লাল দ্রাঘিমা || নবম পর্ব
লাল দ্রাঘিমা || নবম পর্ব
পড়ুন ► প্রথম পর্ব ► দ্বিতীয় পর্ব ► তৃতীয় পর্ব ► চতুর্থ পর্ব ► পঞ্চম পর্ব ► ষষ্ঠ পর্ব ► সপ্তম পর্ব ► অষ্টম পর্ব
In 1884, the Electoral College declared that Grover Cleveland was the winner, even though it turned out that there was no such person. Later, the Electoral College got a bee in its bonnet and elected Franklin D. Roosevelt president twenty-seven times in a row. Still later, it elected Richard M. Nixon, despite abundant documented evidence that he was Richard M. Nixon.
–Dave Barry
দুই সপ্তাহ পরে স্মরণ তার রুমে ফিরল (ওর রুম না ঠিক, চাকরিসূত্রে সরকারি বাসা এখন ওর মায়ের নামে, আগে ছিল বাবার নামে) আর সেদিনই স্বাস্থ্যবান গর্ভবতী (আন্দাজ) ইঁদুর তার সাথে লুকোচুরি খেলা করতে লাগল। সে শোকেসের অপজিট থেকে উঁকি মারে, স্মরণের ভঙ্গি প্রদর্শন করে, হুমকি লাগলে মাথা ঢুকিয়ে ফেলে, আবার উঁকি দেওয়ার জন্য বের করে, মাগি বেরই হয় না। সে দরজার নিচ দিয়ে চলে যেতে পারছে না; কারণ, মাথা ঢোকে, ভুঁড়ি ঢোকে না (গর্ভবতী না?)। আবার কী রকম নির্লজ্জ, বের হতে পারে না দেখে সে রুমে একটু হাঁটার ট্রাই করে। আবার কী রকম ঢং, স্মরণের বাম পায়ের আঙুল একটুখানি নড়লে সে আবার শোকেসের পেছনে ঢোকে।
সিলিংয়ের ফাটলচরিত্রের সাথে স্মরণের মায়ের তো আর বক্সিং হয়নি, তাই সামান্য জখম। কিন্তু ভদ্রমহিলার ব্লাড প্রেশারের একেবারে পাংখা গজিয়েছে। ব্লাড প্রেশার নিজেই বোঝে, সে আগের তুলনায় ওত গুরুত্ব পায় না, তাই সে এবার বহুত টাইট দিল, টানা দু-তিনবার স্যালাইন পান করলেও প্রেশার ওঠে না, নরমাল হয় না। মি. খোরশেদের স্ত্রী তা-ও প্রায় সেরে উঠেছিলেন, সকালে সবার নাশতা রেডি করে নিজে রেডি হচ্ছিলেন অফিসে যাবেন, মাথা চক্কর দিল। এবার কপাল ফাটল না, নিজেই বিছানায় শুয়ে পড়লেন, মি. খোরশেদ দুই ঘণ্টা পরপর মোট সাড়ে চার গ্লাস স্যালাইন পান করিয়ে দিলেন, তা-ও ব্লাড প্রেশারের পাংখা কাটা গেল না। পরে দেখা গেল, স্যুগার লেভেলও কমে গেছে, আধঘণ্টার মধ্যে পাঁচটা খেজুর, দুইটা কলা আর একটা কমলা খাওয়ানো হলো, স্যুগারের মন গলেনি। ওদিকে শিশির বারবার ফোন দিচ্ছিল, আবার বাবাও ডাকছে, স্মরণ ফোন বন্ধ করে দিল।
হাসপাতালে ভর্তি করানোটা তো একটা আনুষ্ঠানিকতা ততক্ষণে; বোন বাসায়, মি. খোরশেদ কাঁদছেন, স্মরণের মনে হচ্ছিল সে ‘এক পিস’। কেবিন পাওয়ার পরে টেস্টের একটা স্রোত বইতে লাগল, সব ধরনের যা চেকাপ। দুই দিন কেবিনে থেকেই স্মরণের মায়ের ব্লাড-প্রেশার নরমালে চলে গেল, সাথে সুগার। কেউই আর লাফায় না। কিন্তু ডাক্তাররা তাও এনজিওগ্রাম আর এসজিপিটি টেস্ট করাতে বললেন। করাতে তো হবেই, কিন্তু মি. খোরশেদ কাউন্টারে খরচ দেওয়ার সময় খবরটা জানলেন। বিজয়পুর জায়গাটা তো সেই আমলের একটা কেন্দ্রীয় এলাকা, জংলিদের জন্য প্রথম ব্যাংক তো এখানেই স্থাপিত হয়েছিল, এখন সব ব্যাংক পরে নতুন এরিয়ায় মুভ-অনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও ‘মেজানাইন ব্যাংক’ যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; মি. খোরশেদও আর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেননি। কিন্তু ব্যাংক তাও প্রফিট ওঠাতে পারে না, ঋণ অনুপাত ওদিকে বাড়তে লাগল।
খরচ জমা দিয়ে কেবিনে ফিরে এসে দেখলেন, স্ত্রী লাঞ্চ করছেন, সাথে ইনচার্জ ডাক্তার। ডাক্তার হয়তো মেডিকেল রিলেটেড কথাবার্তা বলতে চাচ্ছিল, মি. খোরশেদ বলে উঠলেন ‘খবর দেখছেন?’
