যেভাবে আর্ট হাজার বছর ধরে টিকে আছে
আপনাদের দুটো গল্প বলি। ফ্রান্সের দোর্দানা নামের একটা অঞ্চলে একটা ছেলের পোষা কুকুর হারিয়ে গেছে। কাছেই ছিল, কোথায় গেল তবে? তিনজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড় আর গুহার মত জায়গাগুলোতে উঁকিঝুকি মারতে শুরু করলো ওরা। সময়টা ১৯৪০ সাল। ফুটবল বিশ্বকাপ বলে এক ধরনের আসর শুরু হয়েছে মাত্র বছর দশেক। এখনও পুরো পৃথিবী জানেও না ফুটবল জিনিসটা কী? অন্যদিকে ফ্রান্সেই চলচ্চিত্র সমালোচনা নিয়ে আন্দ্রে বাঁজা নামের এক ভদ্রলোক খুলে বসেছে পত্রিকা। কাঁই দ্যু সিনেমা নামের সেই পত্রিকায় বিভিন্ন সমালোচকরা একের পর এক ফিল্মের থিওরি দিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষের বেশিরভাগই ভাবছে, নতুন আসা এক পাগলের প্রলাপ। অথচ পৃথিবী তখনও জানে না, এই ‘চলচ্চিত্র’ একসময় কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে!
এমন সময় দাঁড়িয়ে কিছু ছেলেপেলে কুকুর খুঁজতে গিয়ে ঢুকে পরলো লস্কো নামের এক গুহায়। সত্যি বলতে তারা স্বপ্নেও ভাবেনি তাদের জন্য সেখানে কী অপেক্ষা করছে!
দ্বিতীয় গল্পটা আমাদের কাছেই। ফ্রান্সে ছেলেপেলেদের হারিয়ে যাওয়া কুকুর খোঁজার বছর দশক পরের ঘটনা। ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটা অঞ্চল দিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন ভিএস ভাকান্দার (অথবা ভাকাঙ্কার) নামের একজন ব্যক্তি। যখন আব্দুল্লাহগঞ্জ নামের অঞ্চলটি পার হচ্ছিলেন, তখন ট্রেনের জানালা দিয়ে তিনি কিছু অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করেন। পরে ১৯৫৭ সালে তিনি তার দলবল নিয়ে চলে আসেন জায়গাটিকে ভালোভাবে উদ্ধার করার জন্য। মূলত তিনি ছিলেন ভারতের একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ। তারপর তিনি আর তার দল সেখান থেকে আবিস্কার করেন সাড়ে সাতশোর বেশি আদিম যুগে বাস করা মানুষের গুহা-বসতি। এবং বের করেন ভারতের সবচেয়ে আদিম নিদর্শনের একটি-ভীমবেটকা গুহা। যেই গুহার ডানে-বামে বিভিন্ন অদ্ভুত ছবি। যেগুলো আঁকা হয়েছিলো ৩০ হাজার বছর আগে!
ফিরে আসতে হয় ১৯৪০ সালের এক দিনে পোষা কুকুর খুঁজতে গিয়ে গুহায় ঢুকে পরা চারজন ছেলেপেলের দিকে। তারা সেখানে আবিস্কার করে অদ্ভুত সব ছবি। যেগুলো আঁকা ছিলো গুহার চারপাশে। পরদিন আরও কয়েকজন মানুষকে নিয়ে ঢুকে সবাইকে জানিয়ে দেয় এই লাস্কো গুহার কথা। প্রত্নতত্ত্ববিদদের বিশাল গবেষণা শেষে প্রায় আট বছর পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় এই গুহা। ততদিনে অবশ্য দেশ ভাগ হয়ে ভারত আলাদা হয়ে গেছে। এবং ভিএস ভাকান্দার অপেক্ষা করছেন ভারতের কয়েকশো গুহাচিত্র আবিস্কার করার জন্য।
ভাবলে অবাক হতে হয়, হাজার হাজার বছর আগে মানুষ যখন গুহাবাসী ছিলো, যখন শিকার করে খেয়ে বেঁচে থাকাটাই ছিলো চ্যালেঞ্জ, ঠিক তখন মানুষ গুহার গায়ে ছবি আঁকতো। দিন দিন পৃথিবীর পুরনো গুহাচিত্রগুলো আবিস্কার হচ্ছে।
ফ্রান্সের সেই গুহায় আবিস্কার করা হাজার বছর আগের আঁকা ছবি
তবে প্রশ্ন আসে, হাজার বছর আগে যেখানে মানুষের টিকে থাকাটাই ছিল কঠিন ব্যাপার, সেসময় কেন এসব আঁকতো মানুষ? তাদের মনের মধ্য কী তাড়িয়ে বেড়াতো? তাছাড়া সেই সময় এত শক্তিশালী রঙ কীভাবে তৈরি করতো তারা?
এখানেই চলে আসে একটি মৌলিক পদার্থের কথা। স্কুল কিংবা কলেজের রসায়ন বিজ্ঞান বইতে আমরা ম্যাঙ্গানিজের কথা পড়েছি। পরীক্ষার জন্য ম্যাঙ্গানিজের পারমানবিক সংখ্যা যে ২৫, তাও মুখস্থ করেছি। তবে গুহাচিত্রের এই হাজার বছর ধরে টিকে থাকার মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ নামের মৌলটির একটা সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এই মৌলটা তো আবিস্কারই হলো মাত্র কয়েকশো বছর আগে! বিষয়টা ব্যাখ্যা করার আগে বরং আমরা খুঁজতে চাই ঠিক কবে থেকে গুহাচিত্র আবিস্কার হওয়া শুরু করেছিলো।
আবিস্কার বিষয়টি আসলে এক ধরনের আধুনিক ধারণা। এবং কিছুটা ইউরোপীয় ঘরানার চিন্তার বহিঃপ্রকাশও বটে। কারণ আমরা অনেক জিনিসই দেখি, যা আধুনিক সময়ে আবিস্কার করা হলেও প্রাচীনকালে মানুষ ঠিকই ব্যবহার জানতো। তার মানে, ইউরোপীয়রা আবিস্কার না করা পর্যন্ত আমরা সেটাকে ‘অনাবিস্কৃত’ হিসেবে মনে করে থাকি। আর্টের ইতিহাসের উপর দুই দুটো পিএইচডি করা ড. শিলা হফম্যান বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘আমাদের কাছে নতুন করে আবিস্কৃত হলেও, হয়তোবা পূর্বের মানুষের কাছে এই গুহাচিত্রগুলো স্বাভাবিক একটি বিষয়ই ছিল’।
তবে গুহাচিত্র প্রথম গবেষকদের নজরে আসে ১৭৬০ সালে রাশিয়ার বুরজিয়ানস্কি প্রদেশের বাশকোরতোস্তান নামের একটি অঞ্চলে। স্থানীয়রা একে শুলগানতাস নামে চিনলেও ইংরেজিতে কাপোভা পেইন্ট নামে পরিচিত এই গুহাচিত্রটি। পি. আই. রিচকভ নামের একজন ভুগোলবিদ গুহাটি খুঁজে পেয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত লিখিত দলীল অনুযায়ীই এটিই ছিলো প্রথম গুহাচিত্রের আবিস্কার। তারপর ১৮ শতকে ধীরে ধীরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হতে থাকলে, গুহাচিত্রের খবর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আর এতে করে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গুহাচিত্র আছে বলেও খবর পাওয়া যেতে থাকে। ১৯ শতকের একদম শুরু থেকেই রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশেষ করে স্পেন এবং ফ্রান্সে কয়েক শত গুহাচিত্র আবিস্কার হয়। তবে বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে গুহাচিত্রের বয়স বের করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিও আবিস্কৃত হতে শুরু করে।
আমারও মনে কিছুটা প্রশ্ন জেগেছিল, গুহার গায়ে আঁকা হাজার বছর আগের একটা ছবি থেকে ঠিক কী উপায়ে এর বয়স বের করা হয়?
এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে খানিকটা বিজ্ঞানের জটিল কিছু বাক্য শুনতে হবে। পুরনো ফসিল থেকে প্রাণির বয়স বের করার একটা প্রচলিত পদ্ধতি হলো—রেডিও কার্বন ডেটিং, যাকে বাংলায় বলা তেজস্ক্রিয় কার্বনভিত্তিক কালনিরূপণ। গুহাচিত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটিও কাজে লাগানো হয়। চলুন, সহজভাবে বিষয়টি একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।
প্রতিটি জীবন্ত বিষয়ের মধ্যেই কার্বনের উপস্থিতি থাকে। আর এটা চক্রের মত চলতে থাকে আমাদের প্রকৃতিতে। যেমন ধরুন, আমরা নিঃশ্বাসের সঙ্গে কার্বন ডাই অক্সাইড ছেড়ে দেই। গাছগুলো কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। আবার জিরাফের মত কিছু প্রাণি গাছের পাতা খেতে খেতে কার্বনের এই চক্র চালু রাখে। এখন আমাদের কার্বণের গঠনটা একটু বুঝতে হবে।
কার্বনের পরমানুতে সাধারণত ছয়টা প্রোটন এবং ছয়টা নিউট্রন থাকে। এজন্য আমরা এটাকে লিখি 12C চিহ্ন দিয়ে। বায়ুমন্ডলে তাপ বেড়ে গেলে মহাজগতিক রশ্মি কার্বনের পরমানুতে থাকা নিউট্রনকে প্রভাবিত করে। এতে করে প্রোটন ছয়টি থাকলেও নিউট্রনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে আটটি হয়ে যায়। তখন কার্বনকে 14C চিহ্নিত করে লেখা হয়। এই দুটো কার্বন দেখতে প্রায় একই রকম হলেও, 14C আলাদা এবং বেশ অস্থিতিশীল। কোন প্রাণির মৃত্যু ঘটলে, যেহেতু পরিবেশের সঙ্গে তার প্রাকৃতিক যোগাযোগের সমাপ্তি ঘটে, তাই তার শরীরে 14C ধরণের কার্বন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ঠিকঠাক হিসেব করলে, প্রতি ৫৭৩০ বছরে গড়ে অর্ধেক 14C ক্ষয় হয়। বলা যায় 14C ধরনের কার্বনের অর্ধেক জীবন। রেডিও কার্বন ডেটিং মুলত এই পদ্ধতিতেই ষাট হাজার বছরের বস্তুর বয়স পরীক্ষা করতে পারে।
রেডিও কার্বন ডেটিং পদ্ধতির মত দুর্দান্ত এই আবিস্কারটি করেছিলেন উইলার্ড ফ্র্যাংক লিবি নামের একজন ভৌত রসায়নবিদ চল্লিশের দশকে। পরবর্তীকালে তিনি তার এই কাজের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান।
কিন্তু তারপরেও এটিই কি একমাত্র পদ্ধতি পুরনো বস্তুর বয়স বের করার? রেডিও কার্বন ডেটিং মেথোড ছাড়াও আর কি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়? সেই বিষয়ে জানার আগে মৌলিক পদার্থ ম্যাঙ্গানিজ সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ হাজার বছর আগের গুহাচিত্র আঁকার ক্ষেত্রে রঙ তৈরি করার ক্ষেত্রে ম্যাঙ্গানিজ বেশ রহস্যময় এক নাম!
ছেরা ডা ক্যাপিভারা গুহা, ব্রাজিল
গুহাচিত্রের অবিশ্বাস্য ও রোমাঞ্চকর গল্প শোনার পর আমার মাথায় প্রথম যেই প্রশ্নটি এসেছিল, তা হলো—যেসময় মানুষ শিকার করে কোনমতে টিকে থাকতো, সেসময় তারা এমন শক্তিশালী রঙ কোথায় পেত? যা দিয়ে গুহায় আঁকলে তা হাজার বছরেও টিকে থাকবে? আমি দেখলাম, এই প্রশ্নটা শুধু আমার মাথায় আসেনি; বরং এসেছে অনেক গবেষকের মাথাতেও। আর্টের ইতিহাস নিয়ে কাজ করা আমেরিকান ও ফ্রান্সের একটি যৌথ দল বেশ কিছু গুহাচিত্রের রঙ নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করেছে। তারা অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করে, সেখানে ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতি। কিন্তু ম্যাঙ্গানিজ (Mn) তো প্রকৃতিতে থাকা একটি মৌলিক পদার্থ। এটা তারা কোথায় পেত? আর পেলেই বা কি, তারা এটাকে রঙের রূপ কীভাবে দিত?
এখানেই আসে আরেকটা অদ্ভুত তথ্য। ম্যাঙ্গানিজকে গবেষকরা তাপ দিতে থাকে ল্যাবে। সেখানে তারা দেখতে পায়, মোটামুটি ১৬৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ম্যাঙ্গানিজকে পুড়িয়ে ফেললে, আঁকার মত রঙ ধারণ করে। আর বেশ কিছু গুহাচিত্র পাওয়া গুহার পাদদেশ থেকে কয়েকশো কিলোমিটারের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। তার মানে ভাবলে অবাক হতে হয়, আজ থেকে দশ হাজার বছর আগে, গুহায় বসবাস করা একজন মানুষ প্রায় একশো কিলোমিটার গিয়ে ম্যাঙ্গানিজ সংগ্রহ করে ১৬৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পুড়িয়ে সেগুলো দিয়ে আঁকতো।
ম্যাঙ্গানিজ নিয়ে আলাদা করে তাই ভেবেছে গবেষকেরা। ম্যাঙ্গানিজ কিন্তু প্রকৃতিতে আলাদা ভাবে থাকে না। বরং লোহার সঙ্গে সংমিশ্রিত খনিজ হিসেবে ম্যাঙ্গানিজকে পাওয়া যায়। সুইডিশ বিজ্ঞানী জোহান গোট্টেলিব গ্যান নামের একজন ভদ্রলোক, ১৭৭৪ সালে বিশুদ্ধ ম্যাঙ্গানিজকে আলাদা করেন। যদিও ম্যাঙ্গানিজের সঙ্গে মানবজাতির সম্পর্ক প্রায় ১৭ হাজার বছর ধরে। আগেই বলেছি, গুহাচিত্রের সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজের সম্পর্ক পেয়েছে গবেষকেরা। এসব গবেষণা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তাতে বেরিয়ে আসছে ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইডের (MnO2) রঞ্জক ব্যবহার করে মুলত ছবিগুলো আঁকা হতো। অনেক সময় লাল আয়রণ অক্সাইড মিশ্রিত থাকতো। অর্থাৎ সেসময়ের আধুনিক বিজ্ঞান না জানা মানুষেরাও ম্যাঙ্গানিজের দুর্দান্ত ব্যবহার জানতো।
কিন্তু ভৌত রসায়নের এতসব জটিল আলোচনার পরেও প্রশ্ন থেকে যায়, এইসব গুহায় আঁকা ছবিগুলো কেন আঁকা হতো? অথবা সেখানে আঁকা ছবিগুলো দিয়ে আসলে কী বার্তা দেয়ার চেষ্টা করতো তারা? গুহাচিত্রে পশু-পাখির ছবি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি। আসলে সেসময় মানুষের খাবারের কারণে পশু-পাখির সঙ্গে খুব বেশি সম্পর্ক ছিল তা নয়; বরং সেসময় অন্যান্য প্রাণি মানুষের কাছে ছিলো ভয় ও বিস্ময়ের এক নাম!
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দুটি গুহা থেকে আবিস্কৃত হওয়া ছবির ব্যাপারে বলে এই লেখা শেষ করছি। নব্বইয়ের দশকে আর্জেন্টিনার একটি গুহায় আবিস্কার করা হয় অনেক গুহাচিত্র। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, কুয়েভা ডি লাস মানোস নামের সেই গুহাতে ছিলো শুধু বাম হাতের ছাপ। বিভিন্ন আকারের হাতের ছাপ গুহাজুড়ে। গবেষকরা ভাবেন, হয়তোবা ডান হাত দিয়ে রঙ লাগিয়ে বাম হাতে ছাপ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু হাজার বছর আগে নিজেদের হাতের ছাপ দিয়ে তারা কী বলতে চেয়েছিল আমরা জানি না।
যেমন ভাবে আমরা জানি না, ব্রাজিলে আবিস্কার হওয়া গুহায় ত্রিশ হাজারের মত ছবিগুলোতে অদ্ভুত সব দৃশ্য কেন আঁকা। ছেরা ডা ক্যাপিভারা নামের গুহাটিতে দেখা যায় উড়ে যাওয়া এক মানুষের ছবি। গাছকে হাতে রেখে গোল করে চক্রাকারে থাকা এক দল লোকের ছবিও আঁকা আছে একটা কোনায়। গোলাকার কোন বস্তু নিয়ে চারজনের খেলা করার ছবি দেখে মনে হয়, মনে হয় তারা বল নিয়ে খেলছে। কিন্তু পচিশ হাজার বছর আগে আঁকা ছবির মানুষেরা আসলে কী দিয়ে খেলতো? কেনই বা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করার সময় তাদের সঙ্গে দাঁড়ানো আরও অদ্ভুত সদৃশ প্রাণির ছবি দেখতে পাওয়া যায়?
অনেক কিছু জানলেও এর উত্তরটা আমরা জানি না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন