাতাসের সাথে মেশো—
হাওয়ার দরজায় টোকা দাও 
খোঁজ নাও একবার—
       আমার কাছে এসো।

মেশো, আমার অসুখের সাথে—
আমি আয়নার পেছনে দাঁড়িয়ে আছি
তোমাকে দেখবো বলে।


কথা


শব্দ কোরো না—
চুপ থাকো
আমাকে আঘাত করো, মারো
তবু শব্দ কোরো না।

শব্দের ভয়ে আমি দূরে পালিয়ে থাকি—
এতোটা দূরে, একলা থাকি
         শুধু শব্দ সইতে না পেরে।

প্লিজ রেগে যেয়ো না—
শব্দ কোরো না আর 
আমার ভীষণ ভয় লাগে—
একটু হেসে কথা বলো।



কেনোই বা আমাদের কথা—
এতো সব ক্ষমা!

দ্বিধা আর দ্বৈরথ—
ভালোবাসা,
বাঁচা খুব কি সহজ?

কেনোই বা আমাদের পথ—
হঠাৎ বন্ধ 
অথবা শীতল
জল; সামান্যে টলমল!

 

একটি জ্বালানি কবিতা

তুমি বরং ন্যাপথলিন হও।

মারাত্মক ঔষধি—
কাপড়ের ভাঁজে
আলমারিতে
বুক শেলফে—বইয়ের মাঝে
রোগ ও ব্যথা নিরাময়ে
মুখ ও ত্বকের দাগে
শাদাটে পায়ের পেশীতে
কিংবা চুলের সমস্যায়—
হঠাৎ ঠান্ডায়
তুমি ন্যাপথলিন হও।

প্রাকৃতিক রঙে—
রোদের মতো ঘর ভালো রাখতে
সুগন্ধি ছড়াতে 
       বেসিন এবং সিঙ্কে
তেলাপোকার উপদ্রবে
কীটনাশকের মতো
মশা তাড়াতে
এই বর্ষায়—
তুমি বরং ন্যাপথলিন হও।

কাপড়ের ভাঁজে টুক করে রেখে দেবো—
তোমাকে এখন ভীষণ দরকার।