ডাক্তারও বোধ হয় অনেকক্ষণ ধরে চাচ্ছিল মি. খোরশেদের খবর নিয়েই কথা বলতে কারোর সাথে, ডাক্তার নিজে প্রমিত ছিল না, মি. খোরশেদ কী নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলেন। ‘ঢিল মারবেন খালি একটা পাখি মারবার জন্য’ মনোভাবে ডাক্তার বললেন ‘মেজানাইন ব্যাংকের খবর?’
‘হ্যাঁ।’
‘জি, দেখলাম।’
“আমি প্রায়ই ভাবতাম, দশ লাখের জন্য সর্বোচ্চ তিন শ’র ঘরে খরচ যেতে পারে, আমার খরচ গেছে এই মাসে ষোলো শ’। ক্রস-সেলিং করে কাস্টমারদের একেবারে শেষ করে দিছে।”
ডাক্তার কেবিনের একটামাত্র চেয়ারে বসতে বসতে বললেন, ‘আমিও তো ওদের ব্যাংকে খরচ রাখছিলাম। দেখছেন, খালি বিজয়পুর এরিয়ার শাখাটা এমন করলে ঠিক ছিল, এরা সব শাখায় এই কাজটা করছে। কাস্টমারদের বোকা বানিয়ে তাদের নামে চারটা-পাঁচটা অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, পরে সবগুলোর চার্জ নিয়েছে।’
মি. খোরশেদ চুপ হয়ে গেলেন। স্ত্রীর লাঞ্চ তখন অতীত আর ‘রাখছিলাম’ মানে, এই ডাক্তার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মেরে ফেলেছে অনেক আগেই। ব্যাংকে যা খরচ আছে, সেই তুলনায় বেশি কাটেনি যদি পরিমাপ ধরে, কিন্তু ন্যায্য চার্জের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি কেটেছে।
ডাক্তার ওর মধ্যেই ফাইলে কিছু লিখে আবার বলতে লাগল, ‘বুঝলেন ভাই, চান্স পাইলে আমি ব্যাংকার হতাম।’
মি. খোরশেদ কিছুই বুঝলেন না, স্মরণ তখন মেডিসিন কিনে মাত্র কেবিনে ঢুকছে, সেই মুহূর্তে সে এক অপরিচিত ভদ্র ডাক্তারের কণ্ঠ শুনতে পেল। কিংবা হয়তো অপরিচিতও না, কিন্তু মনে আসছে না। একজন ডাক্তার মধ্যবয়স্ক অস্তিত্বের প্রসারণে এখন ব্যাংকার হতে চাচ্ছে, সে লজিক বুঝল না। মি. খোরশেদের স্ত্রী মেডিসিনের অপেক্ষায়; কিন্তু ডাক্তার বলে যাচ্ছে, ‘বুঝলেন, ছোটবেলায় আমরা পড়ছিলাম না শেষ নবাব যুদ্ধে হারল, যুদ্ধে কি এমনিই হারছিল? সে যুদ্ধে হারছিল; কারণ, তখনকার ব্যাংকাররা ওরে আর সহ্য করতে পারতেছিল না৷ তারা নবাবদের মারার জন্য বিদেশিদের যে পরিমাণে খরচ দিছিল, এই ভূখণ্ডের জিডিপির চেয়ে তা ছিল ৬০ গুণ।’
মি. আলম বিন্দুমাত্র বিস্মিত হলেন না, এইসব কথা বা গালগল্প শুনতে চায় কে? উনি চাচ্ছিলেন ‘আহা রে!... খোদা যা লিখছেন...’ এসব শুনে ছাড়া পাবেন, এরপরে খালি প্রার্থনা। কিন্তু ডাক্তার থামছেই না, সে এরপরে শুরু করল, ‘আবার যুদ্ধ নিয়েই ধরেন না, আমরা যে নেপোলিয়ন, হ্যানিবল বার্কা, সিজারদের নিয়ে জানি, পুস্তকে বলল যুদ্ধে জিতছে, দখল করছে আর হয়ে গেল? কেউ বিন্দুমাত্র ব্যাংকারদের কথা বলে না। এদের যে এত ক্ষমতা। আপনি খরচ নিজের আয়ত্তে নিয়ে মানুষের ওপরে চাপায় দেন, দেখবেন মানুষ আপনার চারিত্রিক ভ্যালুটাও বিবেচনা করবে না।’
স্মরণের এই শেষ উক্তি পছন্দ হলো না, কিন্তু মি. খোরশেদের আবার ঠিকই মৌন-ইমপ্রেস হলো। আসলেই তো, উনি নিজে ওনার চরিত্র নিয়ে গর্বিত আর ওখানে কোনো খামচি পড়েনি, মানুষ কি এটা বিবেচনা করবে না? আবার মনে পড়ল, যাদের চরিত্রে খামচি আছে, তাদের সাথেও কেন এসব করা লাগবে?
ডাক্তার একটু ‘শাট-আপ’ ছিল। মি. খোরশেদের স্ত্রীর আসলে তেমন কিছু হয়নি। মূল ত্রুটি হচ্ছে, তিনি লিভারের জন্য তিন কোম্পানির দ্বারা প্রডিউসড একই মেডিসিন নিচ্ছিলেন ছয় মাস ধরে, তা-ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ডোজে, তাড়াতাড়ি এসজিপিটি টেস্ট করিয়ে নিলেই ভালো। এটা খারাপের মধ্যে ভালো খবর, সেই খুশিতেই মি. খোরশেদ বলতে লাগলেন, ‘এগুলার সব দোষ ওই মোতালেব আলমের। সেই তো ওই শুয়োরগুলাকে এসব কুবুদ্ধি দিছে।’
ডাক্তার ওনার দিকে তাকালেন, হেঁটে একটু সামনে এসে বললেন, ‘সেটা আসলে বলা যায় না, ভাই। সে কিন্তু রিপোর্টে লিখছিল আরও কাস্টমার জোগাড় করতে।’
‘হুঁ, কিন্তু ব্যাংক করছে উল্টাটা। তারা কাস্টমার যা ছিল তাই রাখছে, খরচ টানছে বেশি।’
‘পুরা অতীত ঘাঁটলে দেখবেন, আমাদের সব জাতই ছিল এক রকম। মোগলদের কথা ধরেন না, শাহ আলম তো অনেক দিন ধরে দিল্লিতে ঢুকতে পারে না, ইংরেজরা যেই খরচ দিল যুদ্ধ করার জন্য, সে ওই খরচ দিয়ে বক্সারে উল্টা খুলল হেরেম।’
এই কথাটা মি. খোরশেদের আরও পছন্দ হলো, স্মরণ কেবিন রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
লাঞ্চ সেরে এসে স্মরণ দেখল, মা জাগ্রত, তাকে আর রোগী মনে হচ্ছে না। নিরাপত্তার বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইসিজিও করা ফেলা হবে। ওর হাতে ছিল ঠোঙা, ক্যান্টিনের প্যাটিস। মিনি টেবিলে দেখল বুটের ডাল, লাঞ্চ হিসেবে হয়তো রুটি আর এই বুটের ডাল দিয়েছিল মাকে। সে প্যাটিস বের করে ডালে চুবিয়ে খেতে লাগল, মারাত্মক কম্বিনেশন। খেয়াল করতেই মা ভূমিকাবৃত্তি চটকালেন, রোগীর এঁটো। স্মরণ শুনল না, ডালের বাটি আর প্যাটিস নিয়ে চেয়ার টেনে মায়ের সামনে বসে বলল, ‘মা, বাবা তোমাকে মারছে কখনো?’
বালিশ থেকে মাথা উঠিয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ, কতবার। একবার মনে আছে, রান্নাঘরে ছিলাম, এসে দিছে থাপ্পড় কী জন্য জানি, একেবারে চাপায়। আমারও হাতে ছিল ডালের ঘুটনি, দিছিলাম একদম। কই মারছিলাম মনে নাই।’
স্মরণ হাত মুছতে মুছতে বলল, ‘পরে মিল হইছিলা কেমনে?’
‘আমি কেন মিল হইতে যাব, কিছুই করি না যেখানে। সেই আসছিল, সে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না।’
‘আমার মনে আছে, একবার তোমাকে পিঠে কিল মারছিল।’
স্মরণ পানি খেতে লাগল, ওর মা বলল, ‘তোর বোন কই?’
‘বাসায়, থিসিসের কাজ করতেছে। ওকে এইটা বলছিলাম আরকি। ভবিষ্যতে স্বামী মারলে কী করবা, সে বলছে গলা কাটব।’
স্মরণ হাসল, ওর মা হাসল না; বরং বিছানায় শুয়ে বললেন, ‘গলা কাটতেও যোগ্যতা লাগে।’
‘আচ্ছা, ধরো, যদি আমি মারি?’
ওর মা বলল, ‘কেন মারবি?’
‘কিছু মেয়েকে তো মারতে ইচ্ছা করে আসলেই। কিছু মেয়ে বা মহিলা থাকে আরকি, যাদের মধ্যে ছেলেদের খারাপ দিকগুলা আছে। ভার্সিটিতেও আছে এমন বহুত, ওই গুলারে মারতে ইচ্ছা করে। আর ওই রকম বউ পাইলে তো সপ্তাহে দুই দিন থাপড়ানো লাগবে।’
স্মরণের মা আর কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। আর বলা লাগলও না; কারণ, মি. খোরশেদ চলে আসছেন।
বাবা চলে আসার পরে আর হাসপাতালে থাকতে ইচ্ছা করে না, সে বের হয়ে রিকশা নিল। রিকশা চারবারের মধ্যে তিনবার একই কোম্পানির বাসের আর শেষবার স্বকীয় বাসের মুখোমুখি হলো, সংঘর্ষ হয়নি, আবার এত ট্রাফিক জ্যাম যে চালকগুলাও অলস হয়ে গিয়েছিল, প্রতি বাসে যাত্রীর দূষণসীমা অতিক্রান্ত উথলে গেছে, ভাড়াও হয়তো তাই, কিন্তু কেউই খুশি না। ওই সময়টায় লেয়ারিং হয়ে পিস-পিস করে স্মৃতি আক্রমণ করে। সবার জন্য সেসব স্মৃতি সুখকর হয় না। মনে হয় সবাই কত না সৎ, যতক্ষণ না জেফরি এপস্টেইনের গোপন নথিপত্র ফাঁস হয়। প্রতিটা বালুকণা ডিঙিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে হাতের তালু ঘামতে থাকে, এটা ওর জন্য প্রথম। ফোন আসে, ত্বকী ফোন দিচ্ছে আর আগেও দিয়েছে কয়েকবার, এবারও ধরল না ও। ভেতরের অসংজ্ঞায়িত ক্রোধ ত্বকীর ওপরে প্রয়োগ হচ্ছে। সামান্য একটা গান বের করবে, এতেই কেন এত আনন্দ। নিজের অবস্থা বুঝে নেওয়া উচিত, বিপরীতে ওর এই অফুরন্ত আনন্দ। স্মরণের বারবার মনে হতে লাগল, ত্বকী আগের চেয়েও এসব ব্যাপারে নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে রিকশা বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে; কারণ, বাকি সব রাস্তায় রিকশা প্রবেশ নিষিদ্ধ। জ্যামে আটকে থাকতে থাকতে দুই চরিত্র ক্লান্ত, রিকশাওয়ালা আলাপ শুরু করল। রিকশা তার নিজের, তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অনেক বড় এক সিভিলের ড্রাইভার, মেজ ছেলে কাঠমিস্ত্রি আর ছোটটা কলেজে। স্মরণ বলল, ‘এক ছেলে সিভিলের ড্রাইভার, এই ছেলেকে পাক্কা সিভিল বানান।’
রিকশাওয়ালা জিব কেটে বলল, ‘দেখেন বাবা, গেরামের কেউ কিন্তু জানে না আমি রিকশা চালাই, জানে আমার বউ। সবাই জানে, আমি ব্যবসা করি। রিকশা আমার নিজের আর ওখানের কাউরে জানানোরও কিছু নাই৷ আসল কথা আমি খুশি, অনেক খুশি। শরীরে যেই জোর আছে এখনো, পঞ্চাশ কেজি চালের বস্তা নিয়ে আমি উঠতে পারব নয়তলা পর্যন্ত…’
স্মরণ মাঝে বলল, ‘পঞ্চাশ কেজি? আমি পনেরো কেজি উঠাইছিলাম চারতলা পর্যন্ত…’
রিকশাওয়ালা পাত্তা দিল না, বলতে থাকল, ‘আমার পোলারাও যেন সেভাবে আমার মতন খুশি থাকে।’
স্মরণ সিগারেট ধরিয়ে বলল, ‘তা বুঝলাম। কিন্তু আপনার ইচ্ছা করে না আপনার ছেলে ওইখানে ঢুকে সবকিছু ঠিক করুক বা করার চেষ্টা করুক? সৎ থেকে একা ভালো থাকা তো স্বার্থপরতা।’
রিকশাওয়ালা উত্তর দিতে পারল না, জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে। আহ্, সিগারেট, ক্যানসার ইনফ্লুয়েন্সার। অথচ ক্যানসারের চেয়েও বড় নিষ্ঠুর লাগে ক্ষুধাকে। ক্ষুধাও আসলে এক ধূমপানশ্রেণির শাখা হওয়া উচিত ছিল।
এই তো, দুই সপ্তাহ পরে অবশেষে স্মরণ রুমে ফিরল, শিশিরের সাথে আর কথা হয়নি এবং রুম থেকে ইঁদুরটাও এখনো বের হলো না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